১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা পরাজিত হলে, ২ কোটী বাংগালীর ঘরে জেনারেল ইয়াহিয়ার ছবি ঝুলতো সেদিন; কিছু বাংগালী আছে, মুরগীর মতো, চিলে বাচ্চা নিলে টের পায় না। নাকি আসলে মুসরগী টের পায়, কাউকে দু:খের কথা বলতে পারে না? ৩০ লাখ বাংগালী মারলো জেনারেল ইয়াহিয়া; তারপরও অনেকে সামরিক শাসন মিস করছে।
১৯৫৮ সাল থেকে শুরু করে, পুরো আইয়ুবের আমলে, ঢাকার মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে, এবং চট্টগ্রামের হালীশহরে বিহারীরের জন্য বিল্ডিং তুলে ফ্রি থাকতে দিয়েছে: রেলওয়ে ও পোর্টের সব চাকুরীতে বিহারীরা, বাংগালীরা নিজদেশে বেকার। বিহারীরা কথায় কথায় বাংগালীদের পেটে চুরি ঢুকায়ে দিতো, গালি দিতো; সেই আইয়ুব খানের ছবি আজও পুরান ঢাকাবাসীদের ঘরে আছে, জামতীদের ঘরে আছে।
রোহিংগা সমস্যায় বাংলাদেশ ডুবছে; কিন্তু মুরগীগুলো বুঝতে পারে না, বার্মার নাগরিকদের কারা উৎখাত করেছে, কারা তাদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে?
জেনারেল জিয়া এমনভাবে ক্যু করেছে যে, মুরগীদের মাথায় কোনদিন ঢুকবে না যে, সে, সিআইএ ও পাকী মিলিটারী মিলে বাংলাদেশকে থামিয়ে দেয়ার জন্য ক্যু করেছে। ৫৫ হাজার রাজাকার ও জামাতের জন্য সেটা ছিলো প্রতিশোধ ও ঈদ, কিন্তু বাকী মুরগীরা কেন লাফায়?
১৯৬৯ সালের বাংগালীরা, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ-করা বাংগালীরা কি আরেকটি ইয়াহিয়া খান, আরেকটি আইয়ুব খান চেয়েছিলো? স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি রাজনীতি বুঝে না, পড়ালেখা করেনি, স্বজাতিকে চেনে না।
আজকের ভারত কোথায়, পাকিস্তানী মিলিটারী পাকিস্তানকে কোথায় নিয়ে গেছে? আফ্রিকার নেতা, আফ্রিকার আলো, আফ্রিকার শক্তি, মিশর আজকে আমেরিকার কাছে ভিক্ষা করে ৩ বিলিয়ন ডলার আনে, সেটা দিয়ে মানুষকে আটা ও জয়তুনের তেল দেয়, পড়তে দেয় না, কাজ করতে দেয় না, ভিক্ষুক করে রেখেছে মিলিটারী; মিলিাটারীর নিজস্ব শহর আছে, কলকারখানা আছে, ইউনিভার্সিটি আছে। আমাদের দেশের মুরগীরা জেনারেল জিয়া ও এরশাদকে খুব মিস করে আজো।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪৩