মার্চ-এপ্রিল মাসের অশান্ত আবহাওয়ার সাথে সাথে ধসে পড়া, ভেঙে পড়া বাড়ী-ঘর আর হোর্ডিংয়ের নিচে চাপা পড়া মৃত্যুর খবর নতুন কিছু নয়। এর আগেও আমরা মরেছি, আরো মরবো।
সিটি কর্পোরেশন যথারীতি তাদের উদ্যোগ দেখিয়েছে। তারা তথাকথিত অবৈধ হোর্ডিং ভেঙে ফেলবে বলে জানিয়েছে। জরিমানাও আদায় করা হবে বলে জানা গেছে। কার কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে, বা এই জরিমানার অঙ্ক কি, বা সেই অর্থ কোথায় কীভাবে ব্যয় হবে সে সম্পর্কে জানা যায় না। আমাদের দেশে সেসব প্রশ্নের উত্তর জানা যায় না।
সিটি কর্পোরেশন কী এতদিন জানতো না যে ঢাকা শহরের আকাশ ঢেকে ফেলা এসব হোর্ডিংয়ের মধ্যে তথাকথিত অবৈধ স্থাপনা রয়েছে? কেন আমাদের মৃত্যু দিয়ে, রক্তের অক্ষরে তাদের চেতনায় আঘাত করতে হয় বারেবার?
আমরা গণতন্ত্রের নামে নির্বাচন করে এ কাদের ক্ষমতায় বসাই যারা নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়িতে ব্যস্ত থাকে আর সাধারণ মানুষের টাকা কী করে নিজেদের পকেটে নেয়া যায় তার তরিকা উদ্ভাবন করতে থাকে? নাগরিক সুবিধা দেয়া তো দুরের কথা, মানুষ যদি নিজের চেষ্টায় কিছু করে ফেলে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থাবা দিয়ে সবকিছু কেড়ে নেয়ার চেষ্টায় রত এক সরকার পদ্ধতি আমাদের নিয়তি।
এ এক অদ্ভূত জীবন আমাদের! কোকো ফালুরা আমাদের রক্ত খেয়ে ফুলে ফেপে উঠবে আর আমরা শুধু মারা যেতে থাকবো ভেঙে পড়া হোর্ডিং, ওভারব্রিজের নিচে, ডুবে যাওয়া লঞ্চের খোলে, খাদে পড়ে যাওয়া বাসের ভেতর, রাস্তা পার হতে গিয়ে। কারণ আমরা তো নপুংসক মানুষ সব! এই আমাদের জন্য সবচাইতে ভাল প্রতিবাদ। মরে যাওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



