
হাসিমুখে ছোট্ট একটি অফিসে কাজ করে গোলাপী। অফিসে সময়ের পর চলে প্রেমালাপ। মাস গেলে বেতনের কিছু অংশ বাবার হাতে যায়। বাকিটা ব্যয় হয় প্রেমিকের জন্য। রাত্রিটুকু শুধু একা থাকা, তাও যেন শেষ হয় না। সকাল হলেই প্রেমিকের হাতে হাত রেখে চলে যায় অফিস গেট পর্যন্ত। আবার সেই গল্প, হাসিতে খুশিতে মাখামাখি। এভাবেই দেখতে দেখতে ৭টি বছর চলে গেছে অজানায়। সবার অসম্মতিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসল প্রেমিকের হাত ধরে। কোনো উৎসব নেই আনন্দ উল্লাস নেই। তবু গোলাপীর মিষ্টি হাসিই বুঝিয়ে দিল সে তৃপ্ত, সুখী। লাজুক আবেশে নববধূ যেভাবে থাকে, সেও তাই চেয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম কষাঘাতে যৌতুকের বলি হতে হলো গোলাপীকে। দীর্ঘ সাত বছরের প্রেম ভালোবাসা হাসি আনন্দে কাটানো সময় মাত্র সাতদিনে ধ্বংস হয়ে গেল। গোলাপীর সাত বছরের প্রেমের পরিণতি মাত সাতদিনের সংসার। আজ সে তালাকপ্রাপ্তা।
বেদনা শিক্ত হৃদয়ে অজানা অচেনা গোলাপীদের জানাই গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা। একটাই প্রার্থনা বাসি হয়ে যেন ঝরে না যায় তারা। প্রতিটি সূর্যোদয় তাদের জন্য যেন নতুন সৌরব আনে, তারা যেন নতুন গোলাপ হয়ে ফোটে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



