আমি বেঁচে আছি।
সত্যি আমি এখনো পর্যন্ত আছি।
সকালের সূর্য দেখেছি। এই তো এখন গান শুনছি, ব্লগে হাবিজাবি লিখছি। এ সব সত্যি ঘটছে। এগুলো মরে যাওয়ার পরের কোন মুহুর্ত নয়।
গত চব্বিশ ঘন্টায় আমার প্রতিটা মুহুর্তে মনে হচ্ছিল আমি মারা যাচ্ছি। নিজের অস্হিরতার কথা কারো সাথে শেয়ার করতে পারছিলাম না। সব কাজ করেছি স্বাভাবিকভাবেই। ব্যাংক থেকে এ মাসের বেতন তুলেছি,
মাছ বাজার থেকে দর কষাকষি করে তেলাপিয়া মাছ কিনেছি, তারপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাছওয়ালার তেলাপিয়া মাছ কাটা দেখেছি। মাছ কাটা একটা দুর্দান্ত রকমের শিল্প। আমি নিজে মাছ কাটতে পারিনা তাই অনেক সময় ছোটমাছ কেনার ইচ্ছে থাকলেও কেনা হয়না। সবজির দোকান থেকে পালংশাক, টমেট, রসুন, পাতাকপি কিনেছি। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা হয়ত যায়না, তবে পালং শাক দিয়ে তেলাপিয়া মাছের ঝোল খেতে মন্দ লাগেনা।
বাসায় অনু এসেছিল। ওর সাথে চুটিয়ে আড্ডা দেয়ার ফাঁকে ফাঁকেও মনে হচ্ছিল যদি ৩ ফেব্রুয়ারির সকালটা আর দেখা না হয়। তবুও অনুকে কিছু বলতে পারিনি। হয়ত ও শুনলে খুব হাসত! আমাকে বোকা, ভিতু ভাবত। তাই অস্বোস্তি লুকিয়ে আড্ডায় প্রানবন্ত থেকেছি।
অনুর ঢাকা যাবার ট্রেনটা খুব এক অদ্ভুত্ সময়ে। রাত দুটোয়। ওকে একটু বকাঝকাও দিলাম এত রাত করে জার্নি করার জন্য। রাত দুটোয় অনুকে বিদায় জানিয়ে ঘরে ফিরে আসার পর আবার ফিরে এল মৃত্যু চিন্তা। কত কাজ বাকি, চোখ বন্ধ করে ভাবলাম আমার কত হিসেব এখনো মেলানো হয়নি। জাবেদা, খতিয়ান, রেওয়ামিল, চুড়ান্তহিসেব না মিলিয়েই কি সমাপ্তি ঘটবে এ জীবনের।
অঃটঃ ২ ফেব্রুয়ারি এক মরচে পরা লোহায় হাত কেটে ফেলি। তারপর থেকে মনে হচ্ছিল আমি ধনুস্টংকারে মারা যাব হয়ত ২৪ ঘন্টার মধ্যে। টিটেনাসের টিকা নেয়া আছে তাও টেনশন হচ্ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




