somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব তিন)

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ১১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পঞ্চম অধ্যায়
নিউককে একটি টর্চার সেলে কিছুদিন রাখা হল। সেখানে তাকে নিয়ম করে রোজ ধোলাই করা হত। তবে নিউক জানে তার থেকে কথা বের করার পরে তাকে মেরে ফেলা হবে, তাই দাতে দাঁত চেপে সব কিছু সহ্য করে যায়। কয়েকদিন পরে তাকে টর্চার সেল থেকে অন্য আরেকটি ঝরাজীর্ণ কক্ষে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানে আরেকটি ছোট চারকোনা-কৃতি সেলে স্থানান্তর করা হল। ধাতব দিয়ে তৈরি জরাজীর্ণ সেলটা, সেলটির উচ্চতা কম হওয়াতে অনেকটা গুটিসুটি মেরে বসে রইল সে। নিউকের সাথে এর পর কি ঘটতে যাচ্ছে সেটা বুঝতে পারছে না। সে একটি বিশেষ কারণে এই ক্রয়োনিক এক্সপেরিমেন্টে অংশ নিয়েছিল, সেটা কি সফল হবে? ভাবতে থাকে নিউক। তার মনটা বিষন্নতায় ভরে উঠেছে। ভবিষ্যতের পৃথিবী যে এতটা নিষ্ঠুর হবে তা আশা করেনি সে।

“কে তুমি?” পাশে থেকে কোমল গলায় বলে কেউ একজন।

হকচকিয়ে উঠে নিউক, বা দিকে মাথা ঘুরাতেই দেখে আরেকজন তরুণীকে পাশের সেলে বন্ধী করে রাখা হয়েছে। তরুণীটি দেখতে ছিমছাম গড়নের, চুলগুলো খাটো করে ছাটা, দেখতে কোমল চেহারা, তরুণীটিকে কেমন জানি চেনা চেনা লাগে নিউকের। স্মৃতি হাতড়াতে থাকে নিউক, হঠাৎ তার মনে পরে যায় এটা সেই তরুণী যে অসীম সাহসিকতার সাথে কয়েকজন রোবটের সাথে মারামারি করছিল কয়েকদিন আগে। তাকে বন্ধী করেছিল তার চোখের সামনেই।

“আমি নিউক। তুমি কে?” বেশ আগ্রহ নিয়ে বলল নিউক।

“আমি প্লেরা।” কোমল গলায় বলল তরুণীটি।

তরুণীটির স্নিগ্ধ হাসিতে কিছু একটা আছে, যা অন্যদের থেকে আলাদা। তরুণীর সাহসিকতার সাথে আগেই পরিচয় আছে নিউকের, সামনে থেকে দেখতেও অনেকটা গ্রীক দেবীদের মত লাগছে। এতদিন বন্ধী থাকলেও চেহারায় মলিনতা এতটুকু স্পর্শ করতে পারেনি তাকে।

“নিউক তোমাকে কি কেউ আগে বলেছে তুমি দেখতে কেমন জানি অন্যরকম?” বলে প্লেরা।

হঠাৎ প্লেরার কথায় ভাবনায় ছেদ পরে নিউকের।

“আমি ঠিক বুঝলাম না?” অনেকটা দ্বিধান্বিত গলায় বলে নিউক।

“না মানে, তুমি দেখতে অন্যদের থেকে একটু আলাদা। তোমাকে দেখতে ঠিক আট দশ জনের মত লাগে না। যাইহোক তোমাকে এখানে কেন নিয়ে এসেছে, তুমি কি অপরাধ করেছ নিউক?”

আমার অপরাধ “আমি একজন পুরুষ মানুষ।” একটি ছোট দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল নিউক। তার কণ্ঠে হতাশা ঝরে পরছে।

প্লেরা সামান্য ধাক্কা খেল যেন, নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। নিজেকে সামলে আবারো বলল “কি বললে তুমি?”

“আমার অপরাধ আমি একজন পুরুষ মানুষ।” আবারো বলল নিউক।

অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে প্লেরা।

“পুরুষ মানুষ! কিন্তু পুরুষ মানুষতো বিলুপ্তি ঘটেছে সেই দুই হাজার বছর আগেই! এটা হতে পারে না।” মিনমিনে স্বরে বলে প্লেরা।

“হুম, তুমি ঠিক বলেছ, বর্তমান পৃথিবীতে পুরুষ মানুষের বিলুপ্তি ঘটেছে দুই হাজার বছর হয়েছে, কিন্তু আমি এখনকার মানুষ নই, আমার জন্ম আজ থেকে চার হাজার বছর আগে।” বলেই প্লেরার প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য অপেক্ষা করল নিউক।

প্রচণ্ড রকমের বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে প্লেরা। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে। “এটা কিভাবে সম্ভব?”

জিব দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে বলল “হুম জানি তোমার বিশ্বাস হবে না! ক্রোয়োনিক এক্সপেরিমেন্ট সম্পর্কে নিশ্চয়ই জান? উত্তরের অপেক্ষা না করেই বলতে শুরু করল নিউক ক্রোয়োনিক অবস্থায় ঘুমন্ত ছিলাম বিগত চার হাজার বছর ধরে।” নিউক ক্রোয়োনিক এক্সপেরিমেন্ট কি এবং কিভাবে কাজ করে তা ব্যাখ্যা করতে থাকে প্লেরার কাছে।

প্লেরা মাঝে মাঝে হুম, হা এবং মাথা ঝাঁকিয়ে মনোযোগী শ্রোতার মত শুনতে থাকে সব।

“এবার বিশ্বাস হল?” কথা শেষ করে বলল নিউক।

প্লেরা কোণাকুণি এমনভাবে মাথা নাড়ালো যার অর্থ সে বুঝতে পেরেছে এবং পারেনি দুটোই হতে পারে। তাকে অনেকটাই দ্বিধান্বিত দেখায়। প্লেরার মস্তিষ্ক নিউকের কথাগুলো বিশ্বাস করতে সময় নেয় বেশ।

“আমি শুনেছি পুরুষ মানুষ বেশ ভয়ঙ্কর হয়!” অস্পষ্ট স্বরে প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে বলে প্লেরা।

নিউক ঠোটের কোনে হাসি ফুটিয়ে বলে “আমাকে কি তোমার কাছে দেখতে ভয়ঙ্কর মনে হয় প্লেরা?”

উত্তরের অপেক্ষা না করে বলে “আমি কিন্তু মোটেই ভয়ঙ্কর নই।”

প্লেরা চুপ করে থাকে কিছুক্ষণ। কি বলবে ঠিক বুঝতে পারে না।

দুজনেই নীরব থাকে। কিছুক্ষণ পর নিউক নীরবতা ভেঙে জিজ্ঞেস করে “এবার তোমার ঘটনা বল প্লেরা। তোমাকে এখানে এনেছে কেন?”

একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল প্লেরা, তার চেহারায় এক বেদনার চিত্র ফুটে উঠল। কিছুটা ভণিতা করেই প্লেরা বলল “আমাকে কেন নিয়ে এনেছে সেটা বলার আগে তোমাকে শুরু থেকে অনেক কথা বলতে হবে। নাটকীয়তা করে বলল প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে ব্যত্যয় ঘটলে যা হয় এখন আমাদের এই সমাজে তাই চলছে এখন।”

একটু থেমে তারপর আবার দম নিয়ে বলে “পৃথিবী থেকে পুরুষ মানুষ বিলুপ্তির পর প্রথম দিকে ভালই চলছিল এই জগত। যেহেতু পুরুষ জাতী নেই তাই মানব মানবীর একে অন্যের প্রতি যেই চিরন্তন আবেগ এবং ভালবাসা ছিল সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করেন আমাদের বিজ্ঞানীরা। মস্তিষ্কে টেস্টোটিরোন, ইস্টোজেন, ডোপামিন এবং নরেপিনেফ্রিন নামক হরমোনের প্রভাবেই মানুষ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ভালবাসা নামক তীব্র আবেগ অনুভব করে। এই হরমোনের প্রভাবেই নারীদের অবচেতন মন চায় একটি শক্ত হাত তার মাথার উপর থাকুক, একটি চওড়া বুক তাকে আগলে রাখুক গভীর মমতায়, কেউ একজন তার সাথে গল্প করুক, কেউ দেখুক অন্যরকম কোন দৃষ্টিতে। যেহেতু পুরুষ নেই প্রকৃতিতে তাই এক ধরণের শূন্যতা সৃষ্টি হয় যা একধরনের নেগেটিভ আবেগের সৃষ্টি করে। পুরুষেরা এই নেগেটিভ আবেগ প্রকাশ করে ভায়োলেন্সের মাধ্যমে আর নারীদের বেলায় প্রকাশ পায় ডিপ্রেশনের মাধ্যমে। তাই মস্তিষ্কে এক ধরনের ড্রাগ দিয়ে সেই হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেন আমাদের বিজ্ঞানীরা। উদ্দেশ্য হল আবেগকে একটি সীমার মধ্যে ফেলে দেয়া।”

মনোযোগী শ্রোতার মত বেশ উৎসাহ নিয়ে শুনতে থাকে নিউক।

যোগ করে বলে “প্রতিটা শিশুর বয়স সাত-আট বছর হবার পরই সেই ড্রাগ দেয়া হত, এটা ছিল বাধ্যতামূলক। কারো আপত্তি ছিল না অবশ্য এতে। তবে সব কিছুরই যেমন ধনাত্মক দিক আছে তেমনই ঋণাত্মক দিকও আছে, এই হরমোন যেহেতু মানুষের আনন্দ উচ্ছ্বাস এবং মনকে চাঙ্গার জন্যও দায়ী, তাই এই হরমোন দুটোকে নিয়ন্ত্রণের ফলে নারীরা কিছুটা হতাশাতেও ভুগতে থাকে। তারপরও এই অপূর্ণতাটুকু নিয়েও নারী প্রধান এই সভ্যতা ভালই চলছিল। তবে জানো প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে পুরুষ বিলুপ্তি হয়নি বরঞ্চ তাদের কৃত্রিম ভাবে বিলুপ্তি দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছিল। তাই প্রকৃতি এটা সহ্য করতে পারেনি।”

“আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না!” চোখেমুখে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন ফুটিয়ে তোলে বলে নিউক।

একটু থেমে আবার বলতে শুরু করে প্লেরা “দেখবে ব্ল্যাক-হোল যেমন আছে ঠিক তেমনি তার বিপরীতে হোয়াইট-হোলও আছে, দিনের উল্টো পিঠে রাত, চৌম্বকের একপ্রান্ত যেমন আকর্ষণ করে অন্য প্রান্ত তেমনি বিকর্ষণও করে। অর্থাৎ প্রকৃতি তার ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটির বিপরীতে আরেকটি সৃষ্টি করেছে। ঠিক তেমনি নারীর বিপরীতে পুরুষ, সেই পুরুষের বিলুপ্ততে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে আর প্রকৃতি সেটা মেনে নিবে কেন?”

উত্তরের অপেক্ষা না করেই বলে প্লেরা “বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মানুষের আবেগে নিয়ন্ত্রণের জন্য যেই ড্রাগ ব্যাবহার করা হত সেটা একসময় ঠিকমত কাজ করা বন্ধ করে দিল। বর্তমানে শতকরা সতের শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রেই কাজ করে না এই ড্রাগ। এই সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই যেই শিশুদের ক্ষেত্রে কাজ করে না তাদের ধরে নিয়ে যায় বিজ্ঞান পরিষদ, তাদের বিশেষ একটি “সিক্রেট প্রজেক্ট” এ ব্যাবহার করা হয়। যেই শিশুগুলোকে এই “সিক্রেট প্রজেক্ট” এ ব্যাবহার করা হয় তারা অনেকেই মানুষিক প্রতিবন্ধী হয় নয়ত বাসায় ফেরার কিছুদিন পর মারা যায়। অনেক শিশুকে ফিরতও দেয় না!”

“হুম, বুঝতে পারছি শিশুগুলোকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে কোন একটি উদ্দেশ্য নিয়ে, মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ মানুষজন সবাই এগিয়ে আসছে না কেন?” কপালে ভাজ একে জিজ্ঞেস করে নিউক।

“বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধবে কে?” বলে প্লেরা।

একটু থেমে গলায় ঝাঁঝ মিশিয়ে বলে “আমাদের এই গ্রহে সুন্দর একটি গণতন্ত্র ব্যবস্থা ছিল, বিজ্ঞান পরিষদের মাধ্যমে নিতি নির্ধারণ হত, বর্তমান শাসক উথার সীমিত গণতন্ত্রের নামে গত ত্রিশ বছর ধরে এক নায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। জেনারেল গ্রটিয়াকে বিজ্ঞান পরিষদের প্রধান করে সব কিছু আরো নিয়ন্ত্রণ করছে। নিষ্ঠুর এই শাসক উথারের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারো নেই।”

“মিডিয়া এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো কি করছে?” নিউর চোখ নিউকের।

“যে কোন স্বৈরশাসকই মিডিয়াকে ভয় পায়। আমাদের এই পৃথিবীতে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে বিজ্ঞান পরিষদ সেন্ট্রাল কম্পিউটার সিটিসি মাধ্যমে। সমস্ত তথ্য ফিল্টার করে প্রচার করে সিটিসি। এমনকি সিক্রেট প্রজেক্টের সমস্ত তথ্যও সিটিসির কাছে জমা আছে। আর মানবাধিকার সংস্থাগুলো খুবই দুর্বল, তাছাড়া কার সাধ্য শাসক উথারের বিরুদ্ধে বলার!” বলে প্লেরা।

একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে প্লেরা। ফের বলে “যদি সমস্ত সিক্রেট প্রজেক্টের তথ্য প্রমাগুলো মিডিয়াতে প্রচার করা যায় তাহলে হয়ত জনমত গড়ে তোলা যেত, মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাড়াতে পারত।”

“তাহলে তথ্যগুলো প্রচার করছ না কেন?” জিজ্ঞেস করে নিউক।

“এই ব্যাপারটাকে তুমি যতটা সহজ ভাবছ ততটা সহজ নয় নিউক। সেন্ট্রাল কম্পিউটার সিটিসি কাছ থেকে সিক্রেট প্রজেক্টের তথ্য বের করা এত সহজ নয়, তাছাড়া কোন রকম তথ্য প্রচারের জন্যও সিটিসিকে নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে।”

থেমে যোগ করা বলে “আমি তাদের “সিক্রেট প্রজেক্টের” তথ্য বের করার জন্য সেন্ট্রাল কম্পিউটার সিটিসিকে হ্যাক করতে চেষ্টা করেছিলাম। তবে আমি ভুলে গিয়েছিলাম সিটিসি অত্যন্ত বুদ্ধিমান একটি কম্পিউটার, লেথরিন স্কেলে যার বুদ্ধিমত্তা মানুষের থেকে হাজারগুণ বেশী, ওর ক্ষমতাকে কেবল ঈশ্বরের সাথেই তুলনা করা চলে। সিটিসিকে মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হিসেবে গণ্য করা হয়। আমার লোকেশন পেয়ে যায় সিটিসি এবং ধরে আনে এখানে বিদ্রোহী হিসেবে।” প্লেরার কণ্ঠে হতাশা ঝরে পরে।

নিউক যে প্লেরাকে কয়েকদিন আগে দেখেছিল সেই প্রসঙ্গটা চেপে যায় আপাতত। প্লেরা তোমাকে একটি কথা জিজ্ঞেস করব, “তুমিই বা কেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ধরণের একটি পথ বেছে নিলে? মানে বিদ্রোহী হলে কেন, তুমিও-তো আট দশজনের-মত চোখ বুঝে সবকিছু মেনে নিতে পারতে!”

“এমনিতেই, কাউকে না কাউকে-তো এগিয়ে আসতে-তো হবেই, তাইনা?” বলে প্লেরা।

নিউক আর কিছু জিজ্ঞেস করে না।

প্লেরা চেহারাটা ঘুড়িয়ে এই ছোট্ট সেলটার বাহিরে দৃষ্টি রাখে। তার চোখটা ঝাপসা হয়ে আসে, অতীতের স্মৃতি হাতরে চলে যায় এগার বছর আগে, দম বন্ধ হয়ে আসে তার, ভিতর থেকে দলা পাকিয়ে আসে সেই ঘটনার কথা মনে পরলেই। নিউক জানেনা কত বড় একটা কথা প্লেরা গোপন করেছে।

নিউক প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে জিজ্ঞেস করে “আমাদের সাথে ওরা কি করবে?”

নিউকের আকর্ষিক প্রশ্নে ভাবনায় ছেদ পরে প্লেরার। “সমাজে একটি বিরূপ প্রভাবের কথা চিন্তা করে আমাদের ওরা মেরে ফেলবে হয়ত। আমরা ওদের জন্য হুমকি সরূপ, পৃথিবী একটি নতুন পরিবর্তন এর ভিতর দিয়ে যাচ্ছে, সবাই পরিবর্তনকে ভয় পায়।”

প্লেরার কথা শুনে ফুটো বেলুনের মত বুকের ভিতরটা চুপসে যায় নিউকের।


ষষ্ঠ অধ্যায়
নিউক এবং প্লেরার সেলের বাইরে একটি রোবট হাতে ভয়ানক অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিয়ে চলছে। রোবটটি একবার সেলগুলোর ডান থেকে বামে, আরেকবার বাম থেকে ডানের দিকে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরপর কৃত্রিম সোডিয়ামের চোখ দিয়ে প্লেরা এবং নিউকের দিকে তাকিয়ে গতিবিধি লক্ষ করার চেষ্টা করছে। তারা কথা বললেই রোবটি তার সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক কর্ণ দিয়ে শ্রবণ করার চেষ্টা করে।

“এখান থেকে পালাতে পারলে জেনারেল গ্রাটিয়ার মুরোদ আমি দেখে নেব, ইবলিশ কোথাকার, ওর শরীরের প্রতিটি পরমাণু আমি চূর্ণবিচূর্ণ করে ছাড়ব।” ফিসফিসিয়ে বলে প্লেরা, তার মুখের মাংসপেশি শক্ত হয়ে আসে, হাতের আঙ্গুল দিয়ে খামচে ধরে ছোট এই বন্দীশিবিরের শিকগুলো।

“কিন্তু আমরা এখান থেকে কিভাবে বেরুবো? এই রোবটটি যে সারাক্ষণ আমাদের দিকে চোখ রাখছে?” ভ্রু কুচকে প্লেরার দিকে তাকিয়ে বলে নিউক।

“হুম, সেটাই সমস্যা! এই রোবটটিকে ফাকি দিয়ে এই দম বন্ধকরা খাঁচা থেকে বের হতে পারলে এখান থেকে পালাতে পারতাম।” ঘাড় বাকিয়ে নিউকের দিকে তাকিয়ে বলে প্লেরা।

“সেটা কিভাবে সম্ভব? অত্যন্ত বুদ্ধিমান একটি রোবটকে বোকা বানিয়ে রাখাতো সহজ কর্ম নয়।” হতাশ গলায় বলে নিউক।

কৃত্রিম হাসিতে ভরে যায় প্লেরার ঠোট।

“বুদ্ধিমান না ছাই। এটা তৃতীয় প্রজন্মের একটি বলদ রোবট। এদের বানানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, যেমন বিদ্রোহী দমন করা, উগ্রপন্থী সামাল দেয়া, কোন ঝুঁকিপূর্ণ উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা ইত্যাদি। অবশ্য সাধারণ লজিকাল কথাবার্তাও চালিয়ে যাবার-মত ক্ষমতা আছে এদের।”

নিচের ঠোটটি সামনের দিকে ঠেলে হুম বলে নিউক।

রোবটটিকে কি করে কাবু করা যায় ভাবতে থাকে নিউক। কি কথা বলে ব্যস্ত রাখা যায় চিন্তা করতে থাকে সে। যেহেতু এটা একটি সাধারণ মানের রোবট, ওর কিছুনা কিছু সীমাবদ্ধতা নিশ্চয়ই রয়েছে, সেটা কাজে লাগাতে পারলেই কেল্লা ফতে ভাবে মনে মনে।

একটু থেমে নিউক বলে “আচ্ছা আমি যদি এই সেল থেকে বের হবার ব্যবস্থা করতে পারি তারপর কি হবে?”

অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকায় প্লেরা। “এটাকে যতটা সহজ ভাবছ ততটা সহজ নয়, রোবটটিকে ফাকি দেয়া ততটা সহজ নয়, এরা নিজের সেলফ ডিফেন্সের জন্য সোজা রশ্মি ছুড়ে গলিয়ে দিবে আমাদের।”

“সেটা নিয়ে তুমি চিন্তা করো না, বেটাকে আমি দেখছি। প্লান কি বল?” জিজ্ঞেস করে নিউক।

“পেশী শক্তি দিয়ে এই খাঁচা থেকে বের হওয়া কঠিন, তবে রোবটটির কৃত্রিম সোডিয়ামের হলদে চোখে সেন্সর লাগানো আছে, সেটা দিয়ে সহজেই এটা খোলা সম্ভব। আপাতত সেল থেকে এখান থেকে বের হতে পারলে এই ভবন থেকেও বের হতে পারব। বিজ্ঞান পরিষদের এই ভবনের ম্যাপটা মোটামুটি আমার আয়ত্তে আছে। বিজ্ঞান পরিষদের এই বৃত্তাকার ভবনটি কয়েকটি ব্লকে ভাগ করা, তার মানে আমরা এখন যেই ব্লকে আছি সেখান থেকে বের হতে পারলে বাকি ব্লকে খবর যেতে সময় লাগবে খানিকটা। সে সুযোগেই চম্পট দিতে হবে আমাদের।”

নিউক কিছুক্ষণ চিন্তা করতে থাকে কিভাবে রোবটটিকে বোকা বানানো যায়। মূহুর্তেই তার মাথায় একটি বুদ্ধি খেলে যায়। নিউক ছোট সেলের চারদিকে তাকিয়ে কিছু একটি খুঁজার চেষ্টা করছে। তার পিছনের দিকে একটি বৈদ্যুতিক তার দেখতে পায়। সে রোবটটির দিকে আড় চোখে তাকিয়ে পিছনে উল্টোদিকে হাত বাড়িয়ে বৈদ্যুতিক তারটি নিয়ে নেয়। বৈদ্যুতিক তারটি রাবারের একটি প্রলেপ দেয়া, নিউক রাবারের প্রলেপটি দাঁত দিয়ে কামড়ে ছিঁড়ার চেষ্টা করছে। নিউক সেলের উল্টো দিকে ফিরে এমনভাবে রাবারের প্রলেপটি দাঁত দিয়ে ছিঁড়ছিল যাতে রোবটটি সন্দেহ না করে।

“কি করছে?” অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে প্লেরা।

“দেখে যাও, পরে বলছি।” বলেই নিউক নিজের কাজে মনোযোগ দেয়। তামার তারটি লম্বার পনের মিটারের মত হবে, নিউক দাঁত দিয়ে কামড়ে তারের মাঝের চার মিটারের মত অংশের রাবার ছাড়িয়ে নেয় কেবল। সে ফের মাথাটা পিছনে ঘুরিয়ে সেলের ফাঁক দিয়ে রোবটটিকে আড় চোখে দেখে নেয়। তারপর দূত সেলের সামনের শিকগুলোতে তারের রাবার ছাড়ানো অংশটুকু প্যাঁচাতে থাকে।

রোবটটি তখনও সেলের সামনে ডানদিক থেকে বাম দিকে একবার আরেকবার বাম দিক থেকে ডানে পায়চারি করছিল। নিউকের দিকে তাকিয়ে কিছুটা চুপ থেকে কি ভেবে যেন পুনরায় পায়চারি করতে থাকে। তৃতীয় প্রজন্মের রোবট, তার ভিতরের কম্পিউটার মানুষের মত জটিল চিন্তা করতে পারে না।

নিউক রোবটের দিকে চোখাচোখি হলে একটি কৃত্রিম হাসি দিয়ে পুনরায় আসতে আসতে তারটি সেলের লোহার শিকগুলোর সাথে কুন্ডুলির মত প্যাঁচাতে থাকে। রাবার ছাড়ানো তারের অংশটুকু প্যাঁচানো হয়ে গেলে তারের একটি প্রান্ত প্লেরাকে এগিয়ে দেয় আরেকটি প্রান্ত নিজের কাছে রাখে।

প্লেরার জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে নিউকের দিকে। সে ঠিক বুঝতে পারছে না নিউক কি করতে যাচ্ছে।

তাদের সেলের পিছনে বড় একটি গোল ইলেকট্রনিক মেশিন ছিল, মেশিনটার এক প্রান্ত নিউকের সেলের দিকে আরেক প্রান্ত প্লেরার সেলের দিকে। নিউক প্লেরার দিকে তাকায় তারপর মেশিনের উন্মুক্ত প্রান্তের দিকে ইশারা করে তারের মাথাটি প্রবেশ করাতে বলে।

“আমি ঠিক বুঝতে পারছি না! তুমি করতে যাচ্ছ?” বলে প্লেরা।

“তোমাকে যা বলছি তাই কর।” বলে নিউক।

প্লেরা আর কোন কথা না বাড়িয়ে হাতে ধরে থাকা তারের প্রান্তটি সেই মেশিনের এক প্রান্তে ঢুকিয়ে দেয়। নিউকও তার হাতে ধরে থাকে তারের অপর প্রান্তটি পিছনের মেশিনে ঢুকিয়ে দেয়। নিউক তামার তার দিয়ে কুন্ডূলির মত পেঁচিয়েছিল সেলের সামনের শিকে, সার্কিটটি পূর্ণ হবার ফলে সেখান দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে থাকে। মূহুর্তেই গরম হয়ে যায় সেলের কুন্ডূলির পাকানো অংশটুকু, কিছুক্ষণের মধ্যেই লাল বর্ণ ধারণ করে। নিউক এবং প্লেরা সরে গিয়ে সেলের মাঝ খানে দাঁড়ায়।

রোবটটি ভ্রু কুচকে সেলের সামনে আসে, সেলের কুন্ডুলি পাকানো অংশটুকু প্রবলভাবে টেনে ধরে রোবটটিকে। কোন কিছু বুঝার আগেই অন্য রকম একটি ধ্বনি করে রোবটটির ধাতব মাথাটি সেলের কুন্ডুলি পাকানো অংশের সাথে আটকে যায়। কিছুক্ষণের মাঝেই শর্ট সার্কিটের চরচর শব্দ করে উঠে রোবটটি চকচকে ধাতব মাথাটি, আসতে আসতে রোবটের মাথায় আগুন লেগে যায়, প্রচণ্ড ভয়ে চিৎকার দেবার আগেই তার ভিতরের কম্পিউটার অকেজো হয়ে মেঝেতে পরে যায়।

প্লেরা তখনও বুঝতে পারছে না কি হল সে প্রচণ্ড বিস্ময়ে রোবটের দিকে একবার আরেকবার নিউকের দিকে তাকিয়ে থাকে। প্লেরা হতভম্ব হয়ে বলে “এটা কিভাবে করলে?”

“এখন কথা বলার সময় নেই প্লেরা। রোবটটির ব্রেনে শর্টসার্কিটের আগুন লেগে গেছে, ইলেকট্রনিক চোখটি ক্ষতি হবার আগেই ওটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।”

ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় নেয় প্লেরা, তারপর লম্বা হাত দিয়ে রোবটটির গলায় ধরে হেঁচকা টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে। রোবটের ইলেকট্রনিক ব্রেনে আগুন লাগায় ধাতব গলাটিও বেশ গরম হয়ে গিয়েছে। প্লেরার হাতে খানিকটা ঝলসে যায়। নিজেকে সামলে কোনমতে রোবটটির মাথা ঘুরিয়ে কৃত্রিম সোডিয়ামের হলদে চোখ দুটো লকের দিকে তাক করায়, আর ওমনি লকটি খুলে যায়। নিউক আর প্লেরা বের হয়ে যায় ছোট এই বন্ধী সেল থেকে।

কুঁজো হয়ে হাঁটুতে ভর দিয়ে হাফাতে থাকে তারা দুজন।

“ব্যাপারটা কি ভাবে করলে?” পুনরায় জিজ্ঞেস করে প্লেরা।

নিউক প্লেরার দিকে মাথাটা ঘুরিয়ে বলে “পুরো ব্যাপারটাতেই ফিজিক্সের একটি সূত্র ব্যাবহার করেছি। আমি একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করেছি, পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র অনুসারে কোন মেটালের ভিতর দিয়ে যদি ডাইরেক্ট কারেন্ট বা ডিসি বিদ্যুৎ প্রবাহ করানো যায় তাহলে সেখানে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়। রোবটটি যেহেতু ধাতব দিয়ে তৈরি তাই শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করতে পারলে সেটা দিয়ে সহজেই রোবটটিকে আটকে ফেলা যাবে।”

একটু ঢোক গিলে নিউক ফের বলে “আমাদের সেলের শিকগুলো মেটালের তাই এর ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করার জন্য আমি একটি তার পেয়ে যাই, তারটিকে সেলের মেটালের সাথে এমনভাবে পেচাই যাতে সেখান দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। বুঝলে?”

“হুম। তুমি কিভাবে শিওর হলে আমাদের পিছনের মেশিনটি একটি ডিসি ব্যাটারি?”

“হুম, কয়েক দিন আগে আমাদের এই সেলে কয়েক জন রোবটকে এই মেশিনটি পুরোটা খুলে পরীক্ষা করতে দেখেছি। আমি পদার্থ বিজ্ঞানের লোক, সার্কিটটি দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম এটা ডিসি ব্যাটারি হবে।” বলে নিউক।

চুপ থেকে জিজ্ঞেস করে নিউক। “এখন কি করবে?”

“আমি তোমাকে আগেই বলেছি এই ভবনটির ম্যাপের ব্যাপারে কিছুটা আমার ধারণা আছে। আমি জানি এখন কোথা দিয়ে বের হতে হবে।” বলে প্লেরা।

“এই ম্যাপ তুমি কিভাবে জান? তুমি আগে কি এসেছিলে?” জিজ্ঞেস করে নিউক।

“আহা, তোমার এগুলো এখন না জানলেও চলবে নিউক। আমাদের বের হতে আগে এখানে থেকে।”

তারপর তারা দুজন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে এই কক্ষের দরজার দিকে।

প্লেরা বলে “আমাদের হাতে সময় নেই, হাতে বড়োজোর দশ মিনিটের মত আছে, সেন্ট্রালে খবর চলে যাবে। আমরা এখন ভূমি থেকে দুইশত দশ তলা নিচে আছি, এখান থেকে দ্রুত বের হতে হবে।”

দরজার কাছে একটি মোটা ডাণ্ডা দেখতে পায় প্লেরা। ডান হাত দিয়ে তুলে নেয় ডাণ্ডাটি, তারপর নিউকের দিকে তাকিয়ে শিস ইশারা করে দরজার আড়ালে যেতে বলে।

দুটো রোবট দরজা খুলে কল্লা বের করে চারদিকে দেখার চেষ্টা করে। প্লেরা দূত হাতের এলুমিনিয়ামের ডাণ্ডা দিয়ে দুটো রোবটকে লক্ষ্য করে আঘাত করে। আঘাতটি একটি রোবটের ধাতব মাথায় লেগে টন করে শব্দ হয়, পরে যায় রোবটটি। দ্বিতীয় রোবটটি নিজেকে বাঁচিয়ে অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুতি নেয় রশ্মি ছুঁড়ার জন্য আর ওমনি প্লেরা ডাণ্ডা দিয়ে বাড়ি মারে। বারিটি গিয়ে লাগে রোবটটির চোয়ালে, পিছনের দিকে কাত হয়ে যায় রোবটটি, দ্বিতীয় বারে আরেকটি আঘাত করতেই দুপ করে মেঝেতে পরে যায় দ্বিতীয় রোবটটি।

প্লেরা কুঁজো হয়ে বসে রোবট দুটোর এলুমিনিয়ামের হেলমেট খুলে ফেলে, তারপর একটি হেলমেট নিউককে এগিয়ে দিয়ে বলে “পরে ফেল, আমাদের এখান থেকে হেলমেট পরে বেরুতে হবে, যেন সবাই আমাদের রোবট ভাবে।”

তারা দুজনেই এলুমিনিয়ামের হেলমেট পরে সতর্কতার সাথে বেরিয়ে পরে এই কক্ষ থেকে।

“আমরা এখন যেই ব্লকে আছি এখানে বেশ কয়েকটি লিফট আছে, আমাদের সবচেয়ে কাছাকাছি লিফটি আছে সামনের রুমে।” ফিসফিসিয়ে বলে প্লেরা।

প্লেরা এবং নিউক পরের রুমে গিয়ে লিফটটিতে উঠে পরে। ততক্ষণে সারা বিল্ডিং এ পি পি শব্দ করে ইমারজেন্সি সাইরেন বাজতে থাকে। নিউক এবং প্লেরা ভবনটি থেকে বেরিয়ে অন্যান্য রোবটদের সাথে মিশে যায়। মাথায় রোবোটিক হেলমেট দেখে কারো কোন সন্দেহ হয় না। তারপর আস্তে আস্তে ভবনটির এর পিছন দিকের দেয়াল টপকে বেরিয়ে পরে তারা। পিছনে তাকিয়ে দেখে অনেকগুলো রোবট এবং কয়েকটি স্কাইজায়ান ভবনটিকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে।

আগের পর্ব:
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব এক )
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব দুই)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫৬
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×