এক মিনিটের জন্য মানুষ
ভিক্ষুকঃ মাগো! দুটো ভিক্ষা দিন, মা।
বাড়ির মালিকঃ বাড়িতে মানুষ নেই, যাও।
ভিক্ষুকঃ আপনি যদি এক মিনিটের জন্য মানুষ হন, তাহলে খুব ভালো হতো।
♦ কালকের চক্কর
ভিখারি বলল, বাবু, একটা টাকা দিন।
ভদ্রলোক বললেন, কাল এসো।
ভিখারি বলল, এই কালকের চক্করে, আমার প্রায় লাখখানেক টাকা আটকে আছে এই পাড়ায়।
♦ খিচুড়ির ধাক্কা
ভিখারিকে দেখে গৃহিণী বললেন, ‘তোমাকে তো মনে হয় চিনি। মাস দুই আগে তোমরা কয়েকজন আমার এখানে খিচুড়ি খেয়ে গিয়েছিলে না?’
ভিখারি বলল, ‘হ, আম্মা। আমরা তিনজন আছিলাম। তার মধ্যে আমিই শুধু বাঁইচ্চা আছি। সেই খিচুড়ির ধাক্কা খালি আমিই সামলাইতে পারছিলাম।’
♦ পরিবর্তন
পথচারীঃ এই মিথ্যুক! তুমি তো অন্ধ নও। তুমি অন্ধ সেজে ভিক্ষা করছ কেন?
ভিক্ষুকঃ ঠিকই ধরেছেন স্যার। যে অন্ধ সে আজ ছুটিতে গেছে। তার জায়গায় আমার ডিউটি পড়েছে। আসলে আমি বোবা।
♦ যৌতুক
১ম ভিক্ষুকঃ এই মিয়া তুমিনা আগে রেল স্টেশনে ভিক্ষা করতা। এইখানে আইছ কেন?
২য় ভিক্ষুকঃ ওই জায়গাডা মেয়ের জামাইরে যৌতুক দিছি।
♦ বিভ্রাট
পরীক্ষার কেন্দ্রে অপেক্ষমাণ এক শিক্ষার্থীর মা গল্প করছেন, ‘মেয়েতো আমার একদমই পড়েনা। তারপরও কত ভালো রেজাল্ট করে। আজ ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা, অথচ কাল রাত ১০টা বাজতেই ঘুমিয়ে পড়ল।’
মেয়ে পরীক্ষার হল থেকে বাইরে এসে মাকে তাগাদা দিল, ‘চলো মা।’
‘এই আরেকটু গল্প করি তোমার আন্টির সঙ্গে।’মা বলেন।
‘না, না। ’উত্তর দেয় মেয়েটি, ‘কাল রাত জেগে পড়েছি। এখন গিয়ে একটু ঘুমাব।’মায়ের মুখ ততক্ষনাৎ পাংশু!
♦ খাতা না, ওকেই দেখছি
চার ঘণ্টার পরীক্ষা। তিন ঘণ্টা প্রায় শেষ।পাশে বসা মেয়েটির দিকে আমি বারবার তাকাচ্ছি। ম্যাডাম সেটি দেখে বললেন, ‘তুমি ওর খাতা দেখছ কেন?’আমি বললাম, ‘ম্যাডাম, খাতা না, আমি ওকেই দেখছি।’ম্যাডাম মেয়েটিকে উঠিয়ে একটি ছেলেকে বসালেন। ছেলেটি বিপুল বিক্রমে লিখছে। আমি ছেলেটির খাতার দিকে নজর দিলাম।এবার ম্যাডাম বললেন, ‘এই, তুমি ওর দিকে তাকাচ্ছ কেন? ’একটু হেসে জবাব দিলাম, ‘ম্যাডাম, ভাববেন না যে আমি ছেলেটিকে দেখছি, আমি দেখছি তার খাতা।’
বলাবাহুল্য, ম্যাডাম এর পর আমাকে অন্য সিটে বদলি করে দিলেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



