somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলাম থেকে কিভাবে দায়েশের মত একটি দুর্ঘন্ধ বেরিয়ে আসে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
আয়াতুল্লাহিল উজমা
খামেনেয়ী বলেছেন, “একটি
বেদুঈন গোত্রের একটি উগ্র ও
জঘন্য চিন্তাধারার সঙ্গে
উপনিবেশবাদের মিলনের
মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে চরমপন্থার
বীজ বপন করা হয়েছে। তা না
হলে, বিশ্বের সবচেয়ে
মানবিক ও
নীতিনৈতিকতাপূর্ণ ধর্ম
(ইসলাম)- যাতে একজন মানুষের
হত্যাকাণ্ডকে গোটা
মানবতাকে হত্যার সমান বলে
অভিহিত করা হয়েছে সেখান
থেকে কিভাবে দায়েশের
মতো আবর্জনা বেরিয়ে
আসে?”
পশ্চিমা যুবসমাজের উদ্দেশে
লেখা দ্বিতীয় চিঠিতে
তিনি এসব কথা বলেন।
পাশাপাশি তিনি এ প্রশ্নও
তোলেন যে, “যারা ইউরোপে
জন্মগ্রহণ করেছে এবং
ইউরোপীয় পরিবেশ ও
সংস্কৃতিতে যাদের
চিন্তাধারার বিকাশ ঘটেছে
তারা কীভাবে এ ধরনের
গোষ্ঠীতে যোগ দেয়? এটা
কি বিশ্বাসযোগ্য যে, একদল
মানুষ যুদ্ধবিধ্বস্ত
এলাকাগুলোতে একবার বা
দু’বার সফর করার পর হঠাৎ করে
এতটা চরমপন্থি হয়ে যায় যে,
নিজের দেশের নাগরিকদের
ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে? এখানে
যে বিষয়টি উপেক্ষা করা
হচ্ছে সেটি হলো- এসব জঙ্গি
একটি অসুস্থ ও সহিংস
সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছে
এবং জীবনের বড় অংশ
কাটিয়েছে। এ বিষয়টিকে
অবশ্যই পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ
করতে হবে; যে বিশ্লেষণে
সমাজের প্রকাশ্য ও গোপন
দূষণগুলো বেরিয়ে আসে।
পাশ্চাত্যে শিল্প ও
অর্থনৈতিক বিকাশের
বছরগুলোতে সমাজের বিভিন্ন
শ্রেণির মধ্যে আইনি
প্রক্রিয়ায় যে অসাম্য ও
বৈষম্যের বীজ বপন করা
হয়েছে কিছুদিন পরপর অসুস্থ
প্রকৃতিতে হয়তো তার ফলে সৃষ্ট
চাপা ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ
ঘটছে।”
মুসলিম দেশগুলো পশ্চিমা
সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার
সমালোচনা করে ইরানের
সর্বোচ্চ নেতা বলেন,
“পশ্চিমা সংস্কৃতিকে অন্যান্য
দেশের ওপর চাপিয়ে
দেয়াকে এবং মুক্ত ও স্বাধীন
সংস্কৃতিগুলোকে হেয়
প্রতিপন্ন করাকে একটা নীরব ও
ক্ষতিকর সহিংসতা বলে মনে
করি। এমন সময় সমৃদ্ধ
সংস্কৃতিগুলোর পাশাপাশি
এগুলোর সবচেয়ে সম্মানিত
উপকরণগুলোর অবমাননা করা
হচ্ছে যখন অন্য কোনো কিছু
দিয়েই একটি সংস্কৃতির স্থান
পূরণ করা সম্ভব নয়।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন,
“বর্তমান যুগে ‘সহিংসতা’ ও
‘নৈতিক স্খলন’ পশ্চিমা
সংস্কৃতির দু’টি প্রধান অনুষঙ্গে
পরিণত হলেও পাশ্চাত্যের
মানুষই এখন এ দু’টি বিষয় থেকে
মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু
করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা
যদি একটি সহিংস, অশ্লীল ও
নিরর্থক সংস্কৃতি গ্রহণ করতে
না চাই- সেটা কি আমাদের
অপরাধ? নানা ধরনের কথিত
শিল্প পণ্যের আদলে আমাদের
তরুণদের প্রতি যে ধ্বংসাত্মক
ঢল নামিয়ে দেয়া হয়েছে
তা প্রতিহত করার কারণেই কি
আমরা অপরাধী?”
আয়াতুল্লাহিল উজমা
খামেনেয়ী বলেন,
“সংস্কৃতিগুলোর মধ্যে
সংযোগের গুরুত্ব ও মর্যাদাকে
আমি অস্বীকার করছি না। যখন
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এবং
সম্মানের সঙ্গে কোনো
সমাজে এই সংযোগ ঘটে তখন
সে সমাজের উন্নতি ও সমৃদ্ধি
ঘটে। কিন্তু জোর করে
সাংস্কৃতিক সংযোগ
ঘটানোর চেষ্টা সব সময়ই ছিল
ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক। আমি চরম
পরিতাপের সঙ্গে একথা
বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমদানি
করা সংস্কৃতিগুলোর সঙ্গে এ
ধরনের ব্যর্থ সংযোগ ঘটানোর
চেষ্টার ফসল হিসেবে
আইএসআইএল বা দায়েশের
মতো হীন প্রকৃতির
গোষ্ঠীগুলো সৃষ্টি হয়েছে।
যদি ইসলামি চিন্তাধারায়
দৈন্য থাকতো তাহলে
সাম্রাজ্যবাদী ও
উপনিবেশবাদী যুগ শুরু হওয়ার
আগেও মুসলিম বিশ্বে এ ধরনের
গোষ্ঠী দেখা যেত। অথচ
ইতিহাস তার উল্টো চিত্রই
তুলে ধরছে।"
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৭
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জঙ্গি শক্তির ছায়া, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×