আজ বাংলাদেশের সব মানুষই কম বেশি জানে যে প্রাকৃতিক সপ্তাশচর্য নির্বাচনে বাংলাদেশের দুইটি স্থান মনোনয়নের জন্য ভোট নেওয়া হচ্ছে। এজন্য অনেকেই এগিয়ে আসছে ভোট দিতে। যাদের ই-মেইল একাউন্ট ছিল না তারাও ভোট দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসছে। সবাই ভোট দিচ্ছে কারণ সবাই চায় বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করতে, বাইরের দেশের মানুষ যাতে এদেশে ভ্রমনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। কারণ পর্যটক আসলে দেশের জন্যই তা মঙ্গল বয়ে আনবে।
কিন্তু শুধুই পর্যটক আসলেই কি হবে? তাদের দিক টা কি দেখা উচিত না আমাদের???? তারা এদেশে এসে সীমাহীন সমস্যার মুখোমুখি হয়। এমনকি ভ্রমন স্থানে যাওয়ার জন্যও তাদের পরতে হয় বিপদে, ভাঙ্গা-চুড়া রাস্তা, হোটেলের স্বল্পতা আরো নানা সমস্যা। এত সমস্যা সহ্য করেও তারা আসছে।
কিন্তু এক বার আসার পর তারা আর ফেরত আসতে চায় না। এমনকি অন্যদের কে আসতেও বলে না। কুয়াকাটা দেশের মধ্যে এক সৌন্দর্যমন্ডিত স্থান যেখান থেকে একই সাথে সুর্যোদয় এবং সূর্যাস্থ দেখা যায় কিন্তু সেখানে যেতে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা মনে হলে আর সেখানে যেতে ইচ্ছা হয় না। মাত্র কয়েকশ কিলোমিটার যেতেই জীবন শেষ। রাস্তার এতই ভাল অবস্থা যে বাস চলে ভ্যানের গতিতে। আর মিষ্টি ঝাকুনি তো থাকেই ।
আমি বাজেট একদমই বুঝি না, বুঝতেও চাই না। এসব বাজেট ইত্যাদি বুঝার জন্য আমরা (জন সাধারণ) যাদের ভোট দিয়েছি। তারা বুঝবে এসব। আমরা শুধু দেখতে চাই উন্নতি, না নেতা-নেত্রীদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির কথা বলছি না, বলছি দেশের উন্নতির কথা।
আমরা অন্যদেশে থেকে ভ্রমন করে এসে যেমন সেদেশের জয়গান করতে থাকি, তেমন ভিনদেশীরা এদেশে ভ্রমন করার পর যেন আবার আসতে চায় সেরকম পরিস্থিতি দেখতে চাই।
কক্সবাজার সেরা ৭ এ মনোনয়ন পেলে স্বাভাবিক ভাবেই অনেক পর্যটক আসবে। পর্যটক রা আসার আগে তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা আগে থেকেই করা উচিত। প্রাকৃতিক সপ্তাশচর্য দেখতে এসে যেন দেশের অব্যবস্থাপনার কথা না বলে যায় সেটা এখন থেকেই মাথায় রাখা উচিত।
[পজিটিভ ও নেগেটিভ উভয় ধরনের মন্তব্য দেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত]
ইতি
সুপারহিট পোলা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



