উনিশশ একাত্তরে সংঘটিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত সংস্থার প্রধান আবদুল মতিন ১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে সব পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। অভিযোগ এসেছে তিনি সেসময় ঐ দলের হয়ে কলেজ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন। বলা বাহুল্য, জামাতে ইসলামীর ছাত্রশাখা ইসলামী ছাত্রসংঘ থেকে সদস্য বাছাই করেই গঠিত হয়েছিল কুখ্যাত আলবদর বাহিনী।
অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তাকে যখন এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য নির্বাচিত করা হয় তখন কী সরকারের গোয়েন্দাসংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থা থেকে তার নাম ভেটিং করা হয়নি? যদি হয়ে থাকে তাহলে বলতে হবে যে, ভেটিং পদ্ধতি একেবারেই অকেজো। আর যদি না করা হয়ে থাকে তাহলে বলতে হবে যে, সরকার যেনতেনভাবে দায়সারা কাজ করছে।
আর সংবাদপত্রগুলোর রিপোর্টিং সম্পর্কেও বলার রয়েছে। কোন রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে না যে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার আবদুল মতিনের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেছেন বা জানাচ্ছেন।
যেখানে এই লোকের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ সেখানে পাঠকের স্বার্থে আর ন্যায়বিচারের স্বার্থে রিপোর্টারের আবশ্যিক দায়িত্ব ছিল আবদুল মতিনের বক্তব্য নেয়া। সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় বিভাগও এই ত্রুটির দায়িত্ব এড়াতে পারেননা। তারাও কি যেনতেন সাংবাদকিতা করেন? শুধু পৃষ্ঠা ভরানো আর গেলানো রিপোর্ট ছাপানোই সাংবাদিকতা না!
আবদুল মতিনের অবশ্যকর্তব্য অবিলম্বে নিজের বক্তব্য জানানো আর অভিযোগ সত্য হলে তাৎক্ষণিক পদত্যাগ।
হা, বাংলাদেশ!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



