চিৎকার করে কাঁদছে। গোরস্থানের চুপচাপ কাঠের হাতলওয়ালা বেঞ্চের
উপর ঝরে পড়া পাতাটা শুধুই শুনছে সে কান্না; অথচ প্রতিদিন কতশত
হৃদয় ফাটার শব্দে কোন পাতা খসে পড়েনা কখনও।
মাটির ভেতরে যে বুদবুদ যা শোকের গ্লানিকেও ছড়িয়ে একেকটা সময়
বিষুব রেখাও ছুঁয়ে যায়; সময় আর অসময় গলাগলিতে হরিণ রাতের
মধ্যাণ্হভোজেও কাল্পনিক সে ফড়িং ডাকে, আবডালে-মগডালে যত
শালিকের বাসা, পাবলো নেরুদাকে উল্টে রেখে সেই গোরখোদকের
কান্নার সুর আমি মধ্যরাতেও পাই, যখন টগবগ করে ফুটতে থাকে
হলুদ চাঁদ ঐ ঝুলবারান্দায়।
রাতে কখনও কখনও সুখপাখি ডাকে, চাঁদের হিমের সাথে রঙধনু মিশে
একাকার - কবর ঠেলে এদিকে ছুটে আসে একজোড়া তক্ষক, রবাহুত
শেয়াল মৃত মানুষ খোঁজে ক্রশের ফোকরে, আর পাহারাদারের নাকডাকাকে
হুইসেল ভেবে থমকে দাঁড়ায় জ্বীনের কাফেলা।
মানুষ এখানে মানুষ নয়; আত্মারা স্যুট পরে ঘুরে বেড়ায় আর রাতপরিরা
বিক্রি হয় অবাধ নিলামে। বাদামী সাজারু কাঠবেড়ালের সাথে খুব মিশে
থাকে, পুরানো পাতার উপর দিয়ে সরসর করে যায় শীতল দাঁড়াশ।
পৃথিবীর ওপারে কোন আধাঁর নেই। ফোঁড়া ফাটার ভয়ে আঁতকে উঠার
কারন নেই, এককথায় সে বিরামহীন থমকানো সময়। রাতের কথা, রাতের
সূচে নকশীকাঁথা হয়ে মাটির গভীরে শুধু ঢাকা দেওয়া কফিনে নখের
আঁচড় ফেলে অপেক্ষায় থাকা, বোকা মানুষেরা মরে যায় সময়ের আগে ও
পরে আক্ষেপের স্বাদ বসে ঝিমায় অপরান্হে একা গোরস্থানের বেঞ্চে বসে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




