নিরালায় তোমার বিবিধ মুখ, আমি এঁকেছি জলছবির
নাড়াউঠা মাঠে ঘাসঘাস মৌফুলের বিস্তৃর্ণ জুথিকায়
সুখ পাই, চোখ বন্ধ করে সে উষ্ণতা নিই, নারকেল তেলের সাথে
শরীর তোমার কখনও দম বন্ধ করে দেয় আমার,
এসব সুরভী যেন অন্য পৃথিবীর সুঘ্রান।
যখন কাছে ছিলাম, একাঁধে কিছুটা তোমার মত রুপসীর মুখ ঘেষে
চিবুকের নরম পিরামিড থিতিয়ে হয়ত পরবর্তি নোনাজলের অপেক্ষায়
খুব ঘন হওয়া একটি ছায়াময়তা নিবিড় কোলাহলে চোখ বুজে নিত শ্বাস
সব পেয়েছির উচ্ছ্বাসে তখন দূর্বাঘাসের বাড়ান্ত শির চকচক করত
বেয়ানটের মত।
মাঝারি মাপের এক গোলাপের অংশগ্রহণে, কবিতার নোলোক আর
সুরেলা আড়বাশিঁর পদ্যপাতা মোটাদাগের সন্ধ্যাকালীন সংকেত
দিত শুধু যেন আমরা একটু সরে গোধুলীর অস্তগামী সূর্যকে আরও
একটু ফুরসত দেই;
সহজ এ বাঘবন্ধি খেলায় বুদবুদ আর মোহের পঙ্কিল ছোপ কখন যে
দোআঁশলা প্রেমিকের মত
এভাবেই ডুবে যাওয়া আলোয় তোমাকেও সাথে নেবে ভাবিনি কখনও।
সেই যবে থেকে রাতের পরে তারার পরে ঊষার কাকলী
শীতল মায়ায় কোকিল চোখে ব্যাথার আকুলী, ভালোবাসাহীনতায়!
এখনও বিস্তৃর্ণ কোনো মাঠের পরে আমার অবাধ্য চোখের
গৃহকোণ জলদ গাম্ভীর্যে সেই অপুষ্ট কলাবতীরে মনে করে
আমি চাইনি যার বৈষায়িক মুখ আমার ভাবনায় আসুক
তবুও হায় ভালোবাসা অশিষ্ট এ হৃদয়ে তেলজলে, স্হির ছবিটির মত
সায়ান্হে প্রাণ পায়, মধুরতম বিষাদে নিমজ্জিত থাকে, যেন
এই নিয়তি প্রাপ্তির দূরতম আকাশ।।
ফুটনোট: প্রিয় ব্লগার এরিসের 'উইথ সামওয়ান, সামহোয়ার' ছবিটি অবলম্বনে, মূল ছবিটি ব্যবহার করলাম। কৃতজ্ঞতা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



