আমার মনে হয়, উনার কমনসেন্সের অভাব ছিলো, উনি কেক বেশী খেয়ে ফেলেছেন, বিএনপি'র বেকুবদের বেশী বেশী কেক খাওয়ায়েছেন! ড: এমজুদ্দিন সাহেব, গয়েশ্বর রায়, ড: খোন্দকার মোশারফ, মওদুদ, আমান উল্লাহ আমানেরা বেশী বেশী কেক খেয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশে ৩ কোটি টাকার এতিমখানা না করলে কেহ জেলে যায়? বাংলাদেশের কোন নাগরিক এতিমের জন্য কাঁদছে? ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়, কত শিশু এতিম হয়েছিলো; ওদের জন্য শেখ সাহেব, তাজুদ্দিন সাহেবকে কাঁদতে দেখেছেন? আপনি একবেলা কেঁদেছেন? শেখ হাসিনা কি কিছু এতিমের জন্য কেঁদে সুধা সদন ভাসিয়ে দিচ্ছেন? এতিম মেতিম কিছু না, গলায় কেক লেগেছে!
এতিমদের জন্য বাংগালীরা কাঁদে না, এতিম কিশোরীকে বাংগালীরা চাকরাণী বানায়, যাতে উনাদের সবল স্ত্রীরা দিনের ১২টা অবধি ঘুমাতে পারে; এতিম বালকেরা ঘরের চাকর হয়, না হয় টোকাই হয়; মোল্লারা কিছু এতিমের গতি করেছে, মাদ্রাসায় পড়ায়েছে আরবী টাকায়; ড: মুতাসির মামুনরা এতিমদের জন্য কিছু করেনি, শেখ হাসিনাও কিছু করবেন না; বেগম জিয়ারও কিছু করার কথা নয়। কিন্তু উনার সৌভাগ্য, এতিমদের জন্য জেলে গেছেন।
বাংলাদেশে যারা রাজনীতি করেছে, সবাই কমবেশী রাজনৈতিক থেকে শুরু করে ক্রিমিন্যাল আইনে অপরাধ করেছে; কারো বিচার হয়নি তেমন: হয়েছিলো জেনারেল এরশাদের ও বেগম জিয়ার। জেনারেল এরশাদের হাত সিআইএ অবধি লম্বা, উনি শেষ অবধি বেরিয়ে গেছেন, বাংলাদেশের রস বের করে উহা খেয়ে গেছেন। বেগম জিয়া সব রাজনীতিবিদের সমান অপরাধ করেছিলেন, উহা মেনে নেয়া যেতো; কিন্তু কেক খেয়ে সব গুলায়ে দিয়েছেন।
উনার বিচারটা জাতির জন্য সিম্বোলিক; উনি ১৯৭৫ সালের হত্যাকান্ডের বেনিফিসিয়ারী, ও ২০১৬ সালে অগ্নিবোমার জননী। অগ্নিবোমায় ২ 'শতের বেশী মেয়ে পংগু হয়ে গেছে, এদের বিয়ে হয়নি, হবে না; উনি এদের জন্য সহানুভুতিও প্রকাশ করেননি; এই কারণে উনাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া ঠিক হবে না; উনাকে মুক্তি দিয়ে শেখ হাসিনা সেই অপরাধের ভাগী হবেন।
বাংলাদেশে, বেগম জিয়াই রাজনৈতিক বিচারের একমাত্র সিম্বোল, জাতি এই সিম্বোল হারাতে পারে না; ভবিষ্যতে যে আরেকজন রাজনীতিবিদের বিচার হবে, সেটার নিশ্চয়তা নেই! শুধু সেইদিকে খেয়াল রেখে, ও ২০১৬ সালের আগুনে পোড়া মেয়েদের কথা স্মরণে রেখে উনাকে জেলে রাখা উচিত। উনাকে উনার নিজ বাড়ীতে বন্দী করে রাখা ঠিক হবে। উনি আপোস করলে, উনার কোটী সন্তান অপমান বোধ করবেন; উনি মরলে জেলেই মরুক, উনার কিংবদন্তি বেঁচে থাকুক।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৩