শিল্পবিপ্লবের একাদশীতে বুখারেষ্টে কোন এক অস্পৃশ্য শিল্পী বিপ্লবের তৈলচিত্র একেছিল- পাচটি;
সিরিজছবির সে পরিপূর্ণ ধারাবাহিকতায় জ্বলে উঠেছিল আইভরিকোষ্টের উদ্যান।
বরফবাষ্পে অত:পর থিতু হয়ে গেল মানুষের আকাংখার পারদ-
ন্যুয়র্কের আকাশছোয়া উদ্ভিন্ন অট্টলিকায় পূর্নিমা ঢেকে গেল পুরোটা-
গণমানুষের বিপ্লব দখল করে নিলো বাজারঅর্থনীতির তৈজস।
ক্রমন্বয়ে দাম বাড়তে লাগলো মাতিসের ক্যালিগ্রাফির,
নিলামগৃহে সৃজনশীল মানুষের পরিবর্তে হাকদাম করতে লাগলো পেন্টলুন পরিহিত দালাল-
মিলিয়ন আর বিলিয়ন বিষয়ক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হতে হতে,
মানুষ ভুলে গেল গণবিপ্লবের স্বপ্ন।
এখন দামেস্কে আগুন, বুদাপেষ্ট হিসেব কষসে স্নানাগারের দর্শনার্থীর-
আইরশায়ারের অসমতলে অজস্র ক্যারাভূ-
বিশুদ্ধ পানীয়জলের সন্ধানে ইয়ামেনের কংকালশিশু;
লালচুলের দূর্বিনীত কংশ খুড়ে চলেছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পাতালসুড়ঙ্গ-
তবুও একাদশী উপবাসে শিবরাত্রি ব্রত করে রামের সন্তান,
হাসপাতালে অচিকিৎসায় মৃত মানুষের স্তুপাকার আমলনামায় ঠেস দিয়ে পাহারা দেয় দু’জন ফেরেশতা –
হাবল টেলিস্কোপে চোখ রেখে নিহারিকা দেখে পুজিবাদের একচোখ;
যাপনের দৌরত্বে তৈরী হয়েছে যে ভোগের কারাগার-
সেখানে মুখস্ত কিছু বুলি শিখিয়ে সভ্য হচ্ছে আগামীর সন্তানেরা,
যারা বৈভবের বিপরীতে খুজবে না অভাবের জ্বালা;
শিল্পবিপ্লবে তৈরীকৃত সেই পাচটি তৈলচিত্রের মধ্যেই তাদের যাপিত মনস্কাম।
রংধনূর বাইরে সিদরাতুল মুনতাহার যে নিযুত অভাবনীয় রঙচ্ছটা-
তার কোনটা দেখা হবে না এই আচ্ছদিত মানবকূলের আর;
সম্ভোগের পিরামিডে চাপা পড়ে গেল একাদশী বিষ্ময়!
(কামরুল বসির)