বাংলা একাডেমীর বই মেলা চলছে। মেলার কথা মনে হলেই বুকের ভেতরটা চ্যাৎ করে ওঠে! তখন আরও বেশী করে উপলব্দি করি "আপনি নেই..." আমার তখন খুব কান্না পায়!
আপনি আর কোনদিন মেলায় আসবেন না, আপনার লেখা নতুন বইয়ের জন্য জমবে না পাঠকের ভীড়। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক উপছে পড়া পাঠকের সুমধুর পাগলামী দেখে আপনাকে বলবেনা, "আপনি আর মেলা প্রাঙ্গনে আসবেন না প্লিজ!" সাহিত্যকে যারা বাপের সম্পত্তি বলে মনে করে আপনাকে নিয়ে তাদের ব্যাঙ্গময় ছ্যাঁচড়ামির বিনোদন আর দেখবো না... হায়! ঈশ্বরের সাথে খুব এক চোট হয়ে যায় আমার।
প্রিয় হুমায়ুন স্যার আপনাকে মনে পড়ে... খু..উ..ব..
এই তো সেদিন ঢাবির শহীদ মিনারের সামনে আপনাকে কফিন বন্দী করে রাখা হলো। দীর্ঘ লাইন ঠেলে এক গুচ্ছ ফুল আপনার মুখ ঢাকা কফিনের বুকে অতি যত্নে রেখেছিলাম। আহারে! বুকের ভেতর কি প্রবল হাহাকার... টলমল নেশাগ্রস্থ দেহ-মন আর আমার চোখে সমুদ্রের ঢেউ... এতো ভালোবাসি এতো ভালবাসি... না না গুরু আপনি জানলেনই না!
প্রিয় হুমায়ুন স্যার, আপনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন। প্রিয় মানুষ চলে যাওয়া মানে বিস্মৃতির অবগাহনে হারিয়ে যাওয়া নয় বরং বুকের গভীরে আরও গভীর ভাবে রয়ে যাওয়া।
" নিদয়া নিষ্ঠুরো পাখী দয়া নাইরে তোর...
পাষানো সমানো হিয়া কঠিনো অন্তর!
আহা শুয়া উড়িলো... উড়িলো... উড়িলোরে!"