তিনটি নি:সঙ্গ পাতা আর একটি নিকশ কালো আকাশ,
ছায়া হয়ে- বয়ে যাওয়া নিরব হ্রদের চৌহদ্দিতে ব্যথার মতো নিরবতা ঢালছিল- মাঝরাতে।
আমার পরনে আদ্দিকালের প্লাস্টিক, মাথায় জুবোথুবো শুষ্ক চুলের ঢেউ;
চোখে নির্ঘুম বাতাসী পরাগ। বাইফোকালের অস্পষ্ট তারায় নি:প্রভ নক্ষত্রের মৃত্যাদেশ-
তিনটি পাতার একটি বোধের লহমায় সৌম কুন্তলীর আত্মিয়স্হানীয়,
অন্যটি ইকুয়েডরের প্রান্তিক গিরির দলিত লতা;
অবশিষ্টে হাইডপার্ক উল্টে আছে বিচিত্র শৈলশিরায়-
আমি হ্রদের নিরাবতায় আমার মাথার শুষ্কতা ভিজিয়ে দু’টো এ্যাসপিরিন গুলিয়ে দিলাম।
যেমন কেউ কেউ পকেটে হাত রেখে স্রাগ করে বলে:
জীবন বইছে এখন সেন্ট্রাল লাইনের সপ্তম কামরায়!
অথবা ক্যাপাচিনোর ফেনা ততটা ফেনিল নয় আজকাল!
আমি যেন তার বাহুতে হাত রেখে সমার্থনের সবকটা শব্দ নি:শেষ করে বললাম-
তুমি প্রাগে যেতে পারো, সেখানেও তিনটি পাতার হ্রদে মাঝরাত এখন।
হঠাৎ দমকায় বাইফোকালটি উডে গেল।
শুনশান হেমন্তে হলুদ ট্রাকটি ছডিয়ে দিল অপেক্ষার গুঙানি-
মনান্তরে শেষ হয়ে এলো আশ্চর্য্য একপেশি মাঝরাত।
নক্ষত্রের মৃত্যাদেশ নিয়ে আমি লোহার চেয়ারে নিশ্চল-
কোন মানুষ এখানে আসেনি আজও,
শুধু কিছু কিছু দ্বিপদ কখনও আলিঙ্গন করেছে বহুতল লালসার এ জনপদে-
এ জনশ্রুতিতে বিভেদের শরীরে না হয় একটু জমুক স্বেদ,
যেখানে আমি নিয়তির টিস্যুতে নিয়ত মুছছি বাইফোকালের লেন্স।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:০৬