কাসেম সোলেইমানির দাফনে যোগ দিতে এবং তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার নিজ শহর কেরমানে শোকের প্রতীক কালো কাপড় পড়া কয়েক লক্ষ মানুষ মানুষ জড়ো হন।৬২ বছর বয়সী সোলেইমানি ইরানের এলিট ফোর্স কুদস বাহিনীর প্রধান ছিলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বাড়ানোর জন্য কাজের পেছনের প্রধান মানুষ ছিলেন।নিজ শহর কেরমানে সোলেইমানিকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়া হয় এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী নেতা হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়।
তবে তিনি কট্টরপন্থী ছিলেন এবং ২০১৯ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর পেছনের মূল শক্তি হিসেবে দেখা হয় সোলেইমানিকে।এক তথ্যে জানা যায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানে যখন দারিদ্র্য বেড়ে যায়, তখন সোলেইমানি লেবানন, ইয়েমেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় বিভিন্ন জোট গঠন এবং মিলিশিয়া বাহিনী তৈরির পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন।সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে তিনি প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দেন, লেবাননের শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী হেজবোল্লাকে সাহায্য করেন এবং ইরাকে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিপক্ষে দেশটির মিলিশিয়া বাহিনীর পরিচালনায় সহায়তা করেন।যুক্তরাষ্ট্র তাকে সন্ত্রাসী মনে করতো, এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন সোলেইমানি মার্কিন কূটনীতিক এবং ইরাক ও ওই অঞ্চলের অন্য জায়গায় থাকা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের উপর হামলার ষড়যন্ত্র
সোলেমাইনি করছিলেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা যায়, সোমবার তেহরানে সোলেইমানির জানাজায় বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছে।বলা হয়েছে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছে যদিও এ সংখ্যা বা তথ্য সঠিক ভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
তবে মানুষ সোলেইমানির কফিন মাথার উপর নিয়ে বয়ে নিয়ে চলেন এবং আমেরিকার মৃত্যু হোক বলে স্লোগান দেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনি জানাজা পরিচালনা করেন এবং এক পর্যায়ে তাকে ফুঁপিয়ে কাঁদতেও দেখা যায়
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯