বৃদ্ধ লোকটা বিষন্নমুখে চায়ের দোকানে বসে আছেন। অনেকক্ষন ধরেই ব্যপারটা লক্ষ্য করছিলাম। কেন জানি খুব মায়া লাগলো। আমি লোকটার একটা হাত ধরে বললাম, 'নানা কিছু খাবেন?'
তিনি মুচকি হেসে উত্তর দিলেন,
'নারে ভাই খামু না।'
আমি বললাম, 'মন খারাপ কইরা বইসা আছেন ক্যান?
এবার যেন বোমা ফাটলো!
''তুমি স্বাধীন দেখো নাই। পাকিস্হানীগো লগে জোট বাইধা জামাত তখন হাজার হাজার মানুষ মারছে। হিন্দু বাড়িতে আগুন দিছে। ধর্ষন করছে ডাকাতি করছে। ভাইরে, আমার বুক ফাইট্রা কান্দন আহে। এই দেশে কি আবার '৭১ আইসা পড়ছে? এই জামাত আর সেই জামাতের মধ্যে কোন প্রার্থক্য নাই। আমার পোলায় কত কষ্ট কইরা একটা পুরান বাস কিনছে ওরা ঐটা ভাইঙ্গা চুর্নাছুর কইরে দিছে। আমরা অহন চলুম ক্যামনে?''
একটানে কথাগুলো বলে লোকটা থামলেন। আসলেই এই জামায়াত আর সেই জামায়াতের মধ্যে কোন প্রার্থক্য নেই। রক্তে এদের পাকিস্হানী আদর্শ। গত দুদিনের জামাত-শিবিরের রক্ত নিয়ে খেলা আর বর্বর তান্ডব সেটাই প্রমান করেছে।
আমি বৃদ্ধ লোকটাকে বললাম, 'একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।'
ভদ্রলোক কিছু বললেন না শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।
আমি রাস্তায় নেমে পড়লাম। ফাগুনের রৌদ্রমাখা এই দুপুরটাকেও আজ খুব বিষন্ন লাগছে!!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৬