আমার এক সিনিয়ার ভাই আছেন। এলাকার বড় ভাই। আমাকে খুবই পছন্দ করেন। উনি ঢাকা ভার্সিটি পড়েন। আর তার মধ্যে তার ভার্সিটির সেই ভাবটাও আছে। মানে, জ্বালাও পোড়াও ভাব আর কী! ত এক হৃদয়বিদারক ঘটনা হল, উনার কয়েকদিন হৃদয়ে ব্যাথা। মানে, প্রেম-ট্রেম না, আসলেই বুকে ব্যাথা। ত আমি আর উনি গেলাম ডাক্তারের কাছে। ঘটনা সেটাই।
ডাক্তার ছিলেন এক মেয়ে, আন্টি বলা যায়। উনি চেকাপ করলেন। কী সব মাপলেন। সাথে ছিলেন এক নার্স। আপু বলেতে হয়।
ভাই স্মার্ট, ফর্সা আর বেশ সুন্দর। তার দিকে নার্স তাকিয়ে আছে। আর আমি তাদের দুইজনের চোখাচোখি দেখছি।
ডাক্তার আন্টির চেকাপ করা শেষ করলেন।
তারপর, ডাক্তার আন্টি একটা ঔষধ দিলেন। এইটা আবার খায় না। এইটা নিয়ে উলটা দিক দিয়ে ভরতে হয়। অনেকে হয়ত জানেন না (যেমন আমি)
ডাক্তার আন্টি উনাকে বললেন, “টয়লেটে যেয়ে প্যান্ট খুলে পানি দিয়ে পিছলা করবা। এরপর আস্তে আস্তে ঢুকিয়ে দিবা।
“
আমি ভয়ে ঢোক গিললাম।
ভাই বলল, “ আমার ত এসবের অভ্যাস নাই। তা ছাড়া ফুটা দিয়ে কখনও কিছু ঢুকাই নাই। ”
নার্স হেসে দিল
ডাক্তার আন্টি বললেন, “ বাবা, এত কথা বলে না। যা বলেছি, তাই কর। আরাম হবে। ”
ভাই বলল, “ আন্টি, পেছন দিয়ে ঢুকালে যদি আবার ঐখানে ব্যাথা করে ?”
নার্স হেসে দিল।
ডাক্তার আন্টি আশ্বাস দিলেন। বললেন, “ কিছু হবে না, যাও বাথরুমে যাও। ”
তারপর উনি টয়লেটে গেলেন। ১ মিনিট পর ফেরত আসলেন, বেল্ট খোলা। বললেন, “খুব শক্ত আর বড় ঔষধ। ঢুকাতে পারি না ত। ”
আন্টি বললেন, “কোন ব্যাপার না, চেষ্টা কর আবার।“
ভাই বললেন, “ ভয় লাগে ত, যদি আবার কিছু হয়? ”
ডাক্তার আন্টি আশ্বাস দিলেন।
উনি আবার গেলেন বাথরুমে। হাতে থুথু নেবার আওয়াজ পেলাম। উনি একটু পরেই ভিতর থেকে আবার ছুটে আসলেন। বললেন, “ আন্টি যেভাবে ঢুকাই সেভাবেই আবার বের হয়ে আসে। ”
নার্স হাসতেছে।
আমি বললাম, “ ভাই বেশি সমস্যা হলে সাবান নেন। ”
নার্স হাসতেছে।
ভাই বলল, “ পাগলার মাথায় বুদ্ধি আছে। ”
উনি আবার বাথরুমে গেলেন। একটু পরে শুনি চিতকার, “ কাজ হইছে, কাজ হইছে। ইয়েস !! ”
নার্স হাসে
ডাক্তার আন্টি বললেন, “ ঠিক মত ঢুকাইছ ত? এখন বুকের ব্যাথা গেছে ?”
উনি বললেন, “ আরাম হচ্ছে মোটামুটি। কিন্তু, আন্টি এসব কী দেন? এসব দিলে ত অভ্যাস খারাপ হয়ে যাবে। ”
আন্টি বললেন, “ ঢুকাইছ ভাল। এখন বাসায় যাও ,বুকের ব্যাথায় আরাম পাবা। এরপরেও যদি আরও বুকে ব্যাথা হয়, তাহলে এটা নিও। ”
বলে প্রেস্ক্রিপশান লিখে দিলেন। বললেন, “ এটাও পিছন দিয়েই ঢুকাতে হয়। ”
সেই ঔষধ কিনে দেখি, রকেট সাইজের ট্যাবলেট। সেইটা দেখে ভাইয়ের আবার বুকের ব্যাথাটা শুরু হল।
কৃতজ্ঞতাঃ মোনাব্বির ভাই
[ যেহেতু এই সিরিজে সব বাস্তব কাহিনী, তাই দম ফাঁটানো হাসির কৌতুক আশা না করাই ভাল।]
আগের পর্বের জন্য Click This Link
প্রথম পর্ব Click This Link
দ্বিতীয় পর্ব Click This Link
তৃতীয় পর্ব Click This Link
পঞ্চম পর্ব Click This Link
© আকাশ_পাগলা
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



