somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-৮)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তুমি বার বার বিয়ের পরে কি হবে, তা জানতে চাইতে। আমি তোমাকে দিনের পর দিন এসএমএস করে জানাতাম। আজ তোমাকে এসএমএস এ পাই না। তুমি দূরে আছো, কিন্ত আমাদের স্বপ্নগুলো আজও রঙিন পাখা মেলে সর্বত্র উড়ে বেড়াচ্ছে।

তুমি আমাকে জান সম্বোধনে ডাকতে। আমাদের বিয়ের পর আমরা দু’জন দুজনাকে জান বলে ডাকবো। তুমি একটু চোখের আড়াল হলেই জান-জান!-ও জান!- ওগো জান!-জানরে! বলে ডেকে উঠবো। তুমিও ছুটে আসবে আমার কাছে। দুজন মিলে জীবনের আনন্দকে স্কয়ার থেকে কিউব, আবার কিউব থেকে ইনফেনিটি বানিয়ে নেবো। সেই চরম সুন্দরের আনন্দকে কাছে পাবার জন্যই আমার এই অভিযান।

দু’জন একসাথে থাকবো। দিনের পর দিন একসাথে কেঁটে যাবে। তারপরও আফসুস থাকবে- হায়রে আরো সময় কেনো পেলাম না! জানো বন্ধু! প্রেমের অনুভুতি এমনই হয়। প্রেম থাকলে সময় দ্রুত পালিয়ে যেতে চায় কিন্তু প্রেমের মায়ার কাছে সময়ও খুব অসহায়। আজ যেনো সেই অনাগত সময় আমার পায়ে এসে নমস্কার করছে।

আমি তোমার কোলে মাথা রেখে সব হাসি আনন্দের অনুভুতিকে শেয়ার করবো। আমি অনেক বেশি ক্লান্ত হলেও শুধু তোমার কোলে একবার মাথা রেখে ঘুমতে পারলে সুস্থ্য ও ক্লান্তিহীন হয়ে যাবো।

আমাদের বাড়ীর ভিতরে দোলনা লাগানো থাকবে। যে দোলনায় বসে দু’জন একসাথে দুলবো। আমি তোমার মুখের দিকে চেয়ে থাকবো। স্পিকারে মৃদু গান বাজতে থাকবে। আমরা সেই ক্ষন ও সেই গানের মধ্য দিয়ে, আমাদের স্মৃতিকে চির অমর করে রেখে যাবো।

আমার মনের মতো করে তোমাকে সাঁজাবো। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে তাজ্জব বনে যাবে। আমাদের মনে কোনো দুঃখ থাকবে না। আমাদের সব দুঃখকে দু’জন ভাগাভাগি করে নেবো। আমাদের প্রেমের মধ্যে কোনো প্রকার কানকথার দাম থাকবে না। আমরা বিয়ের পরে শুধু প্রেম করবো। আমাদের প্রেম মহাদামি। সব কিছু হারালে আবার পাওয়া যেতে পারে কিন্তু প্রেম একবার হারিয়ে গেলে, তাকে কিভাবে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো বলো জান!

আমি তোমাকে চাই। আমার সমস্ত অনুভুতি ও সমস্ত কর্মের মধ্যে শুধু তোমাকে চাই। আমার সব আশা তোমায় ঘিরে। দেখো আমার বুকের মধ্যে কেমন যেনো করছে। কি এক অনুভুতি তিলে তিলে আমাকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। তুমি কাছে নেই বলে আমার হাসি আনন্দ আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। তুমি ছাড়া আমি আর কোনো কিছুতে আনন্দ পাবো না। তুমি ছাড়া কোনো সুখ আমার দরকার নেই। আমি শুধু তোমাকে চাই।

আমরা দু’জন মিলে সবাইকে দেখিয়ে দেবো যে, বিয়ের পরেও প্রেম কখনও কমে না। সেই আশা নিয়ে আজও আমি তোমাকে লিখছি। আমার হৃদয়ের কথা আর তোমার হৃদয়ের ভাষা একই। আমরা দু’জন দু’জনের মাঝে হারিয়ে গেছি। আমাদের বিবাহিত জীবনে শুধু আদর আর আদরে ভরে উঠবে। শুধু প্রেম ভরা আদর। আমি তোমাকে আমার অনেক কাছে রাখতে চাই। এই দেখো আজ আমি কত দুরে থেকেও তোমার কতো কাছে এসেছি। ভালো করে উপলব্ধি করে দেখো, আমি তোমার কতো নিকটে থাকি। আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরতে চাই। এতো জোড়ে জড়িয়ে ধরতে চাই যে তুমি যাতে আর কখনও দুরে যেতে না পারো। ঠিক ঐ রাতের মতো করে আমি তোমাকে সারাজীবন কাছে পেতে চাই।

আমাদের বিয়ের পরে, প্রতি বর্ষায় আমরা বৃষ্টিতে ভিজবো। প্রতি শীতে আমরা এক লেপ/কম্পলের নিচে থাকবো। প্রতি বসন্তে আমরা ঘুরে ঘুরে প্রকৃতির লিলা দেখবো। প্রতি হেমন্তে আমরা মেঘের খেলা দেখবো। প্রতি শরতে আমরা প্রকৃতির পরিবর্তনের চেহারা দেখতে থাকবো। প্রতি গ্রীশ্মে আমরা বৈশাখের চোখ রাঙানো কাল বৈশাখির মজা উপভোগ করবো। জৈষ্ঠ্য দেশি ফলের মজা উপভোগ করবো। জান! তুমি আমার কাছে সব থেকে বেশি ইম্পর্টেন্ট। তাইতো আজ হারিয়েও তোমাকে খুঁজে ফিরি। আমি আমার মন থেকে এই কথাগুলো বলছি। তাতে কার বা কি এমন ক্ষতি। একদিন দেখো, আমার লেখা পড়ার পর কোনো প্রেমিক/প্রেমিকা তাঁদের প্রিয় মানুষটির মনে কষ্ট দেবে না। পরিবার কে সুন্দর করে ম্যানেজ করে তাঁরা নিজেদের আনন্দ নিজেরা বুঝে নেবে।

আমি শুধু তোমাকে কাছে টানার জন্যই এসব লিখি না। আমি সমস্ত প্রেমিক/প্রেমিকার দুঃখ ব্যাথাকে আমার লেখনীর মধ্য দিয়ে তুলে ধরি। যাতে আর কারও সুন্দর সংসারের স্বপ্ন, হঠাৎ করে ভেঙ্গে না যায়। আমি তোমাদের ভিতরের সুন্দর প্রেম কে জাগানোর জন্যই এসেছি বন্ধু! আমাকে তোমার ভুল বুঝ না। আমি মিলনে বিশ্বাস করি বিরহে না।

একবার তাকিয়ে দেখো প্রকৃতির দিকে। আমরা মানুষ। আমাদের মনের সকল অভিব্যাক্তি আমরা প্রকাশ করতে পারি। আমাদের জন্ম যদি পশুকুলে হতো তাহলে এই কথা আমি কি করে লিখতাম? মানুষ সেরা জীব। আমরা মানব আত্মা পেয়েছি শুধু মাত্র মানুষের মঙ্গল করার জন্যই। নিজের প্রেম কে বিশর্যন দিয়ে আর যাই হোক, সুন্দর করে বেঁচে থাকা হয় না। আমাদের প্রেমকে যদি আমরা গুরুত্ব না দেই তাহলে কে বুঝবে আমাদের মনের ব্যাথা।

আমি জানি প্রিয়, আমাকে ছেড়ে তুমি কোনোদিন সুখে থাকতে পারবে না। আমি তোমার সামনে বার বার আসবো। তোমার প্রত্যহিক প্রতিটা কর্মের মাঝে আমি থেকে যাবো। আমার স্মরন করতে করতেই তোমার সময় কেটে যাবে। তাতে তুমি নিজেকে যত বেশি ব্যস্ত মনে করো না কেনো, কোনো অসুবিধা নেই।

আজ একটু একটু বৃষ্টি হচ্ছে। আমি বসে বসে তোমার মনের কথাগুলোকে ভাবছি। তোমার কাছে এই তো লিখে যাচ্ছি। ইদানিং আমি খুব সিগারেট পান করি। তুমি আসার পরে, আমাদের বিয়ের পরে আমি আর সিগারেট খাবো না। তারপরও তুমি ফিরে আসো জান!

আমার লেখা তুমি পড় কি পড়না তা আমার জানা নেই। কিন্তু আমি যে কোনো একটি প্লাটফরমে তোমাকে নিয়ে আমার মনের কথা লিখতে পারছি তাতেই আমি ধন্য। হোক না বহুদিন তারপরও কোনো না কোন সময় তুমিই আমাকে খুঁজে নেবে। আমি সে প্রতিক্ষায় থাকি। এই প্রতিক্ষার প্রহর যে কতো বেশি যন্ত্রনার, তা তুমি একদিন না একদিন বুঝতে পারবে।

আর দেরি করো না প্রিয়। এবার তুমি ফিরে আসো। দেখো আমি কতসুন্দর করে এই পৃথিবীকে তোমার জন্য রেখে গেলাম। যেখানে আজ কোনো হাহাকার নেই, দুঃখ নেই, ব্যাধি নেই। আছে শুধু মানুষের আন্তরিকতা।


দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-৭)

দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-৬)


দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-৫)

দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-৪)

দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-৩)

দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-২)

দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-১)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×