somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জনগণ চেয়েছে পরিবর্তন । ২৯ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে জনগণের চাওয়ার।

সাধারন জনগণের প্রত্যাশা বা চাহিদা খুব বেশী নয়। জনগন চায় রাষ্ট্র তার মৌলিক অধিকারগুলো পূরণ এবং শান্তিতে, নিরাপদে ও নিবির্ঘ্নে জীবন যাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্যোগী হোক। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসাবে এটুকু চাওয়ার অধিকার তার রয়েছে। অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই জনগন ভোট দিয়ে নির্বাচন করে তার প্রতিনিধি।

নবনির্বাচিত সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। কোন বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবার পূর্বে ব্যক্তি নয়, বৃহৎ অর্থাৎ জনগনের স্বার্থ চিন্তা করা প্রয়োজন। শুধু মাত্র ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচণের ক্ষেত্রে নয়, সাধারন মানুষের জন্য জনগুরুত্বপূর্ন নীতিগত কোন সিদ্ধান্ত নেবার পূর্বেও জনমত যাচাই করে সঠিক ও জনকল্যাণকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরী। তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে জনগনের কাছে ভোট প্রার্থনা করতে হবে না। স্বপ্রণোদিতভাবেই জনগণ আবার নির্বাচন করবে তাদের প্রতিনিধিকে।

জনগণ চায় শান্তি । দেশের ভবিষ্যত নীতি নির্ধারকরা হিংসা বিভেদ ভুলে পারস্পারিক আলোচনা মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে সে সিদ্ধান্ত জনগনের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। সমালোচনাকে নেতিবাচকভাবে গ্রহণ না করে এর থেকে শিক্ষাগ্রহণ করার মানসিকতা আমাদের গড়ে তুলতে হবে। সেই সাথে মনে রাখতে হবে মুখে এবং মনে একনা হলে যতই দল এবং ব্যক্তি পরিবর্তিত হোক শুভ পরিবর্তন আসবেনা।

এমূহূর্তে সরকারী এবং বেসরকারী দলে যারা থাকবেন তাদের উচিৎ একত্রে দেশের স্বার্থে কাজ করা। কারণ সরকার বা বিরোধী দল যারাই দেশের জনগণের প্রতিনিধি সকলেরই লক্ষ্য দেশের জন্য কাজ করা। একত্রে দেশের স্বার্থে কাজ করলে ভবিষ্যতে আর কোন ওয়ান ইলেভেনের প্রয়োজন হবেনা।


মনে রাখতে হবে বিজয়ী দলকে আজ যেভাবে অভিনন্দিত করছে জনগণ তাদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে এই দলকেই আবার ডাষ্টবিনে ছুড়ে ফেলবে জনগন। সুতরাং জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস বারবার প্রমাণিত। জনগণ চেনে কে তাদের বন্ধু আর কে তাদের শত্রু? সময় মতো যেভাবেই হোক সে তার অধিকার আদায় করে নিতে জানে । ইতিহাসে এর অজস্র প্রমান রয়েছে ।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×