*** হোয়াইট হাউজের ২০০ গজের মধ্যে পুলিশ ও প্রতিবাদকারীদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি চলছে , মানুষ হোয়াইট হাউসে প্রবেশের চেষ্টা করছে, অনেকেই আহত হয়েছে; এখনো গ্রেফতার করা হচ্ছে না। মিনিয়াপোলিসে পুলিশ অনেকটা যুদ্ধে যাওয়ার মতো এগুচ্ছে, যতসব লিলিপুটিয়ান ***
*** রাত ১টা বাজছে, আমেরিকা ঘুমাতে যায়নি। মিনিয়াপোলিসে আরেকটা বিল্ডিং'এ আগুন লেগেছে ****
আজকে ৩য় রাত আমেরিকার বড় ১৫/২০টি শহরে পুলিশের বিপক্ষে সহিংস প্রতিবাদ চলছে; ঠিক এই মহুর্তে মিনোেটা রাজ্যের মিলিয়াপোলিস শহরে কারফিউর মাঝে একটি বিল্ডিং ও ১০/১২ টা গাড়ী পুড়ছে। সেখানে সন্ধ্যা ৮টা থেকে কারফিউ চলছে, কিন্তু মানুষ রাস্তা ছাড়েনি।
ঘটনার শুরু হয় গত সোমবারে, জর্জ ফ্লয়েড নামে একজন আফ্রিকান আমেরিকান একটি ২০ ডলারের জালনোট দিয়ে দোকানে কিছু কিনেছিলো। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ গাড়ীর পাশে নিয়ে যায়; তার হাতে হাতকড়া ছিলো; কিন্তু একজন পুলিশ ওকে মাটিতে ফেলে, তার পিঠে ও ঘাঁড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে রেখে ছিলো প্রায় ৯ মিনিট। প্রথম ২ মিনিট ফ্লয়েড বলছিলো, "আমি শ্বাস নিতে পারছি না"; এই পুলিশের সাথে আরো ৩ জন পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিলো কেহ কিছু করেনি; ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।
পুরো ঘটনা ভিডিত করে ১৭ বছরের একটি মেয়ে। এই ধরণের হত্যাকান্ডের বিপক্ষে এই ধরণের সহিংষ প্রতিবাদের দরকার ছিলো।
পুলিশ ৪ জনের চাকুরী চলে গেছে; যেই পুলিশ ফ্লয়েডের পিঠে ও ঘাঁড়ে পা দিয়ে চেপে ধরে রেখেছিলো তার নাম ডেরেক চউভিন, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও মানুষ হত্যার জন্য দায়ী করে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। বাকী ৩ জনের বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে।
আটলান্টাতে প্রতিবাদকারীরা কয়েকজন পুলিশকে তাড়িয়ে সিএনএন বিল্ডিং'এ নিয়ে যায়; মানুষ সিএনএন বিল্ডিং এর লবি ভেংগে ফেলেছে।
মিনিয়াপোলিস শহরে ২০০টির বেশী দোকান ভেংগে লুট করা করা হয়েছে ও কয়েকটি পোড়ায়ে দেয়া হয়েছে। আজ রাতে মিনোসেটার ২ শহরে কারফিউ দেয়া হলেও মানুষ কারফিউ ভংগ করেছে। কালিফোরনিয়ার কয়েক শহরে প্রতিবাদ ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে।
মনে হচ্ছে, করোনা নিয়ে মানুষ সরকারের উপর হতাশ ছিলো, রাগান্বিত ছিলো; এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষ ক্ষোভে ভেংগে পড়েছে। এই মহুর্তে ওয়াশিংটনেও মানুষ পুলিশের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:২৩