somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৌত্তলিকতায় যাজকই হন ঈশ্বর

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৌত্তলিকতা শুধু ধর্ম নয়, সব আদর্শতেই ভর করে। এর সুবিধা হলো ভগবানকে একটা নিরেট জড় বস্তুতে বন্ধী করে, সময়ের সা‌থে তাল মিলিয়ে মনের খায়েশগুলোকে ধর্ম বাণী বলে প্রচার করা যায়। পৌত্তলিকতায় যাজকই হন ঈশ্বর। যুগে যুগে নিপিড়ন মুলক শাসনের সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে আসছে এই পৌত্তলিকতা।
.
"আমি যাহা বলিবো তাহাই ভগবানের বাণী" - নিজের শাসন প্রতিষ্ঠায় এটা বেশ কার্যকরি কৌশল। কেউ কেউ সরাসরি খোদার সাথে কানেকশান নিয়ে সকাল বিকাল হাই হ্যালো হয় এমন দাবী করে। ঋষি মোদীজী যেমন নিজেকে ঈশ্বর মনোনীত বলেন। কেউ আবার ধর্মীয় কিতাব বুঝাতো দূর, পড়াও বাদ দিয়ে সেটাকে ঠোঙ্গায় ভরে মানুষের মাজায় বেঁধে দেয়। আর হাদিয়া তুলে সর্ব রোগের ঐষধ হিসেবে।
.
সব শাসন ব্যবস্থা দাঁড়ায় কিছু আদর্শের উপর ভর করে। যার জন্যে দেশের মানুষের যুদ্ধ সংগ্রামের ইতিহাস থাকে। থাকে প্রচন্ড ইমোশান। তাই যে আদর্শের জন্যে যুদ্ধ সংগ্রাম হলো সেটাই সাম‌নে থাকতে হয়। চতুর শাসক দল সময়ের সাথে সাথে আন্দোলনের ইশতেহার গায়েব করে দিয়ে সামনে নিয়ে আসে যোদ্ধাদের মূর্তি আর ছবি। মৃত যোদ্ধার বোবা মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে যুগে যুগে তারা নিজের ম‌র্জিকেই চেতনা বলে চালাতে থাকে। তার বিরুদ্ধে যাওয়া মানেই চেতনার বিরুদ্ধে যাওয়া। এমন শাসন এর তরতাজা স্বাক্ষী আমরা বাংলাদেশীরা।
.
সব ধর্মে পৌত্তলিকতার শুরু হয় ধর্ম গুরুর মূর্তি তৈরী করে উপাসনার মাধ্যমে। কোন ধর্মপ্রচারকই নিজের মূর্তি বানিয়ে উপাসনা করেন নি। করতে বলেছেন এমনও শুনা যায়না। ধর্ম গুলোর সবচেয়ে বড় উপাসনাটাই শুরু হয় সেই ধর্মের প্রবর্তকের অনুমতি ছাড়া। সব ধর্মেরই উৎসবের দিন ধর্মগুরুর জন্মদিন‌, না হয় মৃত্যুদিন উপল‌ক্ষে হয়। পুরো ব্যাতিক্রম ইসলাম। এখানে নবী মোহম্মদের (স:) জন্ম মৃত্যু নিয়ে কোন ব্যা‌ক্তি কে‌ন্দ্রিক উৎযাপন তিনি করতে বলেন নি। আর যা তিনি বলেননি তা এই ধর্মে নেই।
.
ইসলাম পূর্ব যুগে মক্কার শাসনের ভিত্তি ছিলো ধর্ম। শ তিনেক বোবা মূর্তি সামনে রেখে আবু লাহাব আর আবু জাহেলরা বলে বেড়াতো তারা এই ঈশ্বরদের মনোনিত উত্তম পুরুষ, কাবার রক্ষক। সকল ব্যবসা বানিজ্য তাই তারাই করবে। যারা দাস, যারা দরিদ্র তাদেরকে দেবতারাই দরিদ্র হিসেবে নির্ধারন করেছেন। তাই তারা ব্যবসা করবে না, সম্পদের মালিক হবে না। গৌত্র প্রধানদের ভয়াবহ বৈষম্য আর জুলুম মানিয়ে নেয়ার জন্যে মানুষের মনের গভীরে গেঁড়ে দেয়া হতো হুবাত, আল লাত, আজ উজ্জার মত পাথুরে দেবতাদের আজাবের ভয়। ইসলাম কায়েমের পর নবী মোহম্মদ (স:) এই সব ভয়ের বীজ, পৌত্তলিক শাসনের স্তম্ভ, সমস্ত মূর্তি ভেঙ্গে চুরে মাটি চাপা দিয়ে দেন। তাঁর ধর্মে খোদার সাথে করা সবচেয়ে বড় পাপ হলো শীরক। এখানে ধর্মীয় বিধি- বিধান, আনন্দ-উৎযাপন সব কিছুই চুড়ান্ত হয়ে আছে চৌদ্দশ বছর আগেই। যা কিছু আছে তা তখনো ছিলো। যা কিছু নাই তা তখনো ছিলো না।
.
তার পরও এই ধর্মেও পৌত্তলিকতা আসে বিভিন্ন রুপে। বিভিন্ন ঢঙে। হীন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ কিংবা ধর্ম অন্য যাই হোক, পৌত্তলিকতা মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুরবেই। নি‌জে‌কে ঈশ্বর হি‌সে‌বে জাহির করার আদি আর অব্যার্থ কৌশল হ‌লো শীরক।পৌত্তলিকতা শুধু ধর্ম নয়, সব আদর্শতেই ভর করে। এর সুবিধা হলো ভগবানকে একটা নিরেট জড় বস্তুতে বন্ধী করে, সময়ের সা‌থে তাল মিলিয়ে মনের খায়েশগুলোকে ধর্ম বাণী বলে প্রচার করা যায়। পৌত্তলিকতায় যাজকই হন ঈশ্বর। যুগে যুগে নিপিড়ন মুলক শাসনের সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে আসছে এই পৌত্তলিকতা।
.
"আমি যাহা বলিবো তাহাই ভগবানের বাণী" - নিজের শাসন প্রতিষ্ঠায় এটা বেশ কার্যকরি কৌশল। কেউ কেউ সরাসরি খোদার সাথে কানেকশান নিয়ে সকাল বিকাল হাই হ্যালো হয় এমন দাবী করে। ঋষি মোদীজী যেমন নিজেকে ঈশ্বর মনোনীত বলেন। কেউ আবার ধর্মীয় কিতাব বুঝাতো দূর, পড়াও বাদ দিয়ে সেটাকে ঠোঙ্গায় ভরে মানুষের মাজায় বেঁধে দেয়। আর হাদিয়া তুলে সর্ব রোগের ঐষধ হিসেবে।
.
সব শাসন ব্যবস্থা দাঁড়ায় কিছু আদর্শের উপর ভর করে। যার জন্যে দেশের মানুষের যুদ্ধ সংগ্রামের ইতিহাস থাকে। থাকে প্রচন্ড ইমোশান। তাই যে আদর্শের জন্যে যুদ্ধ সংগ্রাম হলো সেটাই সাম‌নে থাকতে হয়। চতুর শাসক দল সময়ের সাথে সাথে আন্দোলনের ইশতেহার গায়েব করে দিয়ে সামনে নিয়ে আসে যোদ্ধাদের মূর্তি আর ছবি। মৃত যোদ্ধার বোবা মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে যুগে যুগে তারা নিজের ম‌র্জিকেই চেতনা বলে চালাতে থাকে। তার বিরুদ্ধে যাওয়া মানেই চেতনার বিরুদ্ধে যাওয়া। এমন শাসন এর তরতাজা স্বাক্ষী আমরা বাংলাদেশীরা।
.
সব ধর্মে পৌত্তলিকতার শুরু হয় ধর্ম গুরুর মূর্তি তৈরী করে উপাসনার মাধ্যমে। কোন ধর্মপ্রচারকই নিজের মূর্তি বানিয়ে উপাসনা করেন নি। করতে বলেছেন এমনও শুনা যায়না। ধর্ম গুলোর সবচেয়ে বড় উপাসনাটাই শুরু হয় সেই ধর্মের প্রবর্তকের অনুমতি ছাড়া। সব ধর্মেরই উৎসবের দিন ধর্মগুরুর জন্মদিন‌, না হয় মৃত্যুদিন উপল‌ক্ষে হয়। পুরো ব্যাতিক্রম ইসলাম। এখানে নবী মোহম্মদের (স:) জন্ম মৃত্যু নিয়ে কোন ব্যা‌ক্তি কে‌ন্দ্রিক উৎযাপন তিনি করতে বলেন নি। আর যা তিনি বলেননি তা এই ধর্মে নেই।
.
ইসলাম পূর্ব যুগে মক্কার শাসনের ভিত্তি ছিলো ধর্ম। শ তিনেক বোবা মূর্তি সামনে রেখে আবু লাহাব আর আবু জাহেলরা বলে বেড়াতো তারা এই ঈশ্বরদের মনোনিত উত্তম পুরুষ, কাবার রক্ষক। সকল ব্যবসা বানিজ্য তাই তারাই করবে। যারা দাস, যারা দরিদ্র তাদেরকে দেবতারাই দরিদ্র হিসেবে নির্ধারন করেছেন। তাই তারা ব্যবসা করবে না, সম্পদের মালিক হবে না। গৌত্র প্রধানদের ভয়াবহ বৈষম্য আর জুলুম মানিয়ে নেয়ার জন্যে মানুষের মনের গভীরে গেঁড়ে দেয়া হতো হুবাত, আল লাত, আজ উজ্জার মত পাথুরে দেবতাদের আজাবের ভয়। ইসলাম কায়েমের পর নবী মোহম্মদ (স:) এই সব ভয়ের বীজ, পৌত্তলিক শাসনের স্তম্ভ, সমস্ত মূর্তি ভেঙ্গে চুরে মাটি চাপা দিয়ে দেন। তাঁর ধর্মে খোদার সাথে করা সবচেয়ে বড় পাপ হলো শীরক। এখানে ধর্মীয় বিধি- বিধান, আনন্দ-উৎযাপন সব কিছুই চুড়ান্ত হয়ে আছে চৌদ্দশ বছর আগেই। যা কিছু আছে তা তখনো ছিলো। যা কিছু নাই তা তখনো ছিলো না।
.
তার পরও এই ধর্মেও পৌত্তলিকতা আসে বিভিন্ন রুপে। বিভিন্ন ঢঙে। হীন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ কিংবা ধর্ম অন্য যাই হোক, পৌত্তলিকতা মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুরবেই। নি‌জে‌কে ঈশ্বর হি‌সে‌বে জাহির করার আদি আর অব্যার্থ কৌশল হ‌লো শীরক।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০২
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×