মাঝে মাঝে অবাক বিস্ময়ে থমকে দাঁড়াই। বুকের ঠিক মাঝখানটাতে হাত রাখি আলতো করে, যেখানে হৃদপিন্ডটা থাকে। অবিশ্বাস্য ভয়ে ভয়ে টের পাই হৃদস্পন্দনের হৈচৈ। আমি এখনো বেঁচে আছি! এতো কিছুর পরেও বেঁচে আছি আমি অথবা আমরা... কি আশ্চর্য!
প্রতিদিন লাশ দেখি আমরা। বুলেটে ক্ষতবিক্ষত লাশ, আগুনে ঝলসানো লাশ, ইট দিয়ে মাথা থেতলে দেওয়া লাশ, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারা লাশ... লাশের মিছিলের অসহ্য বেদনাময় দৃশ্য একটু একটু করে খুন করে ফেলছে আমাদের সবার মানবিক অনুভূতিগুলোকে!
গনমাধ্যমে প্রতিদিন মিথ্যেবাদী রাজনীতিবিদদের নির্লজ্জ্ব নিখুঁদ মিথ্যাচার শুনি আমরা। শুনতে শুনতে আমাদের শ্রবন যন্ত্রটা একটু একটু করে অসুস্হ হয়ে পড়ছে।
অথর্ব লেবাসধারী সুশীলদের টিভি পর্দায় দালালি করতে দেখে একটু একটু করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের দৃষ্টিশক্তি।
প্রতিদিন ধর্ষিত হচ্ছে গনতন্ত্র। ধর্ষিত গনতন্ত্রের অসহায়ত্ব একটু একটু করে ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের বিবেককে। অসুস্হ রাজনীতির বিষাক্ত চোবলে আমাদের সব স্বপ্নগুলো শুকনো খড়-কুটুর মত ভেসে যাচ্ছে অজানায়!
এরপরও আমরা বেঁচে আছি! কি অবিশ্বাস্য!
নানা রকমের দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। সব দুঃখই হয়তো মেনে নেওয়া যায় কিন্তু রাষ্ট্র যদি নাগরিকদের জন্য ভয়াবহ অনিরাপদ হয়ে ওঠে তবে এর চেয়ে দুঃখজনক কিংবা বেদনাদায়ক সংসারে আর কি আছে??
আহ্! আমি আর আমরা বেঁচে আছি ঠিকই তবে বড় বেশী অসহনীয় এই বেঁচে থাকা... বড় বেশী দ্বীর্ঘশ্বাসে মোড়া এই জীবন!