বছর পাঁচেক আগে তার প্রথম প্রেমিকা, প্রথম স্ত্রী পিয়ারী এসেছিলেন ঢাকায়। প্রায় ৬০ বছর বয়সী পিয়ারী এখনো দারুন সুন্দর, উজ্জল। দ্রুত বন্ধুত্ব হয় তার সঙ্গে। সুযোগ হয় এক সন্ধ্যায় একান্তে তার সঙ্গে কথোপকথনের। দুজনের হাতেই হুইস্কির গ্লাস। দুজনেই সিগারেট ধরাই। আমি জানতে চাই শহীদ কাদরীর সঙ্গে তার প্রেম-অপ্রেমের কথা। একটু থমকে যান।...তারপর শুরু করেন পিয়ারী অকপটে সব কথা বলা।...তারই বয়ানে বলছি।...
"১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি বিয়ে করি কাদরীকে। কবিতার কারণেই োর সঙ্গে আমার প্রেম ো বিয়ে হয়। যুদ্ধের পরে দুজন ভাগ্য অন্বেষণে পাড়ি জমাই জার্মানীতে। তখনো আমি জার্মানীর বাংলা বেতার বিভাগে যোগ দেই নি। বয়স ছিলো কম; আর দেখতেো েনহাৎ খারাপ ছিলাম না। আমার আগ্রহ ছিলো শোবিজে। কিন্তু কাদরী এ সব একদম পছন্দ করতো না।"
"...োর আপত্তি সত্বেো আমি মডেলিং এ নামি। এই মডেলিংটাই কাল হলো। দুজনের সম্পর্কে চির ধরায়। এক সময় আমার মনে হলো বিয়েটা একটা প্রধান বাধা। কাদরীকে না ছাড়লে আমি মডেলিং এ শাইন করতে পারবো না। আমি কাদরীকে বলি, ডিভের্সের কথা। ো সব মেনে নেয়। আমাদের ডিভোর্সের পর অনেক অভিমানে কাদরী পাড়ি দেয় স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়।"
"মডেলিং এর নেশা তখন আমাকে পেয়ে বসেছে। জগত বিখ্যাত সব ফটোগ্রাফাররা তখন আমার ছবি তুলছেন। বার্লিন এর নাম করা ফ্যাশন পত্রিকায ছাপা হচ্ছে আমার ছবি। বাঙালি মডেল কন্যাকে পেয়ে ইউরোপ দিশেহারা হয়ে পড়ে। বার্লিনের বাইরেো ছড়িয়ে পড়ে আমার খ্যাতি। একের পর এক শোবিজে অংশ নিতে থাকি।"....
কথায় বিরোতি দিয়ে পিয়ারী উঠে যান পাশের ঘরে। একটা খাম থেকে বের করেন তার প্রথম যৌবনের মডেলিং এর কিছু সাদাকালো ছবি। আমি চমকাই...এতো সুন্দর...এতো সুন্দর!...এ ফোর সাইজের প্রতিটা ছবির নীচে তারিখ দিয়ে ফটোগ্রাফারেরর নাম, ক্যামেরার নাম ো কোন কোন লেন্স, কত শাটার স্পিডে, কতো অ্যাপেরচারে তোলা হয়েছে-- ইত্যাদি সব বিস্তারিত লেখা আছে।...
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৭ রাত ১:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




