এই প্রতিবাদের দরকার ছিলো; ট্রাম্পের সরকার ও রাজ্যগুলোর গভর্ণরদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে করোনায় আমেরিকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে; অকারণে মানুষের চাকুরী চলে গেছে, এই অসফলতা মানুষের মনে ক্ষোভের সন্চার করেছে, এই প্রতিবাদ ক্ষোভের বহির্প্রকাশ।
গতকাল রাতে পুরো আমেরিকা ঘুমায়নি, ২০টির বেশী শহরে কারফিউ দেয়া হয়েছিলো, কোথায়ও উহা কাজ করেনি; ১২ রাজ্যে 'ষ্টেইট ট্রুুপার' ( রাজ্য মিলিটারী) নিয়োগ করা হয়েছে, তারা শুধু মিলিয়াপোলিসে কিছুটা সফল হয়েছে, আর কোথায়ও সফল হয়নি; সামনে আসছে আজকে রাত। পুরো দেশে রাত জেগে মানুষ প্রতিবাদ দেখেছে।
শত শত পুলিশের গাড়ী পোড়য়ে দিয়েছে মানুষ, হাজারের বেশী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভেংগে দিয়েছে, শ'খানেকের বেশী বিল্ডিং পোড়ায়ে দিয়েছে। ১ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে, এখনো সঠিভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ৩০০০'এর কাছাকাছি মানুষ গ্রেফতার হয়েছে; কমপক্ষে ৫০টির বেশী বড় শহরে প্রতিবাদ হয়েছে। শতশত মানুষ ও পুলিশ আহত হয়েছে।
আজকে কিংবা আগামী ২/৩ দিনের মাঝে মানুষের ক্ষোভ নিজের থেকে নিশ্চয় কমে আসবে। ট্রাম্প নিজের থেকে মানুষকে শান্ত হতে বলেনি; ভাড়া-করা কিছু কালো নেতা মানুষকে শান্ত হতে বলেছে, মানুষ ১ পয়সার মুল্যও দেয়নি।
করোনায় সোয়া ৪ কোটি মানুষের চাকুরী চলে গেছে, ভেকসিন আসতে আরো ৮/১০ মাস বা বেশী লাগতে পারে, এখনো ১২ রাজ্যে করোনা বাড়ছে; সরকার ২ ট্রিলিয়ন ডলার অকারণে বড় ব্যবসায়ীদের দিয়ে আমেরিকাকে অর্থনৈতিক সমস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে; এগুলো মানুষকে চিন্তিত ও ভীত করে তুলেছে। কিন্তু এটা আমেরিকা, মানুষ সারাক্ষণ সাক্ষী গোপাল হয়ে বসে থাকবে না। এই প্রতিবাদের ফলে নতুন কিছু ঘটবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৩