জনগণ চেয়েছে পরিবর্তন । ২৯ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে জনগণের চাওয়ার।
সাধারন জনগণের প্রত্যাশা বা চাহিদা খুব বেশী নয়। জনগন চায় রাষ্ট্র তার মৌলিক অধিকারগুলো পূরণ এবং শান্তিতে, নিরাপদে ও নিবির্ঘ্নে জীবন যাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্যোগী হোক। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসাবে এটুকু চাওয়ার অধিকার তার রয়েছে। অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই জনগন ভোট দিয়ে নির্বাচন করে তার প্রতিনিধি।
নবনির্বাচিত সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। কোন বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবার পূর্বে ব্যক্তি নয়, বৃহৎ অর্থাৎ জনগনের স্বার্থ চিন্তা করা প্রয়োজন। শুধু মাত্র ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচণের ক্ষেত্রে নয়, সাধারন মানুষের জন্য জনগুরুত্বপূর্ন নীতিগত কোন সিদ্ধান্ত নেবার পূর্বেও জনমত যাচাই করে সঠিক ও জনকল্যাণকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরী। তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে জনগনের কাছে ভোট প্রার্থনা করতে হবে না। স্বপ্রণোদিতভাবেই জনগণ আবার নির্বাচন করবে তাদের প্রতিনিধিকে।
জনগণ চায় শান্তি । দেশের ভবিষ্যত নীতি নির্ধারকরা হিংসা বিভেদ ভুলে পারস্পারিক আলোচনা মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে সে সিদ্ধান্ত জনগনের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। সমালোচনাকে নেতিবাচকভাবে গ্রহণ না করে এর থেকে শিক্ষাগ্রহণ করার মানসিকতা আমাদের গড়ে তুলতে হবে। সেই সাথে মনে রাখতে হবে মুখে এবং মনে একনা হলে যতই দল এবং ব্যক্তি পরিবর্তিত হোক শুভ পরিবর্তন আসবেনা।
এমূহূর্তে সরকারী এবং বেসরকারী দলে যারা থাকবেন তাদের উচিৎ একত্রে দেশের স্বার্থে কাজ করা। কারণ সরকার বা বিরোধী দল যারাই দেশের জনগণের প্রতিনিধি সকলেরই লক্ষ্য দেশের জন্য কাজ করা। একত্রে দেশের স্বার্থে কাজ করলে ভবিষ্যতে আর কোন ওয়ান ইলেভেনের প্রয়োজন হবেনা।
মনে রাখতে হবে বিজয়ী দলকে আজ যেভাবে অভিনন্দিত করছে জনগণ তাদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে এই দলকেই আবার ডাষ্টবিনে ছুড়ে ফেলবে জনগন। সুতরাং জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস বারবার প্রমাণিত। জনগণ চেনে কে তাদের বন্ধু আর কে তাদের শত্রু? সময় মতো যেভাবেই হোক সে তার অধিকার আদায় করে নিতে জানে । ইতিহাসে এর অজস্র প্রমান রয়েছে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


