আত্মজৈবনিক উপন্যাসঃ স্বপ্ন বাসর (পর্ব-১৮)
বুঝেছি আমার নিশার স্বপন হয়েছে ভোর।
মালা ছিল তার ফুলগুলি গেছে, রয়েছে ডোর।
নেই আর সেই চুপি চুপি চাওয়া,
ধীরে কাছে এসে ফিরে ফিরে যাওয়া-
রবিবার সকাল আটটায় রওনা দিয়ে আমরা মধুপুর পৌঁছালাম বেলা প্রায় বারোটার দিকে। দেখলাম এই ছয় সাত বছরে সরকার বাড়িতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। চাচারা যার যার সম্পত্তি ভাগ করে নিয়ে একই ভিটায় ঘর তুলে আলাদা হয়ে গেছেন। আব্বার অংশের জমি বর্গা দেওয়া হয়েছে। সরকার বাড়ি তিন খণ্ডে বিভক্ত হয়ে ভিন্ন রূপ নিয়েছে। আগে যারা দেখেছে, তাদের পক্ষে চেনা কঠিন।
বৈঠকঘরটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। সেখানে বড় ও মেজ চাচার বাড়ির ঘর উঠেছে। আর ছোট চাচা সরে গেছেন পেছন দিকে, যেখানে আগে দাদাজানের ঘর ছিল। গোয়ালঘর আর আগের জায়গায় নেই। ওটাও তিন ভাগ হয়ে তিন দিকে সরে গেছে। আব্বার প্রাপ্য ভিটার অংশ খালি পড়ে আছে। সেখানে একটা মাটির ঘর থাকলেও এখন আর ব্যবহার উপযোগী নয়। বাড়ির পরিস্থিতি দেখে মনে হলো না যে, তিন চাচার মধ্যে তেমন বোঝাপড়া আছে। বাড়ি এমনভাবে পৃথক করা হয়েছে যে ইচ্ছা না করলে কারো সাথে কারো দেখা হওয়া কঠিন।
আমরা গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির দিকে এগোতেই বড় চাচার সাথে দেখা হয়ে গেল। তিনি একটু অবাক হয়ে বললেন, ‘ভাইজান, হঠাৎ আপনারা? আসার আগে একটা খবর দিলে.........।’
আব্বা অত্যন্ত বিরক্তির সাথে বললেন, ‘আমি আমার বাপের বাস্তুভিটায় আসবো, সেজন্য তোমাকে আগে খবর দিতে হবে কেন?’
দাদীমা তখনো বেঁচে আছেন। দাদাজান যে ঘরে থাকতেন, তিনি সেই ঘরেই থাকেন এবং ছোট চাচার ঘরে খান। দাদীমা এখন প্রায় অথর্ব। ছোট চাচীমা তাঁর দেখাশুনা করেন। আমরা সেই ঘরে গিয়ে উঠলাম। আব্বা আমাকে ওযু করতে বলে নিজেও ওযু করে নিলেন। তারপর আমাকে নিয়ে তিনি দাদাজান ও বড় চাচীমার কবর জিয়ারত করতে চললেন। আমাদের পিছে পিছে এলো আলেয়ার ছোট ভাই আমজাদ। আমজাদের বয়স এখন চৌদ্দ পনের বছর। বাড়ি থেকে দেখা যায় এমন দূরত্বে পারিবারিক গোরস্থান। পথে দেখা হয়ে গেল জালালের সাথে। সে এখনো বড় চাচার সাথেই আছে। এখন সে দাড়ি রেখেছে। আমাদের দেখে সে শুধু অবাকই হলো না, আমাদের সাথে সাথে গোরস্থানের দিকে রওনা দিল। মুখে কিছু না বললেও সে বুঝতে পেরেছে যে আমরা কবর জিয়ারত করতে যাচ্ছি।
প্রথমে আমরা দাদাজানের কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। দাদাজান ইন্তেকাল করার পর বড়ভাইকে সাথে নিয়ে আব্বা একবার তাঁর কবর জিয়ারত করে গেছেন। তখন আমি জেলে ছিলাম। কিন্তু অনেক দিনের ব্যবধানে আগাছা ও ঝোপ জঙ্গলে কবরটা ঢেকে যাওয়ায় চেনা যাচ্ছিল না। আমজাদ চিনিয়ে দিল কবরটা। আব্বা পেটের ওপর হাত বেঁধে দোয়া দরূদ পড়তে গিয়েও কী মনে করে থেমে গেলেন। তারপর হাত ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘তোমরা দোয়া দরূদ পড়ে মোনাজাত করো।’
আব্বা দাদাজানের কবর জিয়ারত করবেন না। এর আগে যখন করেছিলেন, তখন আলেয়ার বিয়ে হয়নি এবং সংসারে তার সৎমাও আসেনি। দাদাজানের মৃত্যুর ছয় বছর পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। আব্বা ও বড় চাচার ওপর দাদাজানের নির্দেশ ছিল, তাঁরা যদি তাঁদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে তাঁর কবর যেন তাঁরা জিয়ারত করতে না যান। আব্বা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।
কিভাবে কবর জিয়ারত করতে হয় আমি জানিনা। আব্বা কবরবাসী মুর্দার প্রতি সালাম দেওয়ার নিয়ম থেকে শুরু করে সবগুলো সুরা ও দোয়া দরূদের নাম একটার পর একটা বলে গেলেন। সবগুলো আমার জানা থাকায় আমি পড়ে গেলাম। আমার সাথে সাথে আমজাদ ও জালালও যতটুকু জানা ছিল পড়লো। তারপর দাদাজানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত শেষে অশ্রুভেজা ঝাপসা চোখে তাকিয়ে দেখি আব্বা নিঃশব্দে কাঁদছেন। জন্মদাতা পিতার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও তিনি তা’ জিয়ারত করতে পারলেন না। জীবদ্দশায় পিতার নির্দেশের বাইরে কিছু করার মতো সাহস আমার আব্বা কখনো অর্জন করতে পারেননি। এমনকি পিতার মৃত্যুর পরেও তিনি তা’ পারলেন না।
এরপর বড় চাচীমার কবরের কাছে গেলাম আমরা। আব্বা দোয়া দরূদ পড়ে দু’হাত তুলে মোনাজাত করলেন। আমরা তিনজন অনুসরণ করলাম তাঁকে। এরপর আব্বা অশ্রুসিক্ত চোখে আরো একবার দাদাজানের কবরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। তারপর আমাকে বললেন, ‘চলো যাই।’ তিনি আমার হাত ধরে ফিরে আসার উদ্যোগ নিতেই আমি কেঁদে ফেললাম। বললাম, ‘আব্বা, আমি আমার মায়ের কবরের কাছে একটু বসি।’
আব্বা কিছুক্ষণ আমার দিকে নিষ্প্রাণ চোখে তাকিয়ে রইলেন। তারপর ক্লান্ত স্বরে বললেন, ‘ঠিক আছে, বসো। তবে বেশি দেরি করো না, বাবা। রিজার্ভ গাড়ি, সন্ধ্যের আগেই রওনা দিতে হবে। তা’ না হলে নওহাটা পৌঁছে বাস পাওয়া যাবে না। আমজাদ বা জালাল কেউ একজন তোমার সাথে থাক।’
ওরা দু’জনেই থেকে গেল আমার সাথে। আব্বা চলে গেলেন। আমি বড় চাচীমার কবরের পাশে মাটিতে বসে পড়লাম। মনে হলো, আমার ঘুমন্ত মায়ের পাশে এসে বসেছি।
‘মা, তুমি আমাকে দেখতে চেয়েছিলে। এই যে আমি এসেছি, মা।’
আমার তিন মাসের পালক মায়ের কবরের ঘাস আর মাটি হাত দিয়ে ছুঁয়ে আমি কাঁদছি। আমার সাথে সাথে কাঁদছে আমজাদ এবং জালালও। মৃদুমন্দ বাতাসেও যেন বুকচাপা কান্নার সুর। কবরের কাছাকাছি জিওল গাছে বসে করুণ সুরে ডেকে চলেছে একটা ঘুঘু।
‘ও, মা। মাগো, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও, মা। আমার জন্মদাতা মা বাবাকেও ক্ষমা করে দিও। ওদের কোন দোষ নাই, মা।’
‘মা, তুমি কী করে আমাকে ছেড়ে চলে গেলে, মা? তোমার কী একটুও কষ্ট হলো না? আমার যে খুব কষ্ট হচ্ছে, মা। খুব কষ্ট। তোমাকে হারিয়ে আমি খুব কষ্টে আছি, মাগো।’
আমি মায়ের কবরের মাটি আঁকড়ে ধরে উন্মাদের মতো কাঁদছি। জালাল আমার হাত ধরে উঠানোর চেষ্টা করতে করতে নিজেও কাঁদছে। আমজাদ ছুটে গিয়ে বাড়ি থেকে সবাইকে ডেকে এনেছে। মা, মেজ চাচীমা ও ছোট চাচীমা জালালের সাথে সাথে আমার হাত ধরে কবর থেকে উঠানোর চেষ্টা করছেন। আমি আমার দুর্বল শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে প্রাণপণে আঁকড়ে ধরে আছি কবর। চিরকালের জন্য ঘুমিয়ে পড়া আমার মমতাময়ী মাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না। আমার জন্ম জন্মান্তরের দরদী মা আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু আমি আমার মাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। বুকফাটা কান্নায় আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।
আব্বা চিৎকার করে বললেন, ‘ওকে ছেড়ে দাও তোমরা। ওকে আরো কাঁদতে দাও। এত কান্না বুকে চেপে রাখলে ও বাঁচবে না।’
মধুপুর থেকে ফেরার সময় ছোট চাচীমা আমাকে তাঁর ঘরে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘আলেয়া ওর বিয়ের একদিন আগে একটা চিঠি লিখে আমার হাতে দিয়েছিল তোমার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সময় সুযোগের অভাবে সেটা তোমাকে দেওয়া হয়নি, বাবা। এখন কী তুমি সেটা নেবে?’
আমি ছিলাম পুরোপুরি শান্ত। প্রচুর কান্নাকাটি করলেও তার কোন ছাপ ছিলনা আমার চেহারায়। হয়তো সেই কারণেই ছোট চাচীমা সাহস করে আলেয়ার চিঠির কথা বললেন। দীর্ঘদিন আগলে রাখা আমার সেই আমানত আমার হাতে তুলে দিয়ে হয়তো তিনি ভারমুক্ত হতে চান।
আমি চিঠিটা নিতে রাজি হলে ছোট চাচীমা খাটের নিচ থেকে একটা টিনের সুটকেস বের করে খাটের ওপর তুললেন। তারপর সেটার তালা খুলে ওপর থেকে কাপড় চোপড় সরিয়ে সুটকেসের একদম নিচে থেকে একটা চার ভাঁজ করা কাগজ বের করলেন। কাগজটা আমার হাতে দিয়ে তিনি বললেন, ‘আমাদের ওপর রাগ করোনা, বাবা। আমাদের কারো কিছু করার ছিল না। সবই ভাগ্য।’
আমি মৃদু হেসে বললাম, ‘নিজের ওপর ছাড়া আমি অন্য কারো ওপর রাগ করতে পারিনা। আলেয়ার দুঃসময়ে আপনি ও মেজ চাচীমা ওকে যে দুটো খেতে দিয়েছেন, সেজন্য আপনাদের কাছে আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।’
ছোট চাচীমা শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বললেন, ‘তোমার আর আলেয়ার মতো এমন নিষ্পাপ দুটো ছেলেমেয়ের ভাগ্য নিয়ে আল্লাহ কেন যে এই ছিনিমিনি খেলা খেললো, জানিনা। দোয়া করি, যেন ঐ দুনিয়াতে তোমাদের মিলন হয়।’
হঠাৎ আমার মাথার মধ্যে কেমন যেন হলো। মনে হলো চোখের সামনে দুনিয়াটা ঘুরছে। ছোট চাচীমাকে বললাম, ‘আমাকে একটু বাইরে বসিয়ে মাথায় পানি ঢেলে দেবেন?’
ছোট চাচীমা আমাকে শক্ত হাতে চেপে ধরে দ্রুত বাইরে নিয়ে এলেন। মা আমার অবস্থা দেখে পড়িমরি করে ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। তাড়াতাড়ি বারান্দায় একটা টুলে বসিয়ে আমার মাথায় পানি ঢালা শুরু হলো। আব্বা ও ছোট চাচা উদ্বিগ্ন মুখে দাঁড়িয়ে রইলেন। কিছুক্ষণ পানি ঢালার পর আমি একটু সুস্থ হলাম। মাকে বললাম, ‘আমার মাথা মুছে দাও।’
আব্বা আর দেরি করতে রাজি নন। তিনি রাজশাহী ফেরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ছোট চাচীমার ভাত খাওয়ার অনুরোধে তিনি রাজি হলেন না। আমার বগলের নিচে হাত দিয়ে জালালের সাহায্যে জীপ গাড়িতে তুলে তিনি আমাকে একটা সিটের ওপর শুইয়ে দিলেন। তারপর তিনি ও মা আমার দু’পাশে বসে ড্রাইভারকে নির্দেশ দিলেন দ্রুত গাড়ি ছাড়তে। মধুপুর ছাড়তে পারলে যেন তাঁরা বাঁচেন।
আধা মাইলের মতো রাস্তা কাঁচা। এটুকু রাস্তায় গাড়ি ধীরে চালাতে হয়। এরপর হেরিং বন্ড রাস্তায় পড়লে গাড়ির গতি বাড়ে। গাড়ি কাঁচা রাস্তায় থাকা অবস্থায় আমি উঠে বসলাম। বললাম, ‘এখন আমি ঠিক আছি। শরীরটা ভালো মনে হচ্ছে।’
আব্বা ও মা কিছু বললেন না। মা শুধু আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকলেন। হঠাৎ আমার মনে হলো, আমরা পদ্মপুকুরের পাশ দিয়ে যাচ্ছি। গাড়ির জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি, সত্যিই তাই। ঐ তো পদ্মপুকুর! টলটলে স্বচ্ছ পানি গাড়িতে বসেও স্পষ্ট দেখা যায়।
‘এই ড্রাইভার, গাড়ি থামাও।’ আমার তীক্ষ্ণ চিৎকারে ড্রাইভার কড়া ব্রেক কষে গাড়ি থামিয়ে দিল। আমি হুড়মুড় করে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তা থেকে কিছুটা দূরে পদ্মপুকুরের দিকে ছুটে গেলাম। আচমকা আমার এই কাণ্ড দেখে আব্বা ও মা হকচকিয়ে গেলেন। তাঁরাও গাড়ি থেকে নেমে আমার পিছে পিছে দৌড়ে আসতে লাগলেন। মা চিৎকার করে বললেন, ‘হেনা, তুমি কোথায় যাচ্ছো? থামো বাবা, থামো। কথা শোনো।’
আমি ইতিমধ্যে পদ্মপুকুরের ঘাটে পৌঁছে গেছি। ঘাটের সিঁড়িতে ক্লান্ত দেহে আধা শোয়া হয়ে বসে আমি হাত ইশারায় আব্বা ও মাকে ডাক দিলাম। তাঁরা হাঁপাতে হাঁপাতে আমার কাছে এসে দাঁড়ালেন। মা বললেন, ‘কী ব্যাপার, কী হয়েছে? তুমি হঠাৎ এখানে এলে কেন?’ বলে মা আমার মাথাটা তাঁর বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন।
আমি বললাম, ‘মা, এই ঘাটে বসে আমি আর আলেয়া কত গল্প করেছি, জানো? আর ঐ যে বাঁশ ঝাড়টা দেখছো না, ওখানে আলেয়া.........।’
আব্বা অতি দ্রুত আমার হাত ধরে পুকুরের ঘাট থেকে টেনে তুলে আমাকে গাড়ির দিকে নিয়ে চললেন। বললেন, ‘তোমার সব কথা আমরা শুনবো, বাবা। কিন্তু এখন দেরি করা যাবে না। বাস মিস হয়ে যাবে।’
মা শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে বললেন, ‘চলো বাবা। আর দেরি করো না। বাড়িতে তোমার ভাই বোনরা সবাই আমাদের পথ চেয়ে আছে।’
রাজশাহী ফেরার পথে গাড়িতে বসে আমি চিঠিটা পকেট থেকে বের করলাম। মা জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কী বাবা?’
আমি খুব শান্ত গলায় বললাম, ‘আলেয়ার চিঠি। বিয়ের একদিন আগে আমাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিল। এতদিন ছোট চাচীমার কাছে ছিল। আমি কী জোরে জোরে পড়বো? তোমরা শুনবে?’
আব্বা বললেন, ‘না, না, জোরে পড়ার দরকার নাই। তোমার চিঠি, তুমিই পড়।’
স্কুলের দাগ টানা এক্সারসাইজ খাতার পাতা ছিঁড়ে লেখা তিন বাক্যের একটা ছোট্ট চিঠি। দুটো লাইন কলমের কালি দিয়ে লেখা। সম্ভবত কালি ফুরিয়ে যাওয়ায় শেষ লাইনটা কাঠ পেন্সিলে লেখা।
“মেজভাই, আমি ম্যাট্রিক পাশ করতে পারলাম না। আমাকে তুমি মাফ করে দিও। মেজভাই, তুমি আসতে চেয়ে আর এলেনা কেন?”
**************************************************************************************
যে কথা বলা হয়নিঃ- দাদাজান তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিলেন। আমার ও আলেয়ার নামে পাঁচ বিঘা করে জমি লিখে দিয়েছিলেন। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে তিনি তা’ করেছিলেন, তা’ পূরণ না হওয়ায় আমার ভাগের জমিটুকু আর ভোগ দখলের প্রয়োজন হয়নি।
[ শেষ ]
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:০৯