দেশে প্যারাসাইটের সংখ্যা কম নয়। কৃমির চোষকের মতো চাপাতি-রামদা দিয়ে এই গোষ্ঠী অন্যের আয়-রোজগার খেয়ে অভ্যস্ত। এই প্যারাসাইট গোষ্ঠী সব সময়ই হোস্ট বডিতে টিকে থাকার পরিবেশ চাইবে। টেম্পু স্টেশন আর কাঁচা বাজারে চাঁদা উঠবে, রাস্তার কাজে ইট চুরি হবে, পিলারপ্রতি কমিশন থাকবে। সাকিবের জুয়ার চাকা ঘুরবে, অফিসে অফিসে ঘুষের মচ্ছব বসবে—তবেই জমবে মজা। আরেক ধরনের প্যারাসাইট আছে আয়-রোজগারকে র্যাফেল ড্রয়ের মতো ভাবে। বিশ্বাস করে, যতই হারুক, যতক্ষণ জুয়ার চাকা ঘুরবে, ততক্ষণ তাদেরও সুযোগ আছে এলিট হওয়ার। তাই অবশ্যই জুয়া চলতে দিতে হবে। এরা ডেসটিনি-ইভ্যালির চতুর গ্রাহক।
.
এই কৃমি সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন যথাযথ গডফাদারের। যেমন নীল চাষ করিয়ে ব্রিটিশদের কাছ থেকে খানদানি বংশমর্যাদা পাওয়ার জন্য জমিদার আর দাদন ব্যবসায়ীদের উপরে ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এই গডফাদার আওয়ামী লীগ না বিএনপির, ভারত না পাকিস্তানের—এতে প্যারাসাইট গোষ্ঠীর কিছুই যায় আসে না। এখানে তারা গডফাদারদের জন্যে রেডিমেইড বাজার তৈরি করে রেখেছে। শুধু রামদা আর মানুষ পোড়ানোর পরীক্ষা উৎরালেই সে সাজানো গোছানো প্যারাসাইট ফলোয়ার পেয়ে যাবে।
ড. ইউনূসের মতো রসুন এর কোয়া যতক্ষণ পেটে থাকবে, কৃমির জাতের জন্য ততই জীবন-মরণ সংগ্রাম তৈরি হবে। এই পরিবেশ যত দীর্ঘায়িত হবে, ততই সকল জাতের কৃমি একজোট হবে। তারা দাবি তুলবে যে, সব জাতের কৃমি মিলে সিদ্ধান্ত নেবে হোস্ট বডি কী খাবে আর কী খাবে না। তারা যেহেতু রক্ত খায়, তাই তারাই সব রক্তকণিকার প্রতিনিধিত্ব করবে। এটাই কৃমি কলোনীর ডেমোক্রেসী।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


