নামছে তরল ক্যাপাচিনোর কাপে-
ইনস্ট্রাগ্রামে পুডছে আগুনরঙা ভালোবাসা, আশ্বাসে
কাপছে গরল, দগ্ধ করে হৃদয়-
দু’টো সুইটনারে ডুবে আছে যৌবনের শ্বেদ।
সারিবদ্ধ আলোর সাথে লাল ক্যামেরাচোখটি অসহায়
বিপদে আছে তোবডানো ক্যাপের হোমলেস, যে শুধু
হাসির বিনিময়ে মুদ্রা খরিদ করে;
আপেক্ষিক শীতলতায় ভোরসকালে শিশিরবিন্যাস
অথচ, গ্রীষ্ম ছিল এখানে গতকালও।
মানুষের পরিবর্তনে ক্যাপাচিনোর কাপ রুপান্তরিত হয় মোকায়-
ইনস্ট্রাগ্রামে জমা হয় পাহাড়চুড়া আর অরোরার রঙমন্ডল;
ধার করা ডেইলি সান’এ মগ্ন বিচিত্র বাসনা, আর
সভ্যতার উপর বেড়ে উঠা পরজীবি ইউক্যালিপটাস।
প্রশ্ন করো আমাকে, কেন পরাস্ত ইউনিফর্ম পরে কফি খাচ্ছি,
কেন এমব্রয়ডারির সুতোয় উপনিবেশিক অস্তপূরাণ-
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এগ-মাফিনের বিপরীতে কেন পরোটা আর ডিমভাজি নয়!
চোখে কেন কামড়ে আছে দাসখতের কাতুমাচু!
আমার উত্তর একটাই, তোমার স্বাধিকার বলো কতটা
বিস্মিত করেছে তোমায়, কোন স্বস্তিতে ডুবে আছো তুমি- আর তোমার পারিপার্শ্বিক!
ফেসবুকের যাবতীয় উল্লাসের বাইরে তোমার জীবনের প্রাপ্তি কোন নোটবুকে টুকে রাখা!
স্বরাজ বাষ্পে কেন প্রত্যাগত ভীতি; অনুজ দূর্বাসার প্রতিটি জালনোটে কেন অগস্ত্য সমকাম!
পাশাপাশি দু’রকম সময়ঘডি; অথচ নক্ষত্রের কোন সময় নেই। পাশাপাশি দু’রকম জৌলুস;
অথচ স্টারফিশ জানেনা তার মথিত সুন্দরতা কতটা ভয়ঙ্কর-
চিনি আর পটাশিয়াম সাইনায়েড তোমার মোকা’র কাপের পাশে ইতস্তত;
তুমি তুলে নাও অথবা বহুমুত্রের রুগি হয়ে যাও।
তুমি একা, তোমার জীবন একমাত্র তোমারই-
তোমার স্বাধিকারই তোমার স্বাধীনতা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪