ব্লগার বিদ্রোহী ভৃগু আর নেই
এমন শিরোনামে -
তুমি কি চমকে উঠবে?
মুচড়ে উঠবে বুকের অতলান্তে কোথাও?
নাকি আনমনে স্ক্রল করে যাবে
আর দশটা খবরের মতো।
হয়তো গোপনে মন খারাপের একটা দীর্ঘশ্বাস
প্রলম্বিত হবে ক্ষনিকের তরে, হারিয়ে যাবার আগে!
তারপর!
আটপৌড়ে জীবন: প্রাত্যাহিক স্বাভাবিকতায়!
জীবনের এই নির্মমতাটুকু আপন করে নিলে
কষ্টরা সব সাদা পেঁজাতুলো মেঘ হয়ে উড়ে যায় . .
তেমনি উঁড়িয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা অবিরাম
অথচ, আম্ফান, নার্গিস অকস্মাৎ তোলপাড় করে অলখে!
স্মৃতির প্রচন্ড নিম্নচাপে ঘৃর্ণিতুলে হৃদয় বন্দরে
দেখায় দশ নম্বর মহা বিপদ সংকেত
আশ্রয় কেন্দ্র খুঁজে পাইনা কোন - -
তোমার একটু কথা, একটু আধটু মলিন স্মৃতি ছাড়া;
অথচ তুমি নির্বিকার
প্রলয় নাচনে বয়ে যাও, তছনছ জনপদ
স্বপ্ন, জনম জন্মান্তরের সাজানো প্রাসাদ;
অত:পর, আবার নিরবে বাবুই হয়ে স্বপ্ন বুনি অন্তহীন।
সেই দিনের পথে হাঁটি অবিরাম
জানা অজানা সেই সুনিশ্চিত ক্ষন - -
হয়তো ক’টি স্যাড ইমোটিকন, ক’জনার
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন- এইতো! ব্যাস!
হয়তো খুব ভালবেসে কেউ লিখবে স্মৃতির দু’কথা
জীবনের এত উন্মাতাল দৌড়! হায় কোন সে ঘোরে তবে?
জ্ঞান, অর্জন আর কর্পোরেট যত কেতা-দুরস্থ কায়দা কানুন
সরল শুয়ে থাকা দু’গজি একথান সাদা কাপড়ে -করে উপহাস!
নিত্য ষ্ট্যাটাসের ভীরে ক্রমশ:
আড়ালে চলে যাবে-ব্লগার বিদ্রোহী ভৃগু আর নেই ।
জীবন এগিয়ে যাবে -আবারো মোহাচ্ছন্নতায়; আবারো
সাদা থানের উপহাসে আবৃত হবার আরেক উপাখ্যানের পথে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




