একুশ বছর—
সাত হাজার ছয়শত পঁয়ষট্টি রাত
আমি নির্ঘুম— চোখের নিচে কালো দাগ সাক্ষী।
আজও ভেসে ওঠে তোমার প্রিয় হাসিমুখ
আর কাজল কালো এণাক্ষী।
প্রথম যেদিন আমি, তোমার পানে চেয়েছি
তোমার দুচোখে আমি, আমার মৃত্যুকে দেখেছি।
প্রথম ভালোবাসা কেউ পায়না জেনেও–
তোমাকে আমি চেয়েছি।
নিজের ভাগ্য নিয়ে আমি শেষ জুয়া খেলেছি।
সমুদ্রের নীলে ভেসে প্রথম ডলফিন ছুঁয়ে দেখার মতো
তোমার হাতের প্রথম স্পর্শ—
বন পাহাড়ি শীতল ঝর্ণায় প্রথম গা ভেজানো।
তুলোর মতো আকাশ থেকে ঝরে পড়া তুষার ছুঁয়ে—
ধোঁয়া উড়া গরম চায়ে চুমু।
মরুভূমির সেই ক্যাম্প ফায়ার—
রাত জাগা; ভরা পূর্ণিমায় চাঁদ দেখা;
লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রের ভিড়ে, তোমার শুটিং ষ্টার খোঁজা।
সারা শহর ঘুরে তোমার প্রিয় কাঠগোলাপের গাছ খোঁজা।
প্রথম বর্ষায় ভেজা; প্রথম রিকশায় ঘোরা।
প্রথম হাসি–কান্না; প্রথম অভিমান;
প্রথম রাগ ভাঙ্গানো; প্রথম ভালোবাসার গান।
প্রথম সকল অনুভূতি কি ভুলে যাওয়া যায়?
অমাবস্যা—
প্রতিটা দীর্ঘশ্বাস তুমি।
প্রতিটা দীর্ঘশ্বাসে বুক ভারি হয়,
ঘন কালো, ঘোর ঘন কালো— রাত।
তোমার লম্বা ঘন কালো চুলের মত দীর্ঘ হয়।
তুমি আসোনি—
একুশ বছর
সাত হাজার ছয়শত পঁয়ষট্টি রাত কেটে গেল।
কেউ আসেনি—
যাকেই মন থেকে চেয়েছি কেউ আসেনি।
না মৃত্যু না তুমি...।
আমি আর একটা ধ্রুবতারা
সন্ধ্যাতারা শুকতারা হয়ে যায়।
নিশ্বাস নেওয়া মানে বেঁচে থাকা নয়।
তবুও জীবনের নিয়মে বেঁচে থাকতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৩৭