somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লালায়িত রোজাদার

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের ইফতারিতে কি কি খেয়েছিলাম বলি।

আধা গ্লাস পানি দিয়ে দোয়া পড়ে রোজা ভাঙলাম।

ইফতার শুরু করেছিলাম- চালের গুড়ার ফির্নি দিয়ে। হালকা গরম। ফির্নিতে দুধ, চিনি, মশলা আর অন্যান্য উপাদান পরিমাণমতো।

মাঝে আধা গ্লাস পানি।

এরপর খেলাম নুডলস আর ছোলা/মটর মিক্সচার- পুরো এক প্লেট; এটাতে পুষ্টিকর মশলা, মরিচ, সবজি মেশানো।

এই ঝাল আইটেমটা খাওয়ার মাঝখানে ও শেষে খেলাম মোট দেড় গ্লাস কমলা/লেবুর জুস; ইন্সট্যান্ট জুস পাউডার দিয়ে বানানো।

মোট দুই গ্লাসের চেয়ে একটু বেশি পরিমাণ তরল। একটা মিষ্টি আইটেম; পরিমাণে হালকা। একটা ঝাল আইটেম; পরিমাণে ভারী। কোন ভাজাভুজা নাই।

বাধ্যতামূলক রঙিন ফল হিসেবে তরমুজ ও আনারস ছিলো। কিন্তু সাথে সাথে খাইনি। ঘন্টাখানেক পরে একবার তরমুজ; তারও এক ঘন্টা পরে আনারস খেলাম। সেহেরির আগ পর্যন্ত তৃষ্ণা ও প্রয়োজনমত পানি।

দুনিয়ার যেকোন ডাক্তার, পুষ্টিবিদ, বিজ্ঞানী বা ইসলামিক স্কলারকে এই খাবার মেন্যু ও পদ্ধতি জিজ্ঞেস করে রায় নিয়ে নিতে পারেন।

কিন্তু আক্ষরিক অর্থে দুই বা চার আইটেম দিয়ে কারো বাসায় দাওয়াতে, কিংবা রেস্টুরেন্টে, কিংবা টিফিন বক্সে পাঠানো ইফতার দেখলে- আমাদের মধ্যে কয়জন হাসিতামাশা বা রাগ বা আশ্চর্য না হয়ে পারবেন??

খোদ মহানবী (স)-ও একটা খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করতেন; একটা বিশুদ্ধ খেজুরের পুষ্টিমান সম্পর্কে কয়জনই বা জানে? অথচ আমরা যেকোন খাবার রাক্ষসের মত বিশাল পরিমাণে যেমন খাই, তেমনি খাবারের আইটেমের সংখ্যাও অনেকগুলো না হলে আমাদের তৃপ্তি হয় না!

রাজা-বাদশাহ, উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ী-চাকরিজীবি, বা টিভি-সিনেমার কাল্পনিক সব জীবনযাপন দেখে দেখে আমাদের সবারই বিলাসবহুল, অদরকারী, ভোগবাদী, ক্ষতিকর, অনৈতিক, অপচয়বহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি, অভ্যস্ত হতে চাইছি।

ঘরের বাজার করা, বাজার সামলানো, রান্না করা, খাবারের পরের ধোয়ামুছা, এসবের জন্য সহমর্মিতার কথা বাদই দিলাম। নিজেদের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যের কথাও আমরা ভাবি না। সুষম খাদ্য ও পুষ্টির পরিবর্তে মুখের স্বাদ ও চোখের সাধকে আমরা প্রাধান্য দিই।

রমজানের মূল যে শিক্ষাগুলো, তার মধ্যে সংযম অন্যতম প্রধান। অথচ আমরা আমাদের জীবনের সবক্ষেত্রে কতটুকু সংযম পালন করতে পারছি?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:১০
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×