[আমার এই পোস্টটা হঠাৎ করেই গায়েব হয়ে গিয়েছিল। নাকি আমিই ভুলে মুছে দিয়েছি কী না বলতে পারব না। যেহেতু কোন নোটিশ পাইনি তাই আবার পোস্ট করলাম।]
[যারা যারা কমেন্ট করেছিলেন আগেরবার,সেই পোস্ট যদি আমার ভুলে মুছে থাকে, তবে তাদের কাছে আমি লজ্জিত।]
ঘটনা ১
ভার্সিটিতে ঢুকার রাস্তা দিয়ে এগুচ্ছিলাম।
হঠাত করেই মনে হল, মরার পর যদি বেহেশতে যাই হুর পরী বোধহয় ৬৯ টা পাব। কারণ, ৭০ টার মধ্যে একটা ত আমার সামনে। আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি। আহা, কী সৌন্দর্য।
আহা, আহা।
ঘটনা এখানে শেষ না।ঘটনা হল, মেয়েটা আমাদের ভার্সিটির দিকে এগুতে থাকে। আমি ভাবি, সে এখানে পড়লে আমার চোখে আগে ধরা পড়ল না কেন? এতবড় চশমাটা তাহলে কেন লাগাইছি ??? তবে, কথা আছে, আসলেই কী সে এখানে পড়ে ?
মেয়েটা আগায়। আমিও আগাই। মেয়েটা ভার্সিটির দিকেই আগায়। আমি খুশি হই। সে যে আমাদের ভার্সিটির দিকেই আগাচ্ছে, আমি বুঝে ফেলেছি। বলতে গেলে, আমি হালকা অহঙ্গকার লাগতেছিল, এই মেয়ের সাথে পড়ি। কী বিশাল একটা ব্যাপার।
আহা আহা। আসলেই বিশাল ব্যাপার।
আমি চিন্তা করতে থাকি, কো-অর্ডিনেটর স্যারের কাছে কী বলে মেয়েটার রুম নাম্বার জানা যাবে ! আরো অনেক কিছু ভাবতে থাকি। মেয়েটার সাথে এখনই কি কথা বলব? নাকি বের হবার সময় ? ও কি আমার ডিপার্টমেন্টে ?
মেয়েটা মেইন গেটে চলে গেছে। খুশিতে আমি আধমরা।
মেয়েটা হালকা একটু ঘুরে একটা গাড়িতে বসল। গাড়িটা হুশ করে আমার সামনে দিয়ে বেরিয়ে গেল।
শেষটা আকস্মিক। আমার শত স্বপ্ন কল্পনার অবসান। মেয়েটা এখানে পড়ে না, শুধু তার গাড়িটা রাস্তার সামনে পার্ক করা ছিল।
প্রকৃতি প্রদত্ত সৌন্দর্য দিয়ে মেয়েরা প্রত্যেকদিন কত নিষ্পাপ(হে হে, আমি আসলে আমাকে বুঝাচ্ছি) ছেলের হৃদয় ভাঙ্গে, তারা নিজেরাও বোধহয় জানে না।
ঘটনা ২
রাস্তায় দেখি এক পোলা মহা ভাব নিয়ে হাঁটতেছে।
দিঝুষ পোলা। প্যান্টের অনেকাংশে অনেক ভাবে চেন ঝুলানো। যাক, তারটা তার ব্যাপার। কিন্তু, ব্যাপার হল, বেচারার প্যান্টের পশ্চাতদেশে কিঞ্চিত ফাটাছেঁড়া, সেই অংশটুকু বোধহয় সে অতিরিক্ত ভাব নিয়ে হাঁটতে যেয়ে ছিড়ে ফেলেছে। মানে, সেলাই খুলে গেছে।
বেচারার আন্ডারওয়্যার দেখা যাচ্ছে। মুখটা বাধ্য হয়েই ঘুরিয়ে নিলাম। অন্য দিকে তাকালাম।
তাকিয়ে দেখি, দুইটা মেয়ে ওই ছেলের অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে
তাদের সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে, আমি দাঁতগুলো বের করে দিলাম
আমার ক্লাসের দুইটা ছেলে আবার সবাইকে আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছে যে আমি মেয়েদের দিকে দাঁত বের করে হাসতেছি। সেইটা নিয়া আবার ওরা হাসতেছে।
সবাই হাসতেছে এটা টের পেয়ে দেখি ওই ছেঁড়া প্যান্টের ছেলেও কিছু না বুঝেই হাসতেছে। ওর হাসি দেখে আমি আর হাসি থামাতে পারছিলাম না। মেয়েগুলি আমাকে খেয়াল করল এতক্ষণে। ওরা নিশ্চিত আমাকে মহা অভদ্র ভাবল। আমি তবুও দাঁত ভিতরে ঢুকাতে পারছিলাম না
ঘটনা ৩
এইটা আমার সবচেয়ে প্রিয়।
আমার বাসার সামনেই একটা সরকারী কলেজ। নাম হল মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। এখানে গত এক বছর মেইন গেটে একটা ব্যানার টানিয়ে রাখা হয়। ওখানে লেখা ছিল,
“ রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস। শুভেচ্ছায় ছাত্রদল। ”
অতিসম্প্রতি ব্যানারটা কারা যেন ছিঁড়ে ফেলেছে।
[ যেহেতু এই সিরিজে সব বাস্তব কাহিনী, তাই দম ফাঁটানো হাসির কৌতুক আশা না করাই ভাল।]
প্রথম পর্ব Click This Link
দ্বিতীয় পর্ব Click This Link
তৃতীয় পর্ব Click This Link
পঞ্চম পর্ব Click This Link
ষষ্ঠ পর্ব Click This Link
© আকাশ_পাগলা
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



