somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি কলেজ জীবন যেরকম আশা করেছিলাম, সেটা ঠিক সে রকম হল না ! ২য় পর্ব [প্রজেক্ট আতা : অধ্যায়-৩]

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আগের অধ্যায়


কালকে রাতের ঘুম জাগার ফল এখন বারবার হাই তুলতে হচ্ছে আমাকে। প্রথম ক্লাস ছিল ম্যাথ, কিন্তু স্যার আজকে আসবেনা না আর দ্বিতীয় ক্লাস অফ। এইটা শোনার পর কিছুটা আফসস লাগল, বাসায় তাহলে আরেকটু ঘুমানো যেত। লাইব্রেরীতে বসে একটা ঘুম দেয়া যাবে এই ভেবে মনটা কিছুটা শান্ত হল।

আমার বারবার হাই তোলা দেখে সুমনা জিজ্ঞেশ করল, “কি ব্যাপার এত হাই তুলছ কেন, নিশ্চয়ই রাত জেগে মুভি দেখা হয়েছে।”

“না, আমার সাথে ফোনে কথা হয়েছে,” রুপা কোথা থেকে এসে বলে উঠল।

রুপার এই কথা শোনার পর সুমনার তার চেহারা মধ্যে একধরনের শুন্যতা ফুটে উঠল। সেটা বেশীক্ষনের জন্য না। মনে হয় আমি ভুল দেখেছি।

“ওই, রানা তোর কাছে কি ভালো সাইকোলোজিকাল থ্রিলার বই আছে।”

“আছে অল্প কয়েকটা, এইতো আপি দিন কয়েক আগে ‘ফাইট ক্লাব’ নামের একটা বই কিনল, যদিও ইরেজী বই। শুনেছি এটা থেকে মুভিও তৈরী করেছে।”

“না, ইংলিশ পোষাবে না, বাংলা দরকার।”

“দেখতে হবে, বাসায় মনে হয় একটা আছে।”

“তোমরা দুইজন তুই তোকারি শুরু করলে কবে ?”

“এইতো গতকাল রাত থেকে,” সুমনার প্রশ্নে রুপা জবাব দিল।

“তাই থ্রিলার বইয়ের কথা হচ্ছিল, রানা আরো ভালো কিছু বই আছে নাকি তোমার কাছে, তোমার তো আবার ছোটখাট একটা লাইব্রেরী আছে,” সুমনা বলে উঠল। কথা বলার সময় সুমনা চোখ উত্তেজনায় চকচক করছিল।

“হ্যা, হ্যা, আমিও দেখেছি,” রুপাও সুমনার কথায় সম্মতি জানিয়ে বলল।

“ওই সব বই আমার না আপির। আপির কাছ থেকে বলে নিতে হবে।”

“কেন, সুমনাকে দেয়ার সময়তো তোর আপির অনুমতির দরকার ছিল না,” রুপা জোর গলায় বলল।

“আরে ওইটা আমার বই ছিল, আমি দুই তিনটা বই নিয়ে এসেছিলাম বাসা থেকে।”

“আর ওই দিন যে নীলক্ষেত থেকে যে কয়েকটা বই কিনলে, তার মধ্যে নিশ্চয়ই কিছু থ্রিলার ছিল,” সুমনা বলে উঠল।

“আরে, সুমনা জানলে কিভাবে যে রানা নীলক্ষেত থেকে বই কিনেছে?” রুপা সন্দেহ গলায় জিজ্ঞেশ করল।

থ্রিলারের গন্ধে পাগল সুমনা সেটা খেয়াল করল না, সে বলে উঠল, “কাজিনের সাথে ছিলাম, সে রানাকে বই কিনতে সাহায্য করেছে।”

রুপা আমার দিকে ‘তাই নাকি!’ এই ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে।

আমি একটা শুকনো হাসি দিলাম।

হঠাৎ করেই নুশরাত সুমনাকে ডাক দিল। সুমনা সেদিকে গেল, তবে যাওয়ার আগে বইয়ের কথা আরেকবার মনে করিয়ে দিল সে আমাকে।

সুমনা চলে যাওয়ার পর রুপা আমার দিকে দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেশ করল, “কি ব্যাপার, সুমনার সাথে নীলক্ষেত…”

“সুমনা তোদের বলেনি ?” আমি পাল্টা জিজ্ঞেশ করলাম।

“মানে?” রুপা ভ্রু কুচকিয়ে বলল।

“সুমনাকে নিয়ে গিয়েছিলাম আইডিবি, সেখনে ওয়েবক্যাম কিনবে বলে, পরে সে বলল সে নাকি আজিমপুর যাবে তার কাজিনের বাসায়, আমি যাব নীলক্ষেত বই কিনতে তখন সে বলল নীলক্ষেতের পরেই নাকি আজিমপুর তাই তখন একসাথে গেলাম, এই আরকি।”

সত্য মিথ্যার এক মিশেল আমি রুপার সামনে বললাম। সে আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকল তাপর বলল, “ও, এই,” বলে চলে গেল।

ক্লাসরুমে যে বসে থাকা আমার জন্য আর নিরাপদ নয় সেটা বুঝতে সময় লাগল না। পিছনের দরজা দিয়ে ভাগতে যাব তখন একজনের সাথে ধাক্কা খেলাম। মেজাজ সপ্তমে চড়ে গেলেও চুপ করে রইলাম। কার সাথে ধাক্কা খেলাম সেটা আগে দেখে তারপর যদি কিছু বলা যায়, কারন ভুল লোকের সাথে ধাক্কা খাওয়া আমার একটা স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।

“কিরে চোখ কি পকেটে রেখে হাটিস নাকি ?”

এটা আমার মুখ থেকে বের হয় নি। আমার সামনে রোগা পটকা মাঝারি সাইজের একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে। তাকে চিনতে আমার সময়য় লাগল না। সে আমাদের ক্লাসের স্বনামধন্য কবি আতাউর রহমান ওরফে ‘আতা’।

এই আতা নাম এসেছে আমাদের বাংলা স্যারের মাধ্যমে। স্যারের মধ্যে কবি কবি ভাব থাকলেও তিনি কবিতা লিখেন না।

আমাদের বাংলা স্যার একদিন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কথা বলছিলেন তখন তিনি রক রোগামত ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন, “এই ছেলে দাড়াও, তোমার নাম কি?”

“আতাউর রহমান, স্যার।”

“অ্যা? কি আতা?”

স্যারের এই কথায় সারা ক্লাসে হাসির রোল পড়ে গেল।

“এই চুপ, হ্যা… তোমার নাম যেন কি?”

“স্যার, আতাউর রহমান।”

“হ্যা আতাউর রহমান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতা একটু পড়ে শোনাও তো।”

“জ্বি স্যার।”

এরপর থেকে আতাউর রহমানের না ‘আতা’ হয়ে গেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা সে কবি। মানে উঠতি কবি।

আমার কাছে কবি মানে মারাত্মক জিনিষ। এক কবিকে নিয়ে আমার নিজের খারাপ অভিজ্ঞতা আছে। তবে সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে উঠতি কবি এবং তারা কি জিনিষ সেটা নিয়ে যদি এখন বসি তাহলে সেটা নিয়ে একটা এনসাইক্লোপিডিয়া সাইজের বই হয়ে যাবে।

আতা মানে আতাউর রহমান থেকে আমি একটু দূরেই থাকি। সে কবি জানার পর থেকেই আমি তার থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিই। তবে তার সম্পর্কে অনেক খব্র কানে আসে, অধিকাংশই সুবিধার না। সম্প্রতি যে খবর শুনেছি সে নাকি গাজায় টান মেরে সটান হয়ে হাসপাতালে চলে গিয়েছিল।

তার রোগা শরীর সব সহ্য করতে পারলেও গাজার ধোয়া সহ্য করতে পারেনি

সে নাকি শুনেছিল গাজায় টান মেরে কবিতা লিখলে নাকি কবিতার মধ্যে আলাদা এক ভাব আসে। এটা শোনার পর সে আর দেরী করেনি সব সে ব্যবস্থা করেই বসে, মানে খাতা, কলম আর গাজা। ফলাফল লম্বা হয়ে হাসপাতালে।

আতার বাবা এতটাই অবাক হয়েছিল যে, তাকে পিটুনি দেবার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। হয়তো সুযোগই পাননি।

সে যাই হোক সেই আতা এখন আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

“আরে রানা তুই,” আতার গলায় এখন মধু ঝরে পড়ল যেন, “তোকেই তো খুজছিলাম।”

আতার এই কথা শুনে আমি তেমন খুশি হতে পারলাম না।

“আমি এখন একটু ব্যাস্ত পড়ে কথা বলি,” আমি এই বলে তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে লাগলাম।

“আরে দাড়া না ভাই এত তাড়াহুড়া কিসের?” আতা আমার সামনে এসে দাড়াল, “আসলে দরকার হল লেডী সুনামিরে।”

‘লেডী সুনামি’ হচ্ছে আমাদের সুমনা। আমার নাক বরাবর বোতল আর গালে চড় মারা আর কোন এক ছেলেকে পুরো কলেজ দাবড়ানি দেয়ার কারনে সুমনার নাম এখন ‘লেডী সুনামি’ হয়ে গেছে। অবশ্য শেষ ঘটনার সময় আমি কলেজে ছিলাম না, তাই হতভাগা ছেলেটি কে সেটা সম্পর্কে আমার কোনো ধারনাই নাই।

“তো, ওর সাথে যেয়ে কথা বল,” আমি বললাম।

“না, আসল কথা হচ্ছে কি…” এই বলে সে থেমে গেল আমার দিকে তাকাল তারপর বলে উঠল, “শুনেছি তুই নাকি ওকে একদ্ম ঠান্ডা রাখতে পারিস।”

“কে, বলেছে ?”

“আরে শোনা কথা।”

“আমি কি করব এখন?”

আতা এবার আমার হাত চেপে ধরে বলল, “ভাই, আমার জীবন মরণ নিয়ে সমস্যা।”

“কেন, তুই কি ওকে ভালোবাসার অফার দিবি নাকি?”

“আরে না,” আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বলল, “আমি ওর লেভেলের না। তবে ও সাহায্য দরকার। শুনেছি তোরা নাকি যে কারোর সমস্যার সমাধান করিস।”

আমি প্যাচার মত মুখ করে বললাম, “সুমনার কাছে সরাসরি বল, সে সাহায্য করবে।”

“মারবে না তো?”

“মানে ?!”

“সে তো যে কোনো ছেলেকেই পারলে প্যাদানি দেয়, তোকেও তো সে ছাড়েনি।”

আতার এই কথা শুনে আমি তেমন খুশি হতে পারলাম না।

“না, উলটাপাল্টা কথা না বললে মারবে না সে।”

“সত্যি ?”

“হ্যা, সত্যি।”

আমার এই কথা শুনে সে লাফাতে লাফাতে ক্লাসরুমে ঢুকল। আমাকে সে একটা ধন্যবাদ দেয়ার প্রয়োজনবোধ করল না।

“লেডী সুনামি, লেডী সুনামি তোমার সাথে একটা জরুরি কথা আছে,” আতার গলা শুনতে পারলাম।

‘ঠাশ’!

শব্দটা কিসের সেটা বুঝতে আমার সময় লাগল না। আমি সেখানে না থাকাই ভালো মনে করলাম।



লাইব্রেরীতে যেতেই দেখি সজল বই হাতে গম্ভীরভাবে বসে আছে।

যাক প্রতিশোধের সময় এসেছে!

আমি তার পিছনে গিয়ে পিঠের উপর কষিয়ে একটা চাটি মারলাম।

সজল আস্তে করে আমার দিকে ঘুরে তাকাল, তারপর বলল নিস্তেজ গলায় বলল, “ও, তুই।”

কি ব্যাপার সে আজকে পুরো নিস্তেজ হয়ে আছে।

আমি তার পাশে জিজ্ঞেশ করলাম, “কিরে কি হয়েছে, এমন মনমরা হয়ে আছিস কিসের জন্য।”

“যন্ত্রনা, দুনিয়া ভর্তি শুধু যন্ত্রনা,” বড়সড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সজল বলল।

“কি হয়েছে ?”

“জিজ্ঞেশ করিস না।”

“আচ্ছা করব না।”

সজল আমার দিকে ঘুরে বলল, “শোন কোনোদিন প্রেম করবি না বুঝছিস, প্রেম করবি না।”

“বুঝলাম, কেন তোর সখী কি তোরে…”

“ওর নাম মুখে আনবি না।”

“কই আমিতো ওর নাম মুখে আনি নাই।”

“না আনলেই ভালো।”

আমি চুপ করে বসে রইলাম। আমার ঘুম পাচ্ছিল, গত রাতে রুপার সাথে রাত জেগে কথা বলার ফল। লাইব্রেরীর মধ্যে এমন এক নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে আমার চোখে ঘুমটা এসে বাড়ি মেরে যাচ্ছে। চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছি।

“কিরে ঘুমিয়ে গেছিস নাকি?” সজল জিজ্ঞেশ করল।

“না। কিছু বলবি।”

“পিয়ালের সাথে আজকে ব্রেক হয়েছে।”

“পিয়াল কে?”

“আরে শালা আমার গার্লফ্রেন্ড।”

“ও,” আমি এই বলে চুপ মেরে গেলাম।

“এই নিয়ে তিনবার ব্রেক আপ হল,” সজল তিক্ত গলায় বলল।

“এবারই কি ফাইনাল।”

“জানিনা,” এই বলে সজল চুপ মেরে গেল।

আমি কিছু বললাম না। চোখ বন্ধ করে রইলাম।



হঠাৎ নাকের মধ্যে একটা বেলী ফুলে সুবাস আসল, তারপর মনে হল কে যেন আমার নাম ধরে ডাকছে। চোখ খুললাম। সুমনার আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, তার মুখ থেকে আমার মুখে দূরত্ব আধা হাতও হবে না। তার হালকা বাদামী চোখে আমার চোখ আটকে গেল।

আমি জানি না কতক্ষন আমি ওভাবে তাকিয়ে ছিলাম। আমার পাশে বসা সজলে হালকা নাক ডাকার শব্দে হুশ ফিরে আসল। আমি চোখ সরিয়ে নিলাম। সুমনাও চোখ সরিয়ে অন্যপাশে তাকাল।

আমি একটা ঢোক গিলে বললাম, “কখন এসেছ ?”

“বেশীক্ষন হবে না,” সুমনা আমার দিকে না তাকিয়ে বলল।

“কি তৃতীয় পিরিয়ড কি শুরু হয়ে যাবে নাকি।”

“না মাত্র সেকেন্ড পিরিয়ড শুরু হল”

“ও, আচ্ছা,” এই বলে আমি বিশাল একটা হাই তুললাম। সজলের দিকে তাকালাম। সে এখনো ঘুমাচ্ছে। আমার কাছে সেটা ভালো লাগল না। আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে বললাম, “ওঠ, কি ঘুম দিয়েছে মুখে লোল লেগে আছে।”

“সেটাতো তোমার মুখেও লেগে আছে,” সুমনা বলে উঠল।

তাই নাকি!

আমি তাড়াতাড়ি নিজের মুখ মুছে নিলাম। সুমনা মুচকি হেসে আমাদের পাশের টেবিলে বসে পড়ল।

“শালা ঘুমাচ্ছিলাম দিলি ভেঙে,” সজল হাই তুলতে তুলতে বলল।

“মেয়েদের সামনে গালাগালি করতে হয় না।”

আমি কথা শুনে সে আমার পাশে তাকাল, সুমনাকে দেখে সে হাই তোলা বন্ধ করল।

“কি খবর সুমনা ?” সজল বলল।

“হুম, ভালো। তা তোমার কি খবর, তোমার গার্লফ্রেন্ডের কি রাগ ভাঙ্গতে পেরেছ?”

সুমনার এই প্রশ্ন শুনে সজলের মুখ কালো হয়ে গেল। সুমনা যা বোঝার বুঝে নিল।

“তাদের মধ্যে ব্রেক-আপ হয়েছে,” আমি মাঝখান দিয়ে, “একেবারে হ্যাট্রিক।”

সজল আমার দিকে কড়া চোখে তাকাল।

সুমনা হালকা হেসে বলল, “আমারো তাই ধারনা হয়েছিল, সে সেটারই ইঙ্গিত দিয়েছিল আমাকে।”

“মানে?” আমরা দুজন সুমনার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেশ করলাম।

“পিয়াল মেয়েটাকে অনেক ভালো লেগেছে আমার, সজল এই মেয়েকে হাতছাড়া করো না কখনো।”

“কে বলেছে আমি হাতছাড়া করব, আমিও প্রতিশোধ নিব। বিয়ে করে নিই তারপর ওকে আমি তালাকের হুমকি দিব,” সজল জোর গলায় বলল।

সুমনার এটা শুনে হেসে ফেলল।

“এই হাসে কে লাইব্রেরীতে,” লাইব্রেরী ম্যাডাম কড়া গলায় বলে উঠল।

ম্যডামের হুংকার শুনে আমরা চুপ হয়ে গেলাম।

তারপর আমিই জিজ্ঞেশ করলাম, “ আচ্ছা ব্যাপারটা কি?”

সুমনা তখন বলে উঠল, “গত পরশু সজল আর তার গার্লফ্রেন্ড পিয়ালে ডেট ছিল। আর ওইদিন মেয়েটার জন্মদিনও ছিল। সজল ওইদিন দেরী করে যায়, পথে মাঝে আমাদের মাঝে দেখা হয়। সজল প্রায় জোর করে ওর কাছে আমাকে নিয়ে যায়।”

“এই, এই কারনে ব্রেক-আপ!”

“আসলে আমাদের তেমন দেখা সাক্ষাত হয় না, বিশেষ করে আমি কলেজে উঠার পর। আর ওর বাপ মা অনেক কড়া। আগেতো স্কুলে প্রতিদিন দেখা হত।”

“সে কোন ক্লাসে পরে, এইবার নাইনে উঠল।”

“ও, আচ্ছা।”

“আরো ব্যাপার আছে, তবে সেগুলি এখনো বলতে চাচ্ছি না।”

“না, চাইলে থাক,” আমি বলে উঠলাম, “সময় হলে বলিস, যদি মনে চায়।”

এবার আমি সুমনার দিকে তাকালাম জিজ্ঞেশ করলাম, “তা এখন তুমি কিসের ব্যাপারে এসেছে।”

“লাইব্রেরীতে বই নিতে।”

“আর?”

সুমনা আমার দিকে তাকাল, তারপর বলল, “আতাউর রহমানের ব্যাপারে কথা বলতে।”

সুমনার এই কথা শুনে আমার তেমন ভাল লাগল না।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×