[অসুস্থতা হেতু দীর্ঘদিন নিরব থাকায় সামুতে ফিরলাম অনুভুতিতে আসা নিরবতা নিয়েই কিছু কথামালায় ]
চুপ থাকার মাঝে লুকায়িত আছে প্রশান্তির সুর,
আল্লাহ প্রদত্ত বাকশক্তি, এক মহা মুল্যবান নূর।
সব কথা হচ্ছিল লেখা , মনেরই সুপ্ত খাতায়,
প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম কিছু না বলা কথার ছায়ায়।
ভেবেছিলাম নীরবতা হতে পারে এক প্রাচির ,
ঠোঁটে হাসি ছিল কম, ছিলনা কথার ভিড়
তবে অন্তরে বিধছিল কথা প্রকাশের তীর
দেশের চলমান ঘটনা করে তুলল অস্থির।
জানি, যে আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে,
কথা বলুক কল্যাণে; নতুবা থাকুক নিরবে।
সেরা মুসলিম বা মুমিন বান্দা কেবল সেই,
যার জিহবা থেকে নিরাপদ থাকে সকলেই।
শ্রেষ্ঠ আমল সময়ের উপসনা নামাজ,
সাথে গড়ে তুলা সততার সভ্য সমাজ
আর জিহ্বার নিয়ন্ত্রণেই শ্রেষ্ঠতার তাজ।
আল্লার তরফে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি তাদেরি জন্য,
যারা নিয়ন্ত্রণে রাখে নিজের জিভ আর গুপ্ত অঙ্গ।
রাসুলের (সা.) বাণী, অকারণ বাক বিতন্ডা থেকে
যে চুপ থাকে সে পায় মুক্তি দোযকের আগুন থেকে।
ক্ষুদ্রতম কিছু কথাও যদি অবহেলায় হয় বলা,
তা হতে পারে তাদের তরে পতনের ভেলা ।
সুসংবাদ তাদের , যারা নিজেকে রাখে গোপনে
গৃহে থাকে শান্তিতে, আর কাঁদে পাপের স্মরণে।
মানবের পাপের অধিকাংশই ঘটে জিহ্বা দূষণে,
শব্দের আঘাতে হৃদয় ভাঙে মায়া মুছে কারণে।
সেই ব্যক্তির জান্নাতে প্রবেশ কঠিনই রয়,
সমাজ যার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ নয় ।
আল্লার প্রিয় তারাই, যারা জমিনে চলে নম্রতায়,
আর অজ্ঞ জনের সাথেও শান্ত ভাবে কথা কয় ।
কোন আমল নিয়ে যায় জান্নাতের পথে ?
উত্তরে রাসুল(সা.) বলেন, আল্লাহ ভীতি আর
শক্ত ঈমান ও ইহসানের সাথে পথ চলে।
যে জন আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা বলে,
জানেনা কতদূর তার সুফল ফলে,
তেমনই অসন্তুষ্টির কথা যারা বলে
তারা জাহান্নামে যেতে পারে চলে।
প্রার্থনা
আল্লাহ আমাদেরকে রাখুন করুণায় ভরা,
তাঁর নির্দেশিত পথেই যেন থাকি সারা!
আমীন।