somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’, আমরা কতটুকু প্রস্তুত?

১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপডেট:২০-০৫-২০ সন্ধ্যা
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে দিয়েছে। আজ বুধবার বিকেল চারটা থেকে এটি সাগর উপকূলের পূর্ব দিকে সুন্দরবন ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ দিয়ে অতিক্রম করছে।
অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল চারটা থেকে রাত আটটার মধ্যে আম্পান বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা অঞ্চল অতিক্রম করবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে।
আপডেট:২০-০৫-২০ সকাল
আম্ফান আজ বুধবার (২০ মে) বিকেল/সন্ধ্যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আম্ফান দেশের ৩৯০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উপকূলীয় দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

আপডেট:১৯-০৫-২০ সন্ধ্যা
উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব শুরু হয়ে গেছে। বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। ধীরে ধীরে বাড়ছে এর গতিবেগ। আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে মানুষের ঢল নেমেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আগতদের সেহেরি এবং ইফতারসহ শুকনো খাবারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে আহতদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ায় সহায়তা করছেন স্বেচ্ছাসেবক, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা।এদিকে যথাসময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য উপকূলজুড়ে চলছে মাইকিং। জেলা সমূহে ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জরুরী আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আম্ফানের প্রভাবে দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এদিকে বিআইডাব্লিউটিসি চেয়ারম্যান খাজা মিয়া সংবাদমাধম্যকে বলেছেন, মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশের পাঁচটি ফেরিঘাট দিয়ে কোনো ফেরি চলাচল করবে না।
ঘাটগুলো হল: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি, চাঁদপুর-শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর- ভোলা এবং ভেদুরিয়া-লাহারহাট।

আপডেট:১৯-০৫-২০ সকাল
উপকূলবাসীদের মঙ্গলবার বিকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল সোমবার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আমরা মঙ্গলবার বিকাল থেকে লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া শুরু করব।
স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করেছে। গর্ভবর্তী নারী, মহিলা, প্রতিবন্ধী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। ইফতারের পর থেকে পুরুষদের নেওয়া হবে।
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ আসায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, সরকারের পাঁচ হাজার আশ্রয় কেন্দ্রে ২১ লাখের মত মানুষকে রাখা যায়। এখন আমরা ওইসব এলাকার সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে নিয়েছি। ফলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখতে কোনো সমস্যা হবে না।

আপডেট:১৮-০৫-২০ সন্ধ্যা
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়েছে উঠছে আম্ফান, বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়েছে উঠছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এটি উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই এটি সুপার সাইক্লোনের রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও কক্সবাজরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আপডেট:১৮-০৫-২০ দুপুর
খুলনা-চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী উপকূলে আঘাত হানতে পারে আম্ফান’
দিক পরিবর্তন করে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষরাত হতে (২০ মে) বুধবার বিকাল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’।

আপডেট:১৮-০৫-২০ সকাল
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে (ক্যাটাগরি-৪) এ রূপ নিয়েছে আমফান
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আমফান আরও ঘনীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
আমফান রাতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার যা দমকা হাওয়ার আকারে ১৩০কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

** [ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ (দুই) নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ (চার) নম্বর (পুনঃ) ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ] **

আপডেট:১৭-০৫-২০
বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’আম্ফান’ গত ৬ ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের দিকে এগিয়েছে।
আজ রোববার (১৭ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ৯ ও ১০ নম্বরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আজ সকাল ৬টার তথ্য বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছিল, পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরকে থেকে ১ হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি। আর দুপুর ১২টার তথ্য বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। অর্থাৎ এই ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ২৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের দিকে এগিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি।
দিক পরিবর্তন ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের, সরে এসেছে আরও উত্তরে



আমফানের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির চিত্র



আমফান নিয়ে সতর্কতার অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে সরকারের কৃষি আবহাওয়া প্রতিবেদনে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ৮০ শতাংশ পেকে যাওয়া বোরো ধান কেটে ফেলতে হবে। পরিপক্ব হয়ে ওঠা সবজি, ফল তুলে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। মাছের পুকুর ও ঘেরের চারপাশে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলতে হবে, যাতে জলোচ্ছ্বাসে মাছ ভেসে না যায়। আর যেসব ফসল কেটে নিরাপদ স্থানে নেওয়া যাবে না, সেগুলো মাঠের এক কোনায় উঁচু স্থানে পলিথিন দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে, যাতে ভারী বর্ষণে নষ্ট না হয়।

বন্দর ও উপকূলে সতর্কতা
ঘূর্ণিঝড় আমফানের গতি–প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং এসব জেলার আশপাশের দ্বীপ ও চর ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। অন্যদিকে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং এসব জেলার কাছের দ্বীপ ও চর ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

১৪ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং এসব জেলার কাছের দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলায় অতিভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
=
আম্ফান অর্থ শক্তিমান বা শক্তিশালী। এটি থাই শব্দ। থাইল্যান্ডের আবহাওয়াবিদেরা এই নামটি দিয়েছেন। বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশের আবহাওয়াবিদেরা মিলে ৬৪টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের একটি তালিকা করেছিলেন। ওই তালিকার সর্বশেষটি ছিল আম্পান। এরপর সাগরে যে ঝড় তৈরি হবে, সেটি নতুন তালিকা থেকে ঠিক করা হবে।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে এই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ শনিবার রাতেই এটি প্রবল শক্তি সঞ্চয় করলে সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় আমফান।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে/তীব্র ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বর্তমানে নিম্নচাপটির যে গতিমুখ রয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পথ নির্দেশ করছে। তবে গতিপথ যে কোনো সময় পরিবর্তন করতে পারে। আর যে গতিতে এগোচ্ছে সেই গতি ধরে রাখলে ১৯ কিংবা ২০ মে’র দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে।



এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গভীর নিম্নচাপটি শনিবার মধ্যরাতেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে আর আমফানে রূপ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি ব্যাপক শক্তি নিয়ে এগোতে থাকবে। এক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠে যাবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার (কিমি) পর্যন্ত।
ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ ১৭ মে এটি তীব্র রূপ ধারণ করলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠবে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ১৮ মে খুব তীব্র রূপ নিয়ে বাতাসের গতিবেগ উঠে যাবে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। আর ১৯ মে অতি তীব্র রূপ নিয়ে আমপানের কেন্দ্রে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ উঠে যাবে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এরপর গতি কমে ২০ মে ১৯০ কিমি, এরপর ১৭০ কিমি এবং ২১ মে ১৩৫ কিলোমিটারে নেমে আসবে।


ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞানী সুনিতা দেবী এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে উড়িষ্যা প্যারাদ্বিপ থেকে এক হাজার ৪০ কিমি দক্ষিণে, পশ্চিবঙ্গের দিঘা থেকে এক হাজার ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে এক হাজার ৩০০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে (শনিবার রাতের মধ্যে) গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ রবিবারই (১৭ মে) এটা তীব্র রূপ ধারণ করবে। প্রথমে এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক অগ্রসর হলেও কিছুটা দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের (বাংলাদেশ) উপকূল দিয়ে এটি সমতলে উঠে আসবে ১৮ থেকে ২০ মে’র মধ্যে।
এক্ষেত্রে কলকাতা হয়ে খুলনা অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করবে বাংলাদেশে। প্রভাব থাকবে রাজশাহী অঞ্চলেও। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগের ছকঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উড়িষ্যাতে ১৮ ও ১৯ মে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। আর পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের অঞ্চলে ১৯ ও ২০ মে ভারী থেকে অতি ভারী এবং তীব্র ভারী বর্ষণ হতে পারে। আনন্দবাজার, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রেও একই কথা জানা গেছে

গত বছরের নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর গতিপ্রকৃতিও ঠিক একই রকম ছিল। ওড়িশার পারাদ্বীপের কাছ থেকে বাঁক নিয়ে এ রাজ্যের কান ঘেঁষে সুন্দরবনের উপর দিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিল সে। ‘আমফান’ এ রাজ্যে আছড়ে পড়বে, না কি বুলবুলের পথেই সে যাবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে এ রাজ্যে আগামী সপ্তাহের শুরুতে ঝড়-বৃষ্টি হবেই। ভাসবে কলকাতা-সহ সাত জেলা।

এদিকে একটু আগে আপডেট পাওয়া গেল
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ সাতক্ষীরা অথবা সাতক্ষীরা-খুলনা উপকূল হয়ে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।
‘আকুওয়েদার’ এবং ‘সাইক্লোকেইন’ ঘূর্ণিঝড় ট্র্যাকারে সম্ভাব্য গতিপথ হিসেব এমন পূর্বাভাসই দিয়েছে।


‘আকুওয়েদার’ ঘূর্ণিঝড় ট্র্যাকারে দেওয়া ‘আম্পান’র সম্ভাব্য গতিপথে দেখা যায়, এটি ভারত সীমান্ত ঘেঁষে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
অন্যদিকে ‘সাইক্লোকেইন’ ঘূর্ণিঝড় ট্র্যাকারে দেওয়া সম্ভাব্য গতিপথ অনুযায়ী, ‘আম্পান’ আরও ডান দিকে সরে সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এবং বাংলােদেশর মধ্যভাগ দিয়ে ভূটান যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে নয় নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

সত্যি বলতে কি- যখন আনন্দ বাজার আর শীর্ষনিউজ ডট কমে পুরো আপডেট পেলাম তখনো বাংলাদেশের সেরা সেরা পত্রিকা গুলোতে কোন নিউজই খুঁজে পেলাম না। না টপ না বটম কোথাও নেই। প্রথম আলো, ইত্তেফাক, কালেরকন্ঠ যদি এত দেরীতে জাগে আমজনতা জাগবে আর সচেতন হবে কখন? দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের বিবৃতিই বা কখন দেবে? ঝড় এসে গেলে পড়ে?
আশা করি দ্রুতই সংশ্লিষ্ট সকলে অতি দ্রুততায় কাজ শুরু করবেন।


এমনিতেই করোনাতে লন্ডভন্ড আমাদের সকল ব্যবস্থাপনা। তার মাঝে আমফানের তীব্র আঘাত আমাদের ক্ষতির সীমা যথেষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই সচেতনতা, সতর্কতা এবং যথাপোযুক্ত ব্যবস্তাগ্রহনের মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ যত কমানো যায ততই মঙ্গল।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি, উপকূলীয় টিম এবং মিডিয়া অতিদ্রুত নিজেরা জাগুন এবং সবাইকে সচেতন করুন ।
২০১৯ এর মতো ঘূর্নিঝড় সচেতনতার মহড়া এবার দেখিনি। তাই মিডিয়াকে বেশি একটিভ ভূমিকা পালন করতে হবে। এবং সকল সচেতন নাগরিক যার যার নিজ অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব সর্বেোচ্চ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আগে করণীয়

# দুর্যোগের সময় কোন এলাকার লোক কোন আশ্রয়ে যাবে, গবাদিপশু কোথায় থাকবে, তা আগে ঠিক করে রাখুন এবং জায়গা চিনিয়ে রাখুন।
# বাড়িতে, গ্রামে, রাস্তায় ও বাঁধের ওপর গাছ লাগান।
# যথাসম্ভব উঁচু স্থানে শক্ত করে ঘর তৈরি করুন। পাকা ভিত্তির ওপর লোহার বা কাঠের পিলার এবং ফ্রেম দিয়ে তার ওপর ছাউনি দিন। # ছাউনিতে টিন ব্যবহার না করা ভালো। কারণ ঝড়ের সময় টিন উড়ে মানুষ ও গবাদিপশু আহত করতে পারে। তবে শূন্য দশমিক ৫ মিলিমিটার পুরুত্ববিশিষ্ট টিন ও জেহুক ব্যবহার করা যেতে পারে।
# উঁচু জায়গায় টিউবওয়েল স্থাপন করুন, যাতে জলোচ্ছ্বাসের লোনা ও ময়লা পানি টিউবওয়েলে ঢুকতে না পারে।
# জেলে নৌকা, লঞ্চ ও ট্রলারে রেডিও রাখুন। সকাল, দুপুর ও বিকেলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস শোনার অভ্যাস করুন।
# সম্ভব হলে বাড়িতে কিছু প্রাথমিক চিকিত্সার সরঞ্জাম (ব্যান্ডেজ, ডেটল প্রভৃতি) রাখুন।
# জলোচ্ছ্বাসের পানির প্রকোপ থেকে রক্ষার নানারকম শস্যের বীজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিন।
# বাড়িতে ও রাস্তায় নারকেল, কলাগাছ, বাঁশ, তাল, কড়ই ও অন্যান্য শক্ত গাছপালা লাগান। এসব গাছ ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের বেগ কমিয়ে দেয়। ফলে মানুষ দুর্যোগের কবল থেকে বাঁচতে পারে।
# নারী-পুরুষ, ছেলেমেয়ে প্রত্যেকেরই সাঁতার শেখা উচিত।
# ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে বা অন্য আশ্রয়ে যাওয়ার সময় কী কী জরুরি জিনিস সঙ্গে নেওয়া যাবে এবং কী কী জিনিস মাটিতে পুঁতে রাখা হবে, তা ঠিক করে সেই অনুসারে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
# আর্থিক সামর্থ্য থাকলে ঘরের মধ্যে একটি পাকা গর্ত করুন। জলোচ্ছ্বাসের আগে এই পাকা গর্তের মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারবেন।
# ডায়রিয়া মহামারির প্রতি সচেতন দৃষ্টি রাখতে হবে। শিশুদের ডায়রিয়া হলে কীভাবে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে হবে, সে বিষয়ে পরিবারের সবাইকে প্রশিক্ষণ দেন।
# ঘূর্ণিঝড়ের মাসগুলোতে বাড়িতে মুড়ি, চিড়া, বিস্কুটজাতীয় শুকনো খাবার রাখা ভালো।
# নোংরা পানি কীভাবে ফিটকারি বা ফিল্টার দ্বারা খাবার ও ব্যবহারের উপযোগী করা যায়, সে বিষয়ে নারীদের এবং আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেন।
# ঘূর্ণিঝড়ের পরে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করুন। বৃষ্টির পানি বিশুদ্ধ। মাটির বড় হাঁড়িতে বা ড্রামে পানি রেখে তার মুখ # ভালোভাবে আটকিয়ে রাখতে হবে, যাতে পোকা-মাকড়, ময়লা-আবর্জনা ঢুকতে না পারে।



পূর্বাভাস পাওয়ার পর দুর্যোগকালে করণীয়

# আপনার ঘরগুলোর অবস্থা পরীক্ষা করুন। আরও মজবুত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যেমন: মাটিতে খুঁটি পুঁতে দড়ি দিয়ে ঘরের বিভিন্ন অংশ বাঁধা।
# সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।
# বিপদ সংকেত পাওয়া মাত্র বাড়ির নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের আগে নিকটবর্তী নিরাপদ স্থানে বা আশ্রয়কেন্দ্রে পোঁছে দিতে প্রস্তুত হোন এবং অপসারণ নির্দেশের পরে সময় নষ্ট না করে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যান।
# বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় আগুন নিভিয়ে যাবেন।
# আপনার অতি প্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্যসামগ্রী যেমন—ডাল, চাল, দেশলাই, শুকনো কাঠ, পানি ফিটকিরি, চিনি, নিয়মিত ব্যবহূত ওষুধ, # বইপত্র, ব্যান্ডেজ, তুলা, ওরস্যালাইন ইত্যাদি পানি নিরোধন পলিথিন ব্যাগে ভরে গর্তে রেখে ঢাকনা দিয়ে পুঁতে রাখুন।
# আপনার গরু-ছাগল নিকটস্থ উঁচু বাঁধে অথবা উঁচু স্থানে রাখুন। কোনো অবস্থায়ই গোয়ালঘরে বেঁধে রাখবেন না। কোনো উঁচু জায়গা না থাকলে ছেড়ে দিন, বাঁচার চেষ্টা করতে দিন।
# শক্ত গাছের সঙ্গে কয়েক গোছা লম্বা মোটা শক্ত রশি বেঁধে রাখুন। রশি ধরে অথবা রশির সঙ্গে নিজেকে বেঁধে রাখুন, যাতে প্রবল ঝড়ে ও জলোচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে নিতে না পারে।
# আশ্রয় নেওয়ার জন্য নির্ধারিত বাড়ির আশপাশে গাছের ডালপালা আসন্ন ঝড়ের আগেই কেটে রাখুন, যাতে ঝড়ে গাছগুলো ভেঙে বা উপড়ে না যায়।
# রেডিওতে প্রতি ১৫ মিনিট পর পর ঘূর্ণিঝড়ের খবর শুনতে থাকুন।
# দলিলপত্র ও টাকা-পয়সা পলিথিনে মুড়ে নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে রাখুন অথবা সুনির্দিষ্ট স্থানে পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে মাটিতে পুঁতে রাখুন।
# টিউবওয়েলের মাথা খুলে পৃথকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং টিউবওয়েলের খোলা মুখ পলিথিন দিয়ে ভালোভাবে আটকে রাখতে হবে, যাতে ময়লা বা লবণাক্ত পানি টিউবওয়েলের মধ্যে প্রবেশ না করতে পারে।

দুর্যোগ-পরবর্তী করণীয়

# রাস্তাঘাটের ওপর উপড়ে পড়া গাছপালা সরিয়ে ফেলুন, যাতে সহজে সাহায্যকারী দল আসতে পারে এবং দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব হয়।
# আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষকে বাড়ি ফিরতে সাহায্য করুন এবং নিজের ভিটায় বা গ্রামে অন্যদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিন।
# অতি দ্রুত উদ্ধার দল নিয়ে খাল, নদী, পুকুর ও সমুদ্রে ভাসা বা বনাঞ্চলে বা কাদার মধ্যে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করুন।
# ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণ যাতে শুধু এনজিও বা সরকারি সাহায্যের অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজে যেন অন্যকে সাহায্য করে, সে বিষয়ে সচেষ্ট হতে হবে।
# ত্রাণের মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সচেষ্ট হোন। ত্রাণের পরিবর্তে কাজ করুন। কাজের সুযোগ সৃষ্টি করুন। রিলিফ যেন মানুষকে কর্মবিমুখ না করে কাজে উত্সাহী করে, সেভাবে রিলিফ বিতরণ করতে হবে।
# দ্বীপের বা চরের নিকটবর্তী কাদার মধ্যে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের জন্য দলবদ্ধ হয়ে দড়ি ও নৌকার সাহায্যে লোক উদ্ধারকাজ শুরু করুন। কাদায় আটকে পড়া লোকের কাছে দড়ি বা বাঁশ পৌঁছে দিয়ে তাঁকে উদ্ধারকাজে সাহায্য করা যায়।
# ঝড় একটু কমলেই ঘর থেকে বের হবেন না। পরে আরও প্রবল বেগে অন্যদিক থেকে ঝড় আসার আশঙ্কা বেশি থাকে।
# পুকুরের বা নদীর পানি ফুটিয়ে পান করুন। বৃষ্টির পানি ধরে রাখুন।
# নারী, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ লোকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ত্রাণ বণ্টন (আলাদা লাইনে) করুন।
দ্রুত উত্পাদনশীল ধান ও শাক-সবজির জন্য জমি প্রস্তুত করুন, বীজ সংগ্রহ করুন এবং কৃষিকাজ শুরু করুন, যাতে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ফসল ঘরে আসে।

সচেতনতা, সতর্কতা এবং প্রার্থনায় আমাদের সকল বিপদ কেটে যাক।

কৃতজ্ঞতা:
https://www.cyclocane.com/amphan-storm-tracker/
ছবি- গুগল, আনন্দবাজার, অন্তর্জাল
তথ্য সূত্র: আনন্দবাজার, শীর্ষ নিউজ, প্রথম আলো, অন্তর্জালআপডেট:১৮-০৫-২০ দুপুর
খুলনা-চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী উপকূলে আঘাত হানতে পারে আম্ফান’
দিক পরিবর্তন করে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষরাত হতে (২০ মে) বুধবার বিকাল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪৩
৩৪টি মন্তব্য ৩৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×