somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চট্টগ্রাম সেনা বিদ্রোহের ২৯ বছর পর ফিরে দেখা। পর্ব-৬

০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব-১ পর্ব-২ পর্ব-৩
পর্ব-৪
পর্ব-৫

অপরাহ্ন, ১ লা জুন, ১৯৮১,

রেডিওর একটি ঘোষনা আমাকে মানসিকভাবে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। মেজর দোস্ত মোহাম্মদ সিকদার নাকি অধিনস্ত সৈন্যসহ আত্মসমর্পন করেছে!

কিভাবে!

দোস্ত মোহাম্মদ সিকদার তখন ৬ ই বেংগলের সহ অধিনায়ক। তারই ব্যাটালিয়ানের এডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন হায়দার তাকে জোর করে বন্দুকের মাথায় ধরে নিয়ে এসেছে। ফেনীর অস্থায়ী ব্রিগেড সদরে সে-ই একমাত্র বন্দী। রফিক, সেরনিয়াবাত বা ইলিয়াস নয়, সে কি করে আত্মসমর্পন করে?


সেই প্রথম আমার রক্ত হীম হয়ে আসা শুরু করলো। What am I missing? কি যেন একটা কিছু আমার সামনেই যা আমি দেখতে পাচ্ছিনা। কি যেন ঘটে চলেছে যা আমি ধরতে পারছিনা। অত্যন্ত অস্বস্তিকর অনুভূতি। আমি আবার আমার সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সজানোর চেষ্টা করলাম। দশ বারো বার করেও কিছুই মেলাতে পারলাম না। ধুৎতেরি বলে আমার সিটে আমার পাশে শোয়ানো ক্যাসেট প্লেয়ারটা চালিয়া মনে মনে ঠিক করলাম করের হাটে পৌঁছেই ব্যাটারি কিনতে হবে গান শোনার জন্যেঃ

If you change your mind, I'm the first in line
Honey I'm still free
Take a chance on me
If you need me, let me know, gonna be around
If you've got no place to go, if you're feeling down
If you're all alone when the pretty birds have flown
......।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।।...।

Take a chance on me
That's all I ask of you honey
Take a chance on me

৭৭/৭৮ এর ওঅর্ল্ড চার্টের টপ টেন এর টপ মোস্ট গান।



গান শুনতে শুনতেই হঠাৎ জিগসাও পাজলের (jigsaw puzzle)প্রত্যেকটি অংশ ঠিক ঠিক জায়গায় বসে যেতে শুরু করলোঃ


জেনারেল জিয়াকে হত্যা করা।

ব্রিগেড কমান্ড পোস্টে সব প্রত্যাগত দেখা,

রফিকও অন্যান্য আত্মসমর্পনকাকে দেয়া প্রয়োজনাতিরিক্ত পাহারা,

এখন রেডিওতে শোনা দোস্ত মোহাম্মদ কাহিনী।


ধীরে ধীরে বোধদয় হওয়া শুরু করলো যে যা দেখছি যা শুনছি যা বুঝছি তারো বাইরে কিছু ঘটে চলছে, আর তা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা বনাম প্রত্যাগতদের লড়াই। আর আমরা ব্যাবহৃত হচ্ছি দু'দল দিয়েই। আর যে দলকে ঠিক পছন্দ করি না সে দলেরই আমি দাবার ঘুঁটি ( a pawn- a peon- a powerless person, কে শিখিয়েছিল? আমার চতুর্থ শ্রেণীর গৃহ শিক্ষিকা Mrs. Rasmusen? না ফৌজদারহাটের মিস্টার রাফি ইমাম)?

জোরাল গঞ্জ থেকে কিছুক্ষণ আগে রওয়ানা দিয়েছি করের হাটের উদ্দেশ্যে। নির্দেশ মত সমস্ত ভারী অস্ত্র, গোলা বারুদ ও কুক হাউজের ৩ টন গাড়ী রেখে এসেছি। হাতের নাগালে যত পেয়েছি ততগুলো স্টেন নিয়েছি। কমান্ডার আমাকে আমার ঊপদলকে নিয়ে করের হাটের একটা নির্দিষ্ট স্থানে ডেকেছেন। চেষ্টা করছি বুঝতে, কেন? খাবারের সংস্থান নেই (যদিও বলা হয়েছে যে যথা স্থানে যথা সময়ে খাবার পৌঁছে যাবে), ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে আসা, বেশী করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নেয়া, হালকা পোশাক।


আমাকে কেন? ব্রিগেডে কি Subaltern (Lieutenant & Second Lieutenant) এর অভাব পরেছে? হিসাব করে দেখলাম পুরো ব্রিগেডের ১৫ জন সাবলটার্নের মধ্যে ১০ জনই উপস্থিত!

প্রথমে ব্রিগেড সদরে G-III, অপস রুমে চিন্তার ঝড়ে আংশ নেয়া, আত্মসমর্পন করানো, নিরস্ত্রীকরন করানো, চিটাগাং এ রেডিও স্টেশনের দখল নিতে পাঠান, এখন আবার কি যেন কি অপারেশনে পাঠাবে। আবার অংক কষতে বসলাম। সহজেই অংক মিলে গেল। এরকম পরিস্থিতিতে, যখন ন্যায় অন্যায়ের সীমা রেখা ম্লান হয়ে যায় (when the thin line between right and wrong gets blurred) , তখন ঠিক ন্যায় নয় এমন কাজ করাতে বিস্বস্থ লোকের প্রয়োজন হয়। আমার বিস্বস্থতা আমার পড়ালেখার সাথে জড়িয়ে আছে। কমান্ডার, ব্রিগেড মেজর (বি এম)আর আমি একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের-ফৌজদারহাট কেডেট কলেজের।
ফেঁসে যাচ্ছি কি?


করের হাট পৌঁছে রানারকে ব্যাটারী কিনতে বাজারে নামিয়ে দিয়ে , যতক্ষণে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছুলাম, ততক্ষণে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে হত্যা, বিপথে যাওয়া একদল সৈন্যকে বাগে আনা, দেশের তরে জীবন দেয়ার সুযোগ পেয়ে আত্মহারা হওয়া এগুলো সব উবে গেছে। বুঝে গেছি এ হচ্ছে এক দলের অন্য দলকে নিশ্চিহ্ন করার সুযোগের সদ্যবহার করা। প্রত্যাগত দল যদি হেরে যায় তবে আমার ভাগ্যে কি ঘটবে তা আমার কাছে দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে আশার কথা যে সে সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ।দেখি আমাদের একই ব্রিগেডের অন্য সেনাদলের মেজর তালেবুল মাওলা (মেজর সাঈদ ঈস্কান্দার , খালেদা জিয়ার আপন ছোট ভাইয়ের কোর্স মেট, প্রয়াত), তাঁর উপদল নিয়ে আগেই এসে পড়েছেন। তাকেও ডেকেছেন কমান্ডার। মেজর মাওলার মোটর সাইকেলেরন ধবংস সাধন করার তিন মাস পূর্তিও হয়নি আমার, তাই তাঁকে এড়িয়ে যাবার ব্যার্থ চেষ্টা করলাম। সদা হাস্যজ্জ্বল মেজর মাওলার মুখ পান্ডুর বর্ণ ধারন করেছে। তাকে আমার চিনতেই কষ্ট হচ্ছিল।

আমি পৌঁছানোর মিনিট দুয়েকের মধ্যেই পৌঁছুলেন কালা ভাই (কমান্ডারকে এ নামেই ডাকা হ'ত আড়ালে), ইঊনিফর্মের সাথে স্নিকার পায়ে, গলায় মাফলার পেঁচানো। তার হাতের তাক ছিল অব্যর্থ। আমি আমার চাকুরী জীবনে তার চেয়ে ভাল চাঁদিয়াল (marksman) দেখিনি। শিকার করা ছিল তার নেশা। হাতে মোড়ান একটি quarter inch map (বিশেষ স্কেলের ম্যাপ) নিয়ে উনি তিন মিনিটের একটি ব্রিফিং দিয়ে আমাদের দুজনকে ছেড়ে দিলেন। করের হাট থেকে রাম গড়ের রাস্তাকে দুটি আংশে ভাগ করে রামগড় থেকে হেঁয়াকো দিলেন আমাকে। আর হেঁয়াকো থেকে করের হাট মেজর তালেবুল মাওলাকে। তিনি জানালেন যে যে জেনারেল মঞ্জুর সহ বিদ্রোহী অফিসারেরা পালাচ্ছে এবং তারা যেদিক দিয়ে এগুচ্ছে তাতে রামগড় থেকে করের হাটের মাঝামাঝি যে কোন জায়গা দিয়েই পালানোর চেষ্টা করবে। আমাদের কাজ হবে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত আমাদের এলাকা দিয়ে কোন মানুষ রাস্তা পেরিয়ে ভারতের দিকে না চলে যেতে পারে। যে-ই যাবার চেষ্টা করবে তাকেই ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে এং সামান্যতম সন্দেহ হ'লে আটক করতে হবে। আর সে যদি আমাদের পরিচিত হয় তা'লে তো কথাই নেই।

জীবনের প্রথম সৃষ্টিকর্তার কাছে কায়মনোবাক্যে একটি জিনিসই অন্তরের অন্তস্থল থেকে চাইলামঃ "হে ইচ্ছা পুরনকারী, আমার মনের একটি ইচ্ছে পুরণ করুন। কেঊ যেন আমার হাতে ধরা না পড়ে"।

আমাদেরকে আদেশ দিয়ে তিনি আগে থেকে জড়ো হ'য়ে একদল বেসামরিক স্থানীয় লোকদেরকে সংঘবদ্ধ করতে লাগলেন- ৩/৪ জনের একেকটি দলে, যারা পায়ে চলাপথ যেগুলো বাংলাদেশের ভেতর থেকে ভারতে চলে গেছে সেগুলোতে পাহারা দেবে। কমান্ডারের এলাকাটা চষা ছিল, কারন শিকার করতে তিনি প্রায়ই এলাকাটিতে কাটাতেন।

হেঁয়াকোতে ছিল একটি বি ডি আরএর বি ও পি (Border Out Post)। এমন অনেক জায়গা ছিল হেঁয়াকো থেকে রামগড় পর্যন্ত যেখানে রাস্তা পেরুলেই ৪/৫ ফুটের মধ্যে ১০/১২ ফুট চওড়া একটি অতি সরু খাল, খালটি পেরুলেই ভারত।

টহল শুরু হ'ল। প্রথমেই আমার জীপ, তার পর ৭ টি Volvo ২ টন ট্রাক, তখনকার সেনাবাহিনীর সবচেয়ে দামী state of the art military vehicle. হঠাৎ মনে পড়লো , জেনারেল মঞ্জুরই সিজিএস (Chief of the General Staff) থাকতে অনেক জোর জবরদস্তি করে জেনারেল জিয়াকে রাজী করিয়ে এই বাহনগুলো কিনেছিলেন। আজ তাকেই ধরতে এগুলো ব্যাবহার করা হচ্ছে।

সন্ধ্যার কিছু আগে দিকে খবর এল জেনারেল মঞ্জুর আত্মসমর্পন করেছে ফটিকছড়িতে। আমার ও মেজর মাওলার ওয়্যারলেস ফ্রিকোয়েন্সী এক থাকায় এবং আমারা দু'জন বেশিরভাগ ওয়্যারলেস নিজেরাই অপারেট করার জন্যে সব খবরাখবর আদান প্রদান হচ্ছিল। আমার কুখ্যাত Weird Sense of Humour তখনো অল্প বিস্তর কাজ করছিল। দুজনেই কিছুক্ষন অদৃষ্টবাদী কথাবার্তা বলতে বলতে মনটাকে একটু চাংগা করলাম। হঠাৎ অপরপ্রান্ত থেকে কথা বন্ধ হ'য়ে গেল। আমি তখন অপারেটরকে ওয়্যারলেস সেটটা দিয়ে দিলাম।


মিনিট পাঁচেক পর আমার অপারেটর জানালো যে মেজর রওশন ইয়াজদানী ভুঁইয়া বীর প্রতীক, মেজর মাওলার হেফাজতে । ভাগ্যের কি পরিহাস। মেজর মাওলা ক্যাপ্টেন থাকা আবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামে এই মেজর ইয়াজদানীর সরাসরি অধীনে GSO-III ছিলেন।

যেহেতু মেজর তালেবুল মাওলা নিজে সে ঘটনা সম্পর্কে আমাকে কোনদিন কিছু বলেন নি, আমিও কিছু জিজ্ঞেস করিনি কখনো এবং যেহেতু মেজর ইয়াজদানীর হেফাজতে আসা নিয়ে একাধিক পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায় তাই আমি সে সম্পর্কে কিছু বলছি না।

সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা আবার শুরু করলাম একই আর্জি নিয়ে। রাত বারটার কিছু আগে আমার চোখ ব্যাথা করতে লাগলো। প্রচন্ড শীতে আমি কাঁপতে লাগলাম। গাড়ীর বহর থামালাম মিনিট খানেকের জন্যে। মেডিক্যাল এসিট্যান্টকে ডেকে আনল রানার, জ্বর একশ চার। অনেকদিনের অভ্যাস জ্বর এলেই গোসল করা অনেকক্ষণ। কোথায় পাবো পানি? একবার ভাবলাম খালে নামি। কিন্তু অত সময় কোথায়? চারটা নোভালজিন মেরে দিয়ে পেটের ব্যাথায় মোচড়াতে মোচড়াতে টহল আবার শুরু করলাম।

রাতের খাবার তখনো পৌছেনি. ঘড়িতে বাজে রাত বারোটা।


-চলবে।





সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
২২টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×