প্রতিদিনের কথা প্রতিদিন না লিখলে অন্য কথারা পুরোনো কথার জায়গা করে নেয়। প্রতিদিন তাই লেখা উচিত। আমার মতো যাদের স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত দূর্বল, তাদের প্রতিদিন একটু একটু করে লেখা উচিত। আমার কেনো জানিনা মনে হয় প্রতিদিন কিছুটা লিখলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। গুগল ফুগল করে এর সত্যতা যাচাইয়ে কোনো বাহাদুরি পাচ্ছি না। কিছুটা আন্দাজ, কিছুটা অনুমান জীবনকে সহজ করতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো মহান লেখক বলেছিলেন সতর্ক না থাকলে মানুষ নাকি ন্যায় অন্যায় নিয়ে তালগোল পাকিয়ে অন্যায়ের পক্ষ নিতে পারে। তারমানে যারা অন্যায়ের সাথে জড়িত তাদের অনেকেই কি জানেনা যে তারা অন্যায় করছে? এপ্রিলের এসময়টাতেই রুয়ান্ডায় গণহত্যা শুরু হচ্ছিলো। ন্যায় অন্যায়ের বোধ জন্মানোর পদ্ধতিটা খুব জটিল মনে হচ্ছে।
আজকে এক বন্ধুকে দেখতে গিয়েছিলাম। তার পিত্তে পাথর আর এপেনডিক্সের অপারেশন হয়েছে। ভাবছিলাম কি নিবো কি নিবো। পরে এক পাতা সিবিট নিলাম বিশ টাকায়। নানা বৃত্তান্তের পর তাকে সিবিটের পাতাটা দিলাম। সে দেখি মহাখুশি হলো। পাঁচ বছর পরে নাকি সিবিট খাবে সে। তার বাবা ছোট থাকতে তার জন্য সিবিট আনতো। মানুষকে আনকমন গিফট দিতে ভালো লাগে আমার। যেটা হয়তো সে প্রত্যাশা করছিলো না। কারো বাসায় গেলে কেনো জানি আমার শনপাপড়ি নিতে ইচ্ছা হয়। মা পছন্দ করেননা আমার এই উদ্ভট আচরণ।
আজকে একটা বই কিনলাম। সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ দস্যুদের রুপান্তরের গল্প। ইউপিএলের বই। আরেকটা বই পড়ছি, Onitsha. বইটা ছোট। কালকে প্রবোধকুমার সান্যালের একটা ছোটগল্প পড়লাম: অঙ্গার। খুবই দুঃখিত হলাম। দুইটা বিশ্বযুদ্ধে এই বাংলায় কতকিছু হয়েছে, বেশিরভাগই জানি না। পাটের দাম বৃদ্ধি পেয়ে নাকি মুসলমান কৃষকদের ভাগ্য খুলে গিয়েছিলো। পাট নিয়ে একটা দারুণ বই আছে। A Local History of Global Capital. বইয়ের লেখকের সাথে একদিন বাতিঘরের ছাদে আড্ডা জমেছিলো। খুব ভালো লেগেছিলো তাকে। তবে কোনো এক কারণে বইটা বেশি পড়তে পারিনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




