যারা প্রথম পোষ্ট টি মিস করেছেন, তারা নিচের লিংক এ গুতা মারুন
View this link
ঘটনা প্রবাহ ৪:
গত পোষ্টে স্কুল পালানো নিয়ে একটা ঘটনা বর্ননা করেছিলাম। সে রকম আরেকটি মজার ঘটনা আজকে শেয়ার করলাম।
প্রাইমারী স্কুলে পড়াকালীন সময়ে যথারীতি স্কুলের টিফিন পিরিয়ড় শুরু হলো আমরা কয়েকজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম
সুমন নামের একটা ছেলে আজকে স্কুলে আসে নাই, তাকে ধরে নিয়ে আসতে যাবো। যেই কথা সেই কাজ, বিসমিল্লাহ বলে কোমরে গামছা বেধেঁ, গামছা বাধাঁর কারন, তখন লুঙ্গি পরা ছিলাম গামছা না বাধঁলে যদি দৌড়াতে গিয়ে লুঙ্গি খুলে দিগম্বর হয়ে যায় :!> :!> :!> তাই শক্ত করে গামছা বাধঁলাম। ৫-৭ জন মিলে সুমনদের বাড়ির দিকে হুংকার ছাড়লাম। বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার আগেই সে আমাদের দেখে ফেলে। আমাদের দেখা মাত্রই সে
উসাইন বোল্টের দৌড় শুরু করে দিল

, আমরা ও কম যাই না ওকে দেখা মাত্রই হই হই রই রই করে ধর ধর স্লোগান তুলে ওর পিছু ধাওয়া করলাম। বিশ্বাস করবেন না সে আমাদের কে দেখে যা ভয় পাইছে, এখনকার চোর যখন চুরি করে ধরা পড়ে তারা ও এত ভয় পায় না



। তাদের বাড়ীর সামনে পুকুর পাড়ে অনেক বড় একটা কবরস্থান ছিলো, অনেক দৌড়ানোর পর সে কবরস্থান এ গিয়ে ঢুকলো। আমরা ও পিছু পিছু ঢুকলাম। বাংলা ছবির মতো অনেক
খোঁজ দ্যা সার্চ

কমপ্লিট করলাম। কিন্তু তাকে আর খুজেঁ পাই না। জাহাঙ্গীর নামের একটা ছেলে তাকে সার্চ করতে করতে একদম পুকুরের পাড়ে চলে গেছে, একসময় সে খেয়াল করে পুকুরের মধ্যে কার যেন ছায়া পড়ে আছে, আর অমনি পাইছিরে বলে চিৎকার দেয়া শুরু করে। তার চিৎকার শুনে যখন আমরা হই হই করে তাকে ধরার জন্য যাইতেছি, তখন সুমন বেচারার জান কাবু কাবু অবস্থা

সে কোন মতে বাবা রে মারে বলে পড়িমরি করে দৌড়াইয়া পানিতে ঝাপ মারল

। এক ডুবে একবারে পুকুরের মধ্যখানে। আমরা আর কি করবো শিকারী হাতছাড়া হয়ে গেল এই দুঃখে মনিরখানের মতো ভাঙ্গা মন

নিয়ে আবার স্কুলের উদ্দেশে গমন করিলাম।
[বিঃ দ্রঃ কিছু কিছু ব্লগার ভাই হয়তো
পানিতে ছায়া পড়ার বিষয়টা নিয়ে বলবেন আমি এখানে চান্স পাইয়া গুল মারতেছি

, আসলে গুল মারিনি, আমরা পরে স্কুলে আসার সময় জাহাঙ্গীর এর কাছ থেকে শুনেছি]
এখানে কিন্তু আমাদের একটা দুই নাম্বারী আছে যেটা তখনকার স্যারেরা ও মনে হয় টের পেতো না

, কারন যেদিন টিফিন পিরিয়ড়ের পরের ক্লাসটার পড়া পারতাম না ওইদিন ই আমরা দল বেঁধে যারা আসে নাই তাদের পাকঁড়াও করতে যাইতাম

। যাতে করে পরে আসতে আসতে ওই ক্লাস টার অর্ধেক বা তার বেশী সময় চলে যেত। আমরাও পড়া দেয়া আর বেতের বাড়ি খাওয়া থেকে বেঁচে যেতাম



।
সুমন বেশীদূর পড়াশুনা করতে পারে নি, একটা বাজে রাজনীতীক দলের সাথে মিশে অনেক খারাপ হয়ে গেছে, এখন আমরা তাকে দেখে উল্টা ভয় পাই

।
যারা প্রথম পোষ্ট টি মিস করেছেন, তারা নিচের লিংক এ গুতা মারুন
View this link
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:০৬