somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিড়ালের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি চাই...!!!! :(

১৭ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ কেমন যন্ত্রনা ....আপনারাই বলুন..!!!
আমাদের আশেপাশে ৪/৫ টা বিড়াল আছে। আর ৫ টা বিড়ালের মত প্রথমদিকে ওগুলো শুধু চৌর্যবৃত্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।সেজন্য আম্মু সবসময় খাবার জিনিস সাবধানে রাখতেন রান্নাঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে আথবা সোজা চালান করে দিতেন ফ্রীজে, এখন পর্যন্ত তাই করে আসছেন। কিন্তু এসব করে কোন কাজ হল না। আমরা খুব অদ্ধভূত ব্যাপার দেখতে লাগলাম- বিড়ালবাবাজীরা অজানা কারণে আমাদের খাটের নিচে এবং স্টোররুমের দিকে আনাগোনা করে। অনেক ভেবে আব্বু বের করলেন কারণটা। আমাদের বাসায় তখন ছো্ট্ট ইঁদুরের উপদ্রব ছিল, আর ছো্ট্ট ইঁদুরের লাল্টু লাল্টু ছানাদের দিয়ে ভোজকর্ম সারতেই তাদের যাতায়াত। আব্বু আর দেরি না করে ইঁদুর মারার ওষুধ দিয়ে ৫/৭ দিনের মধ্যেই বাসা থেকে সব ইঁদুর উৎখাত করলেন।
আমরা ভাবলাম খাবার-দাবার নেই, ইঁদুর ও নেই এবার বুঝি বিড়ালের ঝামেলা শেষ হল। কিন্তু বিড়ালবাবাজীরা শুরু করলো নতুন কিরিকান্ড।
এই প্রচন্ড গরমে আমরা আমাদের জানালা আর বারান্দার দরজাগুলো খুলে রাখি রাতের বেলা, তাছাড়া আমাদের এলাকাটাও বেশ নিরাপদ বলে কোন সমস্যা হয় না। হঠাৎ আবিষ্কার করলাম সকাল বেলা প্রায়ই বিড়ালদের দেখা যায় আপুর রুম থেকে বের হচ্ছে...। ব্যাপার কি!! আপু বিবাহিত, ও আমাদের বাসায় বেড়াতে এলেই কেবল ওর রুমটা ব্যবহার হয়। আর এই সুযোগে বিড়ালবাবাজী আরাম করে রাতের ঘুমটি ঘুমিয়ে নেয় আপুর বিছানায়। এখন রাতে আপুর রুমের দরজা-জানালা বন্ধ রাখছি। তো বিড়ালের আসা-যাওয়া কদিন বন্ধ কিন্তু যন্ত্রনা বন্ধ সেটা ভাববেন না যেন। সকালে ওঠেই দেখা যায় সিঁড়ির এখানে সেখানে টয়লেট করে রেখেছে তারা। আম্মু-আব্বুর মেজাজ খারাপ, বুয়ার কথা আর নাই বা বললাম.....বুয়াই তো ওসব পরিষ্কার করে আমাদের কৃতার্থ করেন।
আমি যখন রাতের বেলা পিসির টেবিলে বসে থাকি অথবা মশারির মধ্যে ঢুকে পড়াশুনা করি তখন আমার বারান্দার দরজা দিয়ে বিড়ালবাবাজী বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে এবং প্রবেশ পথে আমাকে দেখে থেমে যায়.....কিন্তু দৌড়ে পালায় না...বরং এমনভাবে তাকিয়ে থাকে যেন অনুমতি দিলে গৃহে প্রবেশ করিয়া আমাকে বাধিত করবেন। আম্মু এবং ভাবীকে দেখলেও একই কাজ করে...পরে না চোখের পলক স্টাইলে তাকিয়ে থাকে.....সে তাকানোতে না আছে ভয় না আছে লজ্জা। এমন বেয়াদব বেলেহাজ বিড়াল আমি জীবনে দেখি নি। B:-)
এই ফাজিল বিড়ালগুলোর সবকিছুই সহ্য করছিলাম আমরা মুখবুঁজে, শুধু এটাই ভাবতাম- থাক অবলা প্রাণী...!
কিন্তু এই অবলা জীবের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে আমরা আর চুপ থাকতে পারছি না....
গত পরশুদিন সকালে উঠে আম্মু আবিষ্কার করলেন বিড়ালবাবাজী ঘুমিয়ে আছে ড্রয়িংরুমের সোফায়.......শুধু তাই নয়....অন্য একটি সোফায় সে ছেট এবং বড় উভয় প্রকার টয়লেটই বিপুল পরিমাণে করেছে। ড্রয়িংরুম সৌরভে পরিপূর্ণ..! X( X( X(
তাল পরদিন আব্বু আম্মু বাসায় ছিলেন না। আমি আর ভাবী খুব সতর্কতার সাথে সব দরজা-জানালা লাগিয়ে দিয়েছি। কিন্তু সকাল বেলা উঠে দেখি বিড়াল দাঁড়িয়ে আছে ডায়নিং টেবিলে। আমি তো অবাক...ঢুকলো কোন দিক দিয়ে?? /:) বিড়ালটাকে তাড়ালাম। কিন্তু তারপরই দেখি আব্বু-আম্মুর বিছানায় আবারও টয়লেট সেরেছে শয়তান বিড়াল..বিছানায় ছোট ভাইটার একটা ফতুয়া পড়ে ছিল সেটা দিয়ে আবার কৃতকর্ম ঢেকেও রেখেছে। ইচ্ছা করছিলো বিড়ালটার ঘাড় মটকে দেই X(( । সেইদিন সারাটা দিন আমি সুযোগ খুঁজছিলাম বিড়ালটাকে পিটানি দেয়ার। দূর থেকে বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে শেষে ৪ বারের সময় বিড়ালের গায়ে লাগাতে পারলাম..কিন্তু তাতে বিড়ালটা যে কোন ব্যথা পায়নি তা নিশ্চত কারণ একবার শুধু চেয়ে দেখে সে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল।
আমি এমন ধরনের বিড়াল কখনও দেখি নি। আমাদের ও একটা পোষা বিড়াল (টমি) ছিল। টমি কখনও বাসায় টয়লেট করত না, বাইরে বালুর গর্ত খুঁড়ে টয়লেট করে আবার গর্তটা ঢেকে দিত। আথচ টমি আমাদের বাসায় থাকত আদরে। এই বিড়ালগুলো কে তো আমরা পুষি না অথচ আমাদের ভয় ও পায় না। আগে দেখতাম কোন বিড়াল ১০ হাত দূর থেকে মানুষ দেখলে দৌড়ে পালাতো কিন্তু এগুলো.!!!
আমার ছোট ভাই এবিষয়ে একটা মন্তব্য করেছে- "বিড়ালগুলা ইদিনিং রাস্তার কুকুর হয়ে যাচ্ছে।" (রাস্তার কুকুরগুলো পথচারীদের পাশ দিয়ে নির্ভীকচিত্তে ঘুরে বেড়ায়)

জানি না এই মছিবত থেকে কীভাবে মুক্তি পাব..?? :( :(( :( :(( :( :((
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০০৯ রাত ৯:৫৮
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×