মুল কারণ, অশিক্ষা ও নীচুমানের শিক্ষা, মিথ্যা বলার প্রবনতা, এনালাইটিক ক্ষমতার অভাব, ধর্মপ্রচারকদের অতি উৎসাহ, লজিক্যাল ভাবনার অভাব। মুসলমানেরা একটা বিষয়ে খুবই দুর্বল, অন্য কোন ধর্মাবলম্বীর ইসলাম গ্রহন নিয়ে; বিশেষ করে পশ্চিমের কোন পরিচিত মুখের ব্যাপারে। মাইক টাইসনের ইসলাম গ্রহন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য কাঁপছিলো; ১৬০ কোটি মুসলিম বিশ্বে থাকার পর, মাইক টাইসন যোগ হলে, এতে মুসলমানরা কিভাবে উপকৃত হচ্ছে? আসলে, কোনভাবে উপকৃত হয়নি, ইসলাম নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করেছে মাত্র।
মাইক টাইসন মুষ্টিযোদ্ধা হিসেবে যেই পরিমাণ পরিচিতি পেয়েছিলো, ব্যক্তিগত জীবনে সমপরিমাণ পাগলামী ও অপরাধ করতো, আইনভংগ করতো; সে ইন্ডিয়ানা রাজ্যে ধর্ষণ মামলায় ৬ বছরের জন্য জেলে যায়। আমেরিকার জেলগুলোতে আফ্রিকান আমেরিকানদের একটা ভয়ংকর শক্তিশালী মাফিয়া কাজ করে, এরা খুবই অর্গেনাইড; এরা 'নেশান অব ইসলাম' নামক আধা-মাফিয়া ধর্মীয় কাল্টের সদস্য। শিকাগো, নিউইয়র্ক, মিজোরী, আলবামা, আটলান্টা, সাউথ ক্যারোলিনায় আফ্রিকান আমেরিকানরা এদের কাছে জিম্মি এখনো; এদের নবীর নাম এলিজা মোহাম্মদ; এদের মুল ব্যবসা হচ্ছে ড্রাগ, পতিতাবৃত্তি ও চাঁদাবাজি। আফ্রিকান আমেরিকানদের জেলে টিকে থাকতে হলে, নেশান অব ইসলামের সদস্য হতে হয়; মাইক টাইসন তাই করেছিলো।
আমেরিকায় ও ইউরোপে প্রতিদিনই কিছু ছেলেমেয়ে মুসলমান হয়, এরা মুসলিম পরিবারে বিয়ে করে; বিয়ের সময়, বিয়ের কলেমা পড়ার সময় প্রথমে মুসলমান হতে হয়; এরা যখন বিয়ে করার মতো ভালোবাসে, তাদেরকে যেই ধর্মে যেতে বলা হয়, সেই ধর্ম গ্রহন করে, তারা নতুন ধর্মের নামও জানতে চাহে না। এটা নিয়ে বাকী মুসলমানেরা পৃথিবী মাথায় তোলে, গুজব ছড়ায়। কিন্তু মুসলিম মেয়েদের এই ধরণের বিয়েগুলো শতকরা ৮০ ভাগই প্রথম ২/৩ বছরের মাঝে ভেংগে যায়; মুসলিম ছেলেদের অন্য ধর্মের মেয়েদের সাথে বিয়ের শতকরা ৩০/৪০ ভাগ টিকে থাকে।
করোনা নিয়ে মুসলমান এলাকা গুজবে ভরে গেছে। করোনার উপর সামু ব্লগের লেখা পড়লে কিছুটা ধারণা হয়; সামুর যদি এই অবস্হা হয়, আফগানিস্তানে ও ইয়েমেনে কি হচ্ছে?
আরেকটা বড় প্রচারণা ও গুজব হচ্ছে, ইউরোপ আমেরিকায় মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে; এসব এলাকা একদিন মুসলিমদের হয়ে যাবে। মুসলমানরা দারিদ্রতা এড়াতে, সুখশান্তির আশায় ও একটা অংশ নিজদেশের সম্পদ পাচার করতে গিয়ে পশ্চিমে আসছে। এখানে আসার পর, তাদের একটা বিরাট সংগ্রাম হলো, ছেলেমেয়েদেরকে ধর্ম ও নিজেদের ট্রেডিশনে ধরে রাখা; এজন্য মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, মুসলিম স্কুল হচ্ছে নিয়মিতভাবে। ছেলেমেয়েদের এসব নীচুমানের স্কুলে পড়াচ্ছে অনেকই; এরপরও ছেলেমেয়েরা নতুন এক ধরণের মুসলমানে পরিণত হচ্ছে; আসলে, এরা আমেরিকান, কানাডিয়ান, ইউরোপীয় মুসলমান হচ্ছে, যার সাথে বাংলাদেশ, আরব, ভারতের ইসলামের সাথে কোন মিল নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৫