somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আহমেদ রুহুল আমিন
“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ” -আহমদ ছফা ।

....বই পড়া যে ভালো, তা কে না মানে ?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

" আমি লাইব্রেরিকে স্কুল কলেজের ওপরে স্থান দিই এই কারণে যে, এ স্থলে লোকে স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে স্বশিক্ষিত হবার সুযোগ পায়; প্রতিটি লোক তার স্বীয় শক্তি ও রুচি অনুসারে নিজের মনকে নিজের চেষ্টায় আত্মার রাজ্যে জ্ঞানের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। স্কুল কলেজ বর্তমানে আমাদের যে অপকার করছে সে অপকারের প্রতিকারের জন্য শুধু নগরে নগরে নয়, গ্রামে গ্রামে লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা করা কর্তব্য। আমি পূর্বে বলেছি যে, লাইব্রেরি হাসপাতালের চাইতে কম উপকারী নয়, তার কারণ আমাদের শিক্ষার বর্তমান অবস্থায় লাইব্রেরি হচ্ছে একরকম মনের হাসপাতাল। অতঃপর আপনারা জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে, বই পড়ার পক্ষ নিয়ে এ ওকালতি করবার, বিশেষত প্রাচীন নজির দেখাবার কী প্রয়োজন ছিল? বই পড়া যে ভালো, তা কে না মানে? আমার উত্তর সকলে মুখে মানলেও কাজে মানে না। মুসলমান ধর্মে মানবজাতি দুই ভাগে বিভক্ত। যারা কেতাবি, আর এক যারা তা নয়। বাংলায় শিক্ষিত সমাজ যে পূর্বদলভুক্ত নয়, একথা নির্ভয়ে বলা যায় না; আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায় মোটের ওপর বাধ্য না হলে বই স্পর্শ করেন না। ছেলেরা যে নোট পড়ে এবং ছেলের বাপেরা যে নজির পড়েন, দুই-ই বাধ্য হয়ে, অর্থাৎ পেটের দায়ে। সেইজন্য সাহিত্যচর্চা দেশে একরকম নেই বললেই হয়; কেননা, সাহিত্য সাক্ষাৎভাবে উদরপূর্তির কাজে লাগে না। বাধ্য হয়ে বই পড়ায় আমরা এতটা অভ্যস্ত হয়েছি যে, কেউ স্বেচ্ছায় বই পড়লে আমরা তাকে নিষ্কর্মার দলেই ফেলে দিই; অথচ একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না, যে জিনিস স্বেচ্ছায় না করা যায়, তাতে মানুষের মনের সন্তোষ নেই। "
- প্রমথ চৌধুরী।
...…...................................................................…...........................................................................................
জনাব মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন । তিনি একজন বই পাগল নিভৃতচারী মানুষ। খোদ রাজধানী ঢাকার কসাইটুলিতে জন্ম। বাপ-দাদা চৌদ্দপুরুষের বাস হাজারীবাগে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আসিন থেকে ( অবসরপ্রাপ্ত যুগ্নসচিব) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। একসময় সরকারি চাকুরীর সুবাদে পঞ্চগড়ে আসা। উত্তরবঙ্গের শীত উপেক্ষা করে এখানকার দারিদ্রপিড়িত মানুষকে ভালবেসে স্থায়ী ডেরা গেড়েছেন তেঁতুলিয়া উপজেলার ডাহুক নদী সংলগ্ন অনেকটা নিধুয়া পাথার সাদৃশ্য লোহাকাচি গ্রাম এলাকায়। 'ডাহুক কমপ্লেক্স' নামীয় একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান(বানিজ্যিক উদ্দেশ্য নয়) গড়ে তুলেছেন। যেখানে রয়েছে এলাকার এতিম শিশুদের লালন-পালণ ও বিদেশীভাষাসহ(করোনাপরিস্থিতিজনিত কারণে যা এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি) উচ্চশিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের প্রফেশনাল শিক্ষাব্যবস্থা । সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিকটি হলো এখানে বসবাসের জন্য তিনি বাংলো প্যাটার্নের যে পৃথক দু'টি বাড়ি নির্মাণ করেছেন যার একটিকে "ডাহুক ইতিহাস গবেষণা কেন্দ্র লাইব্রেরি" হিসেবে গড়ে তুলেছেন যার চতুর্দিকে স্বচ্ছকাচের আলমারীর ভিতরে রয়েছে হাজার হাজার বই আর বই...! রয়েছে কযেক যুগের পত্রিকা কালেক্শন। বইকে তিনি যে কি পরিমাণ ভালোবাসেন তা এখানে না আসলে বুঝা যাবেনা। তিনি একজন প্রকৃতিপ্রেমীও বটে। এখানে রয়েছে তার নিজ হাতে লাগানো কয়েক'শ দেশী- বিদেশী প্রজাতির ফলফলাদির গাছ। রয়েছে চাবাগান ও কয়েকহাজার সুপোরীসহ বিভিন্ন গাছপালার সমারোহ। আত্মীয়তার সুবাদে গতকাল ওখানে যাওয়া। এসময় তাঁর ছোটভাই সমতুল্য পিএসসির একজন পরিচালক সস্ত্রীক সদ্য ঢাকা থেকে বেড়াতে এসেছেন। উল্লেখ্য, প্রায় প্রতি সপ্তাহে বিশেষ করে ছুটির দিনে তাঁর বন্ধু বান্ধব- শুভাকাঙ্খীেদের মধ্যে কেউ না কেউ তাঁর ওখানে বেড়াতে আসেন। এখানকার ভবিষ্যৎ বিভিন্ন পরিকল্পনা সম্মন্ধ্যে অনেক কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁর সেই পরিকল্পনা যেন স্বার্থক করেন এই শুভকামনা রইল।
---------++------------

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৪
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×