আশ্বিন-কাত্তিক মাস,
মঙ্গার দৌরাত্ম মনুষ্যত্বকে পেরিয়ে
অবশেষে সকরুণ এক দীর্ঘ নাভিশ্বাস
নেমে আসে এ ধরণীতে।
জঠর যন্ত্রণায় কাতর শিশু,
রহীমুদ্দিনের শীর্ণকায় হালের গরু;
আর অশীতিপর বুড়ীমার অস্ফুট কান্না
আকাশে একাকার হয়ে রয়।
অনন্ত অম্বর উপহাস করে
বৃষ্টিহীন খড়তাপের কান্নায়।
ইজ্জ্বতের মূল্য যেখানে রিলিফের মাল
উপায়হীন শেফালীর মা হিসেব কষে
আরেকটি ইজ্জত বাঁচাতে
মোড়লকে বিশ্বাস করে।
এক টুকরো কাপড় ঢেকে দেয়
ষোড়শী শেফালীর উন্মুক্ত শরীর।
মেখে দেয় জাতির বুকে
সীমাহীন লজ্জা।
তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি ডুবলে
উঠে আসে কত রক্তপিপাসু দানব,
ঠোঁটে কুটিল হাসি, অন্তরে ভোগেচ্ছা;
দুর্যোগতো অন্য কিছুর নাম নয়।
পীড়িতদের চোখে এখন আগুন।
এই আগুন হয়তো পুড়ে দিতে পারে
সেই সব স্বার্থান্বেষীর, পুঁজিপতির,
যাদের রয়েছে সহানুভূতির মঙ্গা
ভালবাসা আর সহমর্মিতার মঙ্গা।