
মেঘবাড়ি
অসম্ভব মেঘে আমাদের জানালা ভরে আসে,
দূর পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা খায় রোদ আর ছায়া।
একটা গিরগিটি ওম চায় কাঠের বারান্দায়, যখন
বৃষ্টির শপথ করে মাটির গন্ধ আর প্রেমিকার চোখ।
পরিচিত মানুষদের অপরিচিত করে দিতে দিতে-
আমি বসে থাকি আমার গন্তব্যের দিকে। তখন
কাউকে কখনো বিরক্ত না করতে চাওয়ার ব্রত
গভীর শূন্যতার চিঠি পাঠায় আমার কটেজে। তাই
মানুষের পরম মমতাকে ছুটি দিও বনফায়ারের বেলায়।
যেহেতু কখনও পাশাপাশি বসা মানেও, প্রকৃতপক্ষে-
অনেক দূর দূরত্বে থাকা একে অন্যের থেকে।

ঝিলমিল রেস্তোরায় সন্ধ্যা
আকাশের অন্ধকারে কোথাও লেপ্টে আছে
আমাদের একমাত্র চাঁদ।
অরক্ষিত নগ্ন শহরের রাস্তাগুলো দিয়ে
হেঁটে যাচ্ছি হৈমন্তিক শীতের সন্ধানে।
হঠাৎ কাবাব খেতে মন চাইলো-
অথবা এই কবিতাটা লেখার জন্য একটু বিরতি।
পানশালায় একা মানুষের দুঃখ ডোবানোর চেয়ে
তাই নিরিবিলি এই সন্ধ্যার পেটে বসে দেখি
কালো জলরাশির ওপারে
ধনীদের সম্পদের উজ্জ্বল মিনার। শুনি
এক মিনিট মনের কথা বলতে চাওয়ার আকুলতা
রাতের পাখি হয়ে ডানা ঝাপটায় অন্য কোথাও। আর
হলদে আলোর নিচে আমি অপেক্ষা করি
আমার কাবাব বা এই কবিতাটির মৃত্যুর।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




