৫ আগস্ট ২০২৪। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কিছু একটা বলবেন শুনেই সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে গেল। তাঁর কথা বলার আগেই ৬৪ জেলায় উত্তেজনার স্রোত ছড়িয়ে পড়ল, এমনকি যারা তাঁর নামও জানত না, তাদের মাঝেও। কারণ? কারণ তিনি একজন জেনারেল, আর্মির প্রতিনিধি। আর্মি প্রধান।

এই দৃশ্যে ১৯৭১-এর প্রতিধ্বনি আছে। "আমি মেজর জিয়া বলছি"—এই ঘোষণার মাত্র কয়েকটি শব্দই যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছিল। ঘোষণাটার উত্তাপ ওই দুর্যোগের সময়ে কতটা তীব্র হয়েছিল, তা ২০২৪ সালে সহজেই আঁচ করা যায়। আর্মির কাছ থেকে এমন একটি ঘোষণার আকাঙ্ক্ষা ‘২৪-এর গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিলে যায়।
একজন মেজরকে "আর. জে" বলা আর জেনারেল ওয়াকারকে সংবাদ পাঠক বলা প্রায় কাছাকাছি ব্যাপার। যুদ্ধে আর্মিই নেতৃত্বে থাকে। হিটলার, তার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতা রুজভেল্ট, চার্চিল কিংবা স্ট্যালিনের মতো ব্যাটলফিল্ড আর্মির হাতে ছেড়ে না দিয়ে সেখানে নাক গলাতেন। স্টালিনগ্রাদে রেড আর্মির "অপারেশন ইউরেনাস"-এর বিপরীতে নাৎসি বাহিনী রিট্রিট করতে চাইলে হিটলার বাধা দেন। শক্তীশালী নাৎসি বাহিনীর পতনে হিটলার নিজেই ভালো অবদান রাখেন এভাবে।
একাত্তরে রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি জেলে বা কলকাতায় না থেকে জেড ফোর্স, কে ফোর্স গুলোর উপর খবরদারী করতো তাহলে কী হতো, তার নমুনা বাংলাদেশ দেখেছে ২০০৯ সালে। বিডিআর বিদ্রোহের সময় সেনাবাহিনীর উপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলস্বরূপ, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হারানোর ক্ষত এখনো দগদগে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


