১. বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়াতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। তবে মিঁও মিঁও গ্রুপ এখনও আশা ছাড়ছে না এটা চালু রাখার। এদিকে এই মিঁও মিঁও গ্রুপের সাথে আরেকটা গ্রুপের আবির্ভাব হয়েছে। তাদের বক্তব্য হল - যেই স্ট্যাটাস-এর কারণে আবরার খুন হল সেই স্ট্যাটাস-এর মূল বিষয় অর্থাৎ ভারতের সাথে পানি বন্টন বিষয় থেকে ফোকাস দূরে সরে গেলে হবে না। তাহলে আর ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে লাভ কী হল? এখন ছাত্রদের দাবী দাওয়া কে তুলে ধরবে? ইত্যাদি...
২. আসলে এই গ্রুপটা খুব সচেতন ভাবে সুবিধাবাদী। এরা ছাত্র রাজনীতির কুফল জানার পরও এক ঘটনার সাথে আরেক ঘটনা জুড়ে দিয়ে কৌশলে সমস্যা জিইয়ে রাখতে চায়। ভারতের সাথে পানি বন্টন একটা জটিল, আন্তর্জাতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা। তার সাথে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের উদ্দেশ্যকে মেলালে হবে না। ক্যাম্পাসে শান্তি আনতেই হবে, রেগিং বন্ধ করতেই হবে, অভিভাবকদের দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতেই হবে...
৩. প্রসঙ্গত এখানে শিরোনামে খন্দকার মোশতাককে টেনে আনলাম। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে বন্দী থাকা অবস্থায় যখন সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দিন রা দেশ চালাচ্ছিলেন, তখন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা খন্দকার মোশতাক প্রস্তাব করে বসলেন, আমাদের আন্দোলন কীসের জন্য হবে? বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য, নাকি স্বাধীনতার জন্য? আওয়ামী নেতারা বললেন, দুই টাই। এই বিষয়ে বর্তমানের নেতারা বিশ্লেষণ করে থাকেন, খন্দকার মোশতাক পাকিস্তান পন্থী হওয়াতে দলের মধ্যে এই ভ্রান্তি তৈরি করেন...
৪. ছাত্র রাজনীতি চালু রাখার জন্য যে বা যারাই যত ভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাবে তাদের ব্যপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোন নেতার ছেলে মেয়ে রাজনীতি করছে না ছাত্রাবস্থায়, কোন নেতার ছেলে মেয়ে মাইর খাচ্ছে না, রেগিং-এর শিকার হচ্ছে না। এটা বন্ধ করতেই হবে। ল্যান্ড ফোনের দিন শেষ...
ভিডিওর শেষে মহিউদ্দিন আহমেদ-এর বক্তব্য শুনবেন সবাই...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩