চিত্রঃ অন্তর্জাল
নতুন শিক্ষা কারিকুলাম চালু হইছে দেশে।
বরাবরের মত জাতির সিংহভাগই ধারণা করছে এই শিক্ষা ব্যবস্থা কোনো কাজের ই না।
এই শিক্ষা ব্যাবস্থা দেশের শিক্ষারে পংগু কইরা দিবে, জাতির মেরুদণ্ড ভাইংগা দিবে (ছিল কবে?)
তবে আপনাদের সহমত ভাই হইতে পারি নাই বইলা আমি অত্যন্ত দু:খিত।
এই শিক্ষা ব্যবস্থা যে আসলেই কার্যকর, সে আপনাদের প্র্যাক্টিক্যাল উদাহরণ দিয়া ই বুঝাইয়া দেয়ার অপপ্রয়াস চালাচ্ছি:
দেখেন, এই শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে, আচুক্কা দেশে শিক্ষাবিদের সংখ্যা বাইড়া গেছে কয়েক মিলিয়ন!
ভাবা যায়!
৩ বারে এসএসসি পাশ করা লোকও শুধুমাত্র এই কারিকুলাম এর প্রভাবে শিক্ষাবিদ!
৪ বারে দাখিল পাশ করা ব্যক্তিএ এই কারিকুলাম এর ছোয়ায় শিক্ষাবিদ!
৫০০ এমসিকিউ দাগায়া পাশ করা ব্যক্তিও এই কারিকুলাম এর স্পর্শে শিক্ষাবিদ!
চার হাত পায় নকল কইরা পাশ করা ও ব্যক্তিও এই কারিকুলাম এর স্পর্শে শিক্ষাবিদ!
সেই "আই এম জিপিএ ৫" ও কিন্তু আজ শিক্ষাবিদ!
মুখস্ত বিদ্যার ধারক ও বাহক তোতা পাখি ও এই কারিকুলাম এর আলোয় উদ্ভাসিত হয়া শিক্ষাবিদ!
প্রশ্ন ফাস কারী চিটার, ও কর্মীগন, চোকিং্যের নোট সরবরাহকারী, সাজেশন বিক্রেতাগনও আজ শিক্ষাবিদ!
ফেসবুকে "ই" রে "য়" এবং "য়" রে "ই" লেখা মহান ব্যক্তিগনও আজ এই কারিকুলাম এর স্পর্শে শিক্ষাবিদ!
যাদের হাতে দেশ উচ্ছন্নে গেল তারা ও এই কারিকুলাম এর ছোয়ায় আজ শিক্ষাবিদ!
শিক্ষার নামে, মহান আল্লাহপাকের নামে রাস্তায় দাড়ায়া যারা বাচ্চাদের দিয়া ভিক্ষাবৃত্তি করায়, আজ তারা ও এই কারিকুলাম এর ছোয়ায় শিক্ষাবিদ!
ভাইবা দেখেন, এরা কেউই এই কারিকুলাম পাঠ করে নাই, পাঠ না কইরা ই শুধুমাত্র এর আলোয় আজ শিক্ষাবিদ!
আর এরা সকলে যদি পড়ত, বুঝতেই পারছেন..
বিগত হাজার বছরে এই বংগভূমিতে এরকম আলৌকিক কিছু এ বিশ্ব অবলোকন করে নাই।
এই শিক্ষা কারিকুলাম যে কাজ কার্যকর, তার সব থেকে বড় প্রমান আপনারা, যারা এর বিরোধিতা করছেন; দেখেন, আপনাদের মাঝেই পরিবর্তন ঘটছে, আপনারা প্রশ্ন করা শিখছেন, এই কারিকুলাম এর ছোয়ায়।
দেশে যে হারে শিক্ষাবিদ যে হারে বৃদ্ধি পাইছে, তাতে এইটাই সঠিক সময়, কিছু শিক্ষাবিদ বাইরে রপ্তানি করার, এই ডলারের সংকটকালীন সময়ে বড়ই উপকার হবে বৈদেশিক মূদ্রা আমদানিতে।
আর বাংলাদেশ হবে, বিশ্বের ১ম শিক্ষাবিদ রপ্তানিকারক দেশ!
বিরোধিতা করা সাপোর্ট করি, সেটা যৌক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ হোক।
বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করা, বা ব্যক্তিগত গেইনের জন্য বিরোধিতা করা গ্রহনযোগ্য না।
এইটা আর ও ক্ষতিকারক, এই পয়েন্টলেস বিরোধিতা শিক্ষা ব্যবস্থার যে অংশ নিয়া সমালোচনা করা দরকার, সেইটারে আড়াল করে ফেলছে, মূল ফোকাসটা সরে যাচ্ছে, আল্টিমেটলি আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৮