somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খুন-গুমের জন্যে হাসিনা সরকারকে আমরা ক্ষমা করছি না কেন!

০১ লা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Forgive but not Forget. মাদিবার বিখ্যাত বাণী।

২৩ থেকে ২৫ হাজার মানুষকে খুন-গুম করার পরও পরাজিত বর্ণবাদী সরকারের খুনি অফিসারদের ক্ষমা করে দিয়ে ছিলো নেলসন ম্যান্ডেলার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (ANC)। ১৯৪৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত চলেছিল এই দুর্বিষহ বর্ণবাদী শাসন। ২৭ বছর জেল খেটে আসা নেলসন ম্যান্ডেলা ওদের ক্ষমা করতে পারলেও আমরা ১৭ বছরের খুন-গুমের জন্যে হাসিনা সরকারকে ক্ষমা করতে পারছি না কেন! এর উত্তর এতটুকু পড়ে যা মাথায় আসছে পুরাটা পড়লেও তাই আসবে।
.
দক্ষিণ আফ্রিকার ভয়ঙ্কর বর্ণবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর পর ANC ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিটি (TRC) গঠন করেন। এর উদ্দেশ্য পরাজিতদের বিচার করা ছিলো না। এই কমিশনের কাজ ছিলো সত্য অনুসন্ধান করা। বিচার ছাড়া রিকনসিলিয়েশন হবে না। আর বিচারের জন্যে সত্য অনুসন্ধান লাগবেই। খুন এবং গুমের সাথে জড়িত বর্ণবাদী সরকারের লোকজন, পুলিশ আর আর্মির অফিসার যারা সরাসরি হত্যা যজ্ঞে জড়িত তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে The Promotion of National Unity and Reconciliation Act, 1995 এর অধীনে। এই ক্ষমা ছিলো সত্য বলার আর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার বিনিময়ে।
.
তো আমরা কেন ক্ষমা করতে পারছি না! কারণ এখানে তো কেউ ক্ষমাই চাচ্ছে না। দু’হাতে খুন-খারাপি করে লুটের মালসামাল নিয়ে পরাজীত শক্তি বৈদেশিক বিলাসে ঢুকে গেছে। চুরির টাকায় লোক ভাড়া করে রাজনৈতিক গণ্ডগোল পাকাচ্ছে, অনলাইনে বট কমেন্ট করাচ্ছে, সাংবাদিক ও লবিস্ট কিনছে। আর সর্বক্ষণ আরো খুনের হুমকি দিচ্ছে! কী বিন্দাস জমিদারী জীবন।
.
অপরাধবোধ আসে বিচার থেকে। বিচার বা সামাজিক শাস্তির প্রক্রিয়া ছাড়া “guilt response” সক্রিয় হয় না। যখন সমাজ অপরাধীর জন্য জবাবদিহিতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়, তখন মস্তিষ্কে “moral disengagement” ঘটে — অর্থাৎ মানুষ নিজের অপরাধকে যুক্তি দিয়ে বৈধ করতে শেখে, এবং অপরাধের পুনরাবৃত্তি বাড়ে। বিচার আচরণ না থাকলে ১৪শ না, ১৪ কোটি খুন করলেও কোনো অনুশোচনা আসবে না। বরং পাখি শিকারের মতো অহংবোধ বাড়বে। স্বাভাবিক। যখন কেউ বুঝে যায় যে তার অপরাধের বিচার হবে না, তখন সে self-righteous dominance এ ভোগে। এক বছরে অন্তত দশটা বিচারও যদি শেষ করে রায় কার্যকর করা যেত, অডিও-ভিডিও বার্তাগুলো ভিন্ন রকম আসতো।
.
না হলে কোনো বিচার, না উদ্ধার হলে কোনো চুরির মাল।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×