
রিভার্স সাইকোলজি বলতে একটা বিষয় আছে। রিভার সাইকোলজির সবচেয়ে বড় প্রয়োগ ছিলো ২০২৪ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগান, "তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার"
বাংলাদেশ আজ রাজাকাদের দখলে বললে কি খুব একটা ভুল বলা হবে?
আইন তুমি কার? আইন বলে আমার চোখ বাধাঁ। আমি অন্ধ। সরকার যার আমি তার।
জামায়াত কি যুদ্ধাপরাধী দল না? দয়া করে কেউ কি আমাকে জানাবেন!
তারা যদি যুদ্ধাপরাধী হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে তারা "বাংলাদেশ" নামটাকে তাদের বুকে লালন করে? তারা এই পর্যন্ত তাদের অপরাধের জন্য ক্ষম চায় নাই।
আমি অনেক অনেক ফেডাপ। ফেসবুকে আজ উল্লাস চলছে, কাঁদো শাহাবাগী কাঁদো। আমি বলি কোঁদা বাংলাদেশ কাঁদো। হার শাহাবাগীদের হয় নি। এই হার সমগ্র বাংলাদেশের।
আমি কোন দল করি না। কোন দল সাপোর্ট করি না। দয়া করে আমাকে কেউ ট্যাগ দিতে আসবেন না।
কিছু নিউজ ফিডে রেখে দিলাম।
deepto news লিখেছে,
জামায়াত নেতা আজহার খালাস, যা বললেন সারজিস
মঙ্গলবার (২৭ মে) জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার পর নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম লিখেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম আজকে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।‘
‘আওয়ামী দুঃশাসনের শিকার, মিথ্যা মামলায় জীবন হারানো এমন কিছু মানুষকে আজ মনে পড়ছে। হয়তো সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কিংবা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী আমাদের মাঝে আজ এভাবেই ফিরে আসতে পারতেন! ফিরে আসতে পারতেন নাম না জানা গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হওয়া হাজাররো আমাদের ভাই–বোন। কিন্তু সেই সুযোগ আর নেই।‘
আরও লিখেন, ‘আমাদের যাদের সুযোগ হয়েছে এই মা, মাটি ও দেশের জন্য কিছু করার, তারা যেন সৌভাগ্যক্রমে পাওয়া এই সুযোগ এবং আমানতের খেয়ানত না করি।‘
the daily campus লিখেছে, জামায়াত নেতা এটিএম আজহারকে খালাসের রায়ে হতাশ ছাত্র ইউনিয়ন
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের বলছে, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্থানীয় সহযোগী সংগঠন ছাত্রশিবির (তৎকালীন ছাত্রসংঘ) ও আল-বদর নেতা ছিলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী হিসেবে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আপিল বিভাগ কর্তৃক তার খালাস গভীর হতাশা ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতা সৃষ্টি করছে।
জামায়াত নেতার মুক্তি বনাম শাহবাগী’দের বিচার: রাবিতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর পক্ষে-বিপক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে দু’পক্ষ। এতে আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত ৮টার দিকে ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেট চত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, জামায়াত নেতার মুক্তির প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট (বাম) মশাল মিছিল আয়োজন করে। অন্যদিকে, শাহবাগী’দের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভের আয়োজন করে শাহবাগবিরোধী ঐক্য মঞ্চের। এ সময় তাদের সাথে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, এতে তিনজন আহত হয়েছেন। তবে তৎক্ষণাৎ আহতদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
শাহবাগবিরোধী ঐক্য মঞ্চের মিছিলে 'শাহবাগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'বামদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'ছাত্রফ্রন্টের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'ছাত্রফ্রন্টের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে', 'শাহবাগীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'বিচার বিচার বিচার চাই, শাহবাগীদের বিচার চাই' এসব স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ছবি : ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


