শহরে হঠাত্ আলো চলাচল,
জোনাকি না কি
স্মৃতি দাগে,
কাঁপছিল মন
নিরালা রকম,
ডাকনাম নামল পরাগে,
কে হারায়?
ইশারায়!
সারা দাও ফেলে আসা গান।
রুপকথা রা রা রা রা রা!
চুপকথা রা রা রা!
ফুরফুরে এক রোদের জন্মদিন।
মন পাহাড়া রা রা রা,
বন্ধুরা রা রা রা,
আজ খোলা আলটুসি ক্যান্টিন।
প্লে লিস্টের এই গানটাই বেজে চলেছে। দিনলিপি লিখতে বসে ভেবে দেখলাম বেশ ক'দিন যাবত দিনগুলোতে কোন ঘটনার ঘনঘটা নেই যেগুলো আমার সত্যিই লিখে রাখা উচিত!
ভোর সাড়ে পাঁচটায় এ্যালার্মের বিকট চিত্কার, বিরক্তি নিয়ে ঘুম থেকে উঠা, অতঃপর সকালের যাবতিয় দায়িত্ব শেষে স্কুল গমন, তারপর এটেনডেন্স খাতায় সই করে এসেম্বলীতে দাঁড়ান, তারপর ছুট দেয়া প্রথম ক্লাসে। প্রতিদিন এর ব্যাতিক্রম হয় না।
উমমম!!
ভাবনা গুলো অকারন আসে,
ফিরে চলে সময়
পুরনো ঠিকানায়,
প্লে লিস্টের গান চেন্জ হোল।
ওহ এ কদিন অবশ্য কিছু মজার দায়িত্ব পালন করলাম। গান, চিত্রাঙ্কন, নাচ প্রতিযোগিতার বিচারক হয়েছিলাম। বিষয়টা
অনেক বেশী ভালো লাগার ছিল। বাচ্চারা এত চমত্কার করে গায়। পায়েল সরকার, যে মেয়েটা নজরুল গিতী আর রবীন্দ্র সংগীতে প্রথম হোল ওর গান শুনেতো আমরা তিন বিচারক মুগ্ধতায় ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। খুব ইচ্ছে করেছিল বলি one more!! কিন্তু বিচার কার্যে কোন আবেগের বহিঃপ্রকাশ শোভনীয় নয় ভেবে চুপ করে গেছি।
একটি দুটি
ঘুমের গল্প
টুকরো অভিমান,
ছেড়া ছেড়া সাদাকালো,
স্বপ্নবতী গান।
গান চেন্জ হোল।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতার বিচার করতে গিয়ে বেশ মজাদার অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
'ক' গ্রুপের মানে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত বিষয়বস্তু ছিল 'চড়ুইভাতি'!
বাচ্চার সবাই ভালো এঁকেছিল তবে বিষয়বস্তু খুব একটা পাওয়া যাচ্ছিলনা। পরে অনেক কষ্টে তিনটা ছবি বাছাই করেছিলাম।
'খ' গ্রুপের মানে ক্লাশ সিক্স থেকে ক্লাশ এইট পর্যন্ত মেয়েদের বিষয়বস্তু ছিল 'গ্রামবাংলার বিভিন্ন উত্সব'
এখানে বেশ কষ্ট হয়েছিল, কাকে রেখে কাকে বাছাই করব সেটা নিয়ে বেশ দ্বন্দে ছিলাম।
'গ' গ্রুপের মানে ক্লাশ নাইন আর টেনের ছিল 'প্রাকৃতিক দৃশ্য'
একটা মেয়ে চমত্কার এঁকেছে কিন্তু নদী উঠিয়ে দিয়েছে আকাশে। আরেকটা মেয়ের বটগাছ আঁকার দৃশ্য দেখে সবাই ছবিটা নিয়ে কাড়াকাড়ি।
hi, i'm standing by the river & water goes on slow,
i saw my face
in the silent water
and feel lonely without you,
ooo you only live in my imagination,
what can i do?
প্লে লিস্টের গান চেন্জ হোল।
সব শেষে ছিল লোক নৃত্য আর সাধারন নৃত্য প্রতিযোগীতা। আমি, মম, জাকি ইচ্ছে করেই 'ক' গ্রুপের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। কেন যেন আমাদের তিনজনেরই বাচ্চাদের সঙ্গ ভিষণ উপভোগ্য লাগে। নাচের বিচার করতে গিয়ে বিপদে পড়লাম। সবাই এত চমত্কার করে সেজেছে যে নাচ দেখার আগেই সব্বাইকে প্রথম করে দিতে ইচ্ছে করছিল।
সাধারণ নৃত্যে প্রথম হোল লাবন্য। ও নেচেছে 'তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই!' গানের সাথে
লাবন্যর expression এত চমত্কার ছিল যে কোন শত্রুরও সাধ্যি নেই ওকে ১০ এ ৯.৯৯ দেয়। বিচার কার্য শেষ। কটা দিন বেশ আনন্দেই কেটে গেল!!!
গান চেন্জ হোল আবার!
দেখি ব্যস্ততার শহর,
অবিরাম ছুটে চলা, একা একা কথা বলা,
কত কিছু বলে ফেলা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




