somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আদম আঃ গন্দম ফল খাওয়ার কারণেই আমরা পৃথিবীতে আসছি। আসলেই কি তাই?

১৭ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসসালামু আলাইকুম,
সকলের উপর আল্লাহর শান্তি রহমত বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি বর্ষিত হোক সেই ব্যক্তির উপর যে হেদায়েতের অনুসরণ করে কাফেরদের মধ্য থেকে, মুশরিকদের মধ্যথেকে, মুনাফিকদের মধ্যথেকে এবং নাস্তিকদের মধ্যথেকে।

আল্লাহ বলেছেন,
সূরা আল ইমরান-৬৪এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক
১। আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না।
অর্থ্যাৎ আল্লাহর আইনকানুন মানাও যেমন আল্লাহর ইবাদত তেমনি আল্লাহর কোরআনের আইনের উপস্থিতিতেও মানুষের রচিত আইন মানা মানুষের ইবাদত। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

২। তার সাথে কোন কিছু শরীক করি না।
অর্থ্যাৎ তার আদেশ সবার উপরে। তার আদেশের বা কোন আইন কানুন বিধিবিধান এর সাথে মানবরচিত আইন কানুন বা বিধি বিধানকে শরীক করিনা।

৩। আমাদের মধ্যে কাউকে আল্লাহ ছাড়া রব (আদেশদাতা বিধানদাতা ইলাহ হিসাবে) মানি না।

যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলে দাও, তোমরা স্বাক্ষী থাক আমরা মুসলিম (আত্মসমর্পণকারী আল্লাহর কাছে হোক সেটা নিজের ইচ্ছার পক্ষে হোক বা বিপক্ষে)।
============================================


অনেকে মনে করেন আদম আঃ গন্দম ফল খাওয়ার জন্যই আল্লাহ তাকে দুনিয়াতে নামিয়ে দিয়েছেন। তা না হলে আমরা জান্নাতেই থাকতাম। আসুন দেখি হাদিস কি বলে।

--------------------------------------------------------------------------
আবু হুরাইরাহ রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসুল সাঃ এর মুখে এই বর্ণনা শুনেছি যে, একদা আদম আঃ ও মুসা আঃ বিতর্কে লিপ্ত হলেন। মুসা (আঃ) আদম (আঃ) কে বলিলেন, হে আদম আঃ, আপনি আমাদের আদি পিতা, (আপনাকে আল্লাহ নিজ বিশেষ কুদরতে পিতা মাতার মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি সৃষ্টি করেছেন এবং জান্নাতে রেখে দিয়েছিলেন। আপনি নিজ ত্রুটির দরুন সেখান থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। এই ভাবে) আপনি আমাদেরকেও বঞ্চিত করেছেন এবং জান্নাত থেকে আমাদের বের করেছেন।

আদম আঃ বললেন, হে মুসা আঃ , আল্লাহ আপনাকে বিশেষ ভাবে মর্যাদাবান করেছেন, তিনি আপনার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন এবং তাওরাত গ্রন্থ দান করেছেন। সেই গ্রন্থ আমার সৃষ্টির চল্লিশ বৎসর পূর্বেই লেখা হয়ে ছিল। আপনি কি সেই তাওরাত গ্রন্থে পান নি, "আদম তাহার রবের আদেশের বরখেলাপ করে ফেলল এবং সে দোষ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হল।

আদম আঃ বললেন, আপনি আমার উপর এমন একটি কাজের জন্য দোষারোপ করছেন যা আল্লাহ আমার জন্য লিখে রেখেছেন আমার সৃষ্টির চল্লিশ বৎসর পূর্বে। এই তর্কে আদম আঃ মুসা আঃ এর উপর জয়ী হলেন।

(বর্ণনায়-বুখারী, ৭ম খন্ড, হাদিস নং-২৫১৫, লেখক- আল্লামা আজিজুল হক। )

(হাদিসে ব্রেকেটের ভিতরের লেখা লাইনগুলো মুসলিম শরীফ থেকে নেওয়া)
--------------------------------------------------------------------------

আলহামদুলিল্লাহ। প্রথমত মুসা (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) অভিযোগ আরোপ করলেন যে আদম (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) যদি গন্দম ফল না খেতেন তাহলে আমরা জান্নাতেই থাকতাম। কিন্তু আদম (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) সেটার ব্যাখ্যা দিলেন যে, তোমাদের পৃথিবীতে আসার জন্য আমার বিরুদ্ধে তোমার যে অভিযোগ সেটা ভূল। কারণ গন্দম ফল খাওয়ার জন্য বা আমার ভূলের জন্য তোমরা পৃথিবীতে আস নাই। তোমরা যে পৃথিবীতে আসবা সেটা চল্লিশ বছর আগেই স্থির করা হইছে।

মুসা (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) বললেন, আপনি নিজ ত্রুটির দরুন সেখান থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।

আদম (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) সেটা স্বীকার করলেন এবং বললেন আমাকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং সেটা তোমাকে প্রদত্ত তাওরাতেও উল্লেখ আছে।

মুসলিমরা তাদের দোষ স্বীকার করে। দোষ করে দোষ স্বীকার না করা হলো শয়তানের কাজ।

আল্লাহ নো দ্যা বেস্ট।
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×